মোসাদ্দেককে ‘সরি’ বলেছেন প্রধান নির্বাচক
Published: 9th, July 2025 GMT
শ্রীলঙ্কা সিরিজের ওয়ানডে দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসনকে নিয়ে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেনের এক মন্তব্য বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। এক প্রশ্নে তিনি বলেছিলেন, যত দিন মেহেদী হাসান মিরাজ দলে আছেন, তত দিন মোসাদ্দেকের কোনো সুযোগ নেই।
আজ ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বিষয়টি নিয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন গাজী আশরাফ। তিনি এ–ও জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যমে ওই বক্তব্যের জন্য পরে তিনি মোসাদ্দেকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
গাজী আশরাফ তাঁর ওই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, ‘আপনারা অনেকেই ইউটিউবিং করেন, সেখানে এডিট করেন নিশ্চয়ই। আমিও কলাম লিখতাম, সেখানে শব্দচয়নে কাটাকাটি ছাড়া লিখতাম না। ওই প্রোগ্রামটা আমি লাইভ করছিলাম। ২০-২৫ মিনিটে সবার অগণিত প্রশ্নে অনেক কথাই বলে ফেলেছিলাম।’
গাজী আশরাফ বলেন, ‘আমি আসলে একটা প্রশ্নের উত্তরেই বলেছিলাম যে যতক্ষণ মিরাজ আছে, ততক্ষণ সুযোগ নেই। সে রাতেই প্রস্তুতি ম্যাচ দেখতে চট্টগ্রামে যাওয়ার পর ওখানে মনে হলো, আমি তিনটা শব্দে ভুল করেছি। বলা উচিত ছিল, যতক্ষণ মিরাজ আছে, ততক্ষণ মোসাদ্দেকের সুযোগ অনেক কম। এ তিনটা শব্দে আমার ভুল হয়েছিল।’
নিজের ভুল বুঝতে পেরে বিষয়টি নিয়ে মোসাদ্দেকের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি, ‘আমি নিজেও জিনিসটা উপলব্ধি করেছিলাম, আমি ঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারিনি। দুই দিন পরই মোসাদ্দেকের সঙ্গে দেখা হয়েছিল, আমি তাকে বলেছিলাম, আমি এভাবে বোঝাতে চাইনি। আমি তাকে সরি বলেছি।’
গাজী আশরাফ কথা বলেছেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ২–১ ব্যবধানে হারের ব্যর্থতা নিয়েও। তাঁর দৃষ্টিতে সিরিজে মূলত দুটি জায়গায় শ্রীলঙ্কার চেয়ে পিছিয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ দল, ‘শ্রীলঙ্কার সিমাররা যা করতে পেরেছে, আমাদের সিমাররা তা পারেনি, তারা মাঝে ব্রেক থ্রু দিতে পারেনি। আবার শ্রীলঙ্কা ব্যাটিংটাকে ডিপে নিয়ে যেতে পেরেছে। সেখানেও তারা আমাদের ছাড়িয়ে গেছে।’
বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং নিয়ে বলতে গিয়েও শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানদের উদাহরণ টেনেছেন প্রধান নির্বাচক, ‘আমাদের ব্যাটসম্যানরা ভালো করতে পারেনি। তাদের দুজন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান কুশল মেন্ডিস ও চারিত আসালাঙ্কা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সে জায়গায় আমরা পিছিয়ে গেছি। অভিজ্ঞরা চলে যাওয়ার পর আমাদের দলে একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে। এটা পূরণ হতে একটু সময় লাগবে।’
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার মতো খেলোয়াড়ের সংকট আছে আমাদের। ৩০ জন খেলোয়াড়কে ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে সবকিছু। তবে আশা করি এ দল, এইচপি থেকে খেলোয়াড় উঠে আসবে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইলিশ ধরায় ২২ জেলের কারাদণ্ড
ফরিদপুরের সদরপুরে পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন মা ইলিশ ধরায় ২২ জেলেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ সময় ৫০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে তা পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) ভোর ৪টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়।
সদরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানা বলেছেন, বুধবার ভোরে সদরপুর উপজেলায় পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালায় মোবাইল কোর্ট। এ সময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ আহরণের অপরাধে ২২ জেলেকে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইনে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া, ৫০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
তিনি জানান, অভিযানকালে জব্দ করা ২০ কেজি ইলিশ মাছ পূর্ব শ্যামপুর মাদ্রাসা এবং দশহাজার মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ঢাকা/তামিম/রফিক