জামালপুরে নদী ভাঙন প্রতিরোধের দাবিতে মানববন্ধন
Published: 9th, July 2025 GMT
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার কটাপুর বাজার, কোদাল ধোঁয়া, রাজারপুর রায়েরপাড়া ও আইরমারী পর্যন্ত যমুনা নদীর দক্ষিণ পয়েন্টে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে যমুনার ভাঙন প্রতিরোধের দাবিতে কোদাল ধোঁয়া ঘাটে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
কটাপুর, কোদাল ধোঁয়া, রাজাপুর, রায়েরপাড়া ও জিগাতলা এলাবাসীর আয়োজিত মানববন্ধনে
বক্তব্য দেন বকুল খান, মাসুদ মাস্টার, শহিদ মন্ডল ও হামিদুল ইসলাম।
মানববন্ধনে এলাকাবাসী বলেন, কটাপুর, কোদালধোঁয়া হয়ে আইড়মারী পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকায় যমুনা ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙনে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে পাঁচটি গ্রামের ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দুইটি ইদগাহ মাঠ, ব্রিজ-কালভার্ট, বসতবাড়ি, শত শত একর ফসলি জমি।
ভাঙ্গন প্রতিরোধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কাজ না করেই অর্ধেক টাকা তুলে নেন ঠিকাদার
সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের প্রতিবাদে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এমনকি ওই সড়কের কাজ না করেই অর্ধেক টাকা উঠিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেন তারা। গতকাল সোমবার দুপুরে সদর ইউনিয়নের সূর্য নারায়ণপুর এলাকার কর্মসূচিতে শতাধিক মানুষ অংশ নেন। তারা সড়কটির কাজ যথাযথভাবে করার দাবি জানান।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সূর্য নারায়ণপুরের আব্দুর রশিদের বাড়ি থেকে বক্তারটেক পর্যন্ত ২৮০ ফুট দীর্ঘ রাস্তাটিতে ইট বিছিয়ে (সলিং) ৮ ফুট চওড়া করার কথা। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অধীনে কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পের আওতায় এ কাজের প্রাক্কলন ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। সদর ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আল আমিন পালোয়ান এ কাজের ঠিকাদার। কিন্তু এলাকাবাসী সড়কটিতে নিম্নমানের ইট ব্যবহার ও বালু না দিয়েই কাজ শুরুর অভিযোগ করেছেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আল আমিন পালোয়ান একই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। যে কারণে গত সরকারের আমলে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ না করেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন। গণঅভ্যুত্থানের পর একাধিক মামলায় আসামি হয়ে পালিয়ে যান। কিন্তু সম্প্রতি এলাকায় এসে ওই সড়কের কাজ না করেই অর্ধেক টাকা উঠিয়ে নিয়েছেন। নিম্নমানের সামগ্রী বসানোর প্রতিবাদ করলে এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির গুজব ছড়িয়েছেন তিনি। এমনকি নানা মাধ্যমে আল আমিন হুমকিও দিচ্ছেন।
সেখানে বক্তব্য দেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মঈনুল ইসলাম, ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসার কাজল, মো. রানা শেখ প্রমুখ। তাদের অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে আল আমিন পালোয়ানের নম্বরে কল দিয়েও সংযোগ মেলেনি।
কাপাসিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. তামান্না তাস্নীম বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে সরেজমিন পরিদর্শনে যেতে বলেছেন। তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।