তাকিও ইনোকি চলে যাওয়ার পর প্রায় ছয় বছর দেশের সাঁতারে কোনো বিদেশি কোচ ছিল না। প্রায় অর্ধযুগ পর অবশেষে মিসরের সাঈদ ম্যাকডিকে কোচ হিসেবে এনেছে বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশন। আজ সন্ধ্যায় ঢাকায় পা রাখা ম্যাকডি আগামীকাল আনুষ্ঠানিকভাবে কাজে যোগ দেবেন। বাংলাদেশের আগে সৌদি আরব, দুবাই ও কেনিয়া জাতীয় সাঁতার দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন ম্যাকডি।

আগামী বছরের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের তিন শহর ইসলামাবাদ, লাহোর ও ফয়সালাবাদে অনুষ্ঠিত হবে সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমস। সেই আসরের পাশাপাশি এ বছর বাহরাইনে অনুষ্ঠেয় এশিয়ান ইয়ুথ গেমস, সৌদি আরবের ইসলামিক সলিডিটারি গেমসেও ভালো ফল চায় ফেডারেশন।

ম্যাকডিকে দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে আজ প্রথম আলোকে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা এই কোচের সঙ্গে আগামী বছর জানুয়ারি পর্যন্ত চুক্তি করেছি। ১৫ জুলাই মিরপুর সুইমিং কমপ্লেক্সে চলমান ট্যালেন্ট হান্টের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে। নতুন কোচ এই কর্মসূচি তত্ত্বাবধান করবেন। এ ছাড়া এসএ গেমসে পদক ধরে রাখা এবং এ বছর আরও দুটি গেমসের জন্য সাঁতারুদের প্রস্তুত করবেন।’

ম্যাকডির সঙ্গে আপাতত ২০২৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত চুক্তি করলেও সেটা নবায়নের পথ খোলা রেখেছে ফেডারেশন। সাঁতার–সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, মিসরীয় এই কোচের মাসিক বেতন ধরা হয়েছে সাড়ে তিন হাজার মার্কিন ডলার। বেতনের বাইরে আবাসন, খাওয়া ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ বহন করবে ফেডারেশন। সব মিলিয়ে কোচের জন্য প্রতি মাসে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা গুনতে হবে সুইমিং ফেডারেশনকে।

আরও পড়ুনবাংলাদেশের ক্লাব ফুটবলে আবার শ্রীলঙ্কান গোলকিপার৫৭ মিনিট আগে

এর আগে জাপানি কোচ ইনোকি পেতেন মাসে তিন হাজার ডলার। ২০১৯ এস এ গেমসের আগে তাঁকে নিয়োগ দিয়েছিল ফেডারেশন। কিন্তু সে বছরের সেপ্টেম্বরে দায়িত্ব নিয়ে অক্টোবরেই ছেড়ে দেন। তখন জুনিয়র ক্যাম্পের কয়েকজন সাঁতারুকে মোবাইল ব্যবহারের অপরাধে প্রখর রোদের মধ্যে শাস্তি দিচ্ছিলেন স্থানীয় কোচ ও অফিশিয়ালরা, যেটা মেনে নিতে না পেরে চাকরি ছেড়ে দেন ইনোকি।

সাঁতারে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সফল বিদেশি কোচ পার্ক তে গুন। ২০০৯ সালে প্রথমবার কোচ হিসেবে বাংলাদেশে এসেছিলেন এই দক্ষিণ কোরিয়ান। তারপর ২০১৬ সালে এসএ গেমসের জন্য আবারও তাঁকে আনা হয়। তখন যোগ দেওয়ার ‎মাত্র তিন মাসের অনুশীলনেই বদলে দেন সাঁতার দলকে। ২০১৬ এসএ গেমসে বাংলাদেশের জেতা চারটি সোনার দুটিই এসেছিল সাঁতার থেকে, ১০০ ও ৫০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোক থেকে যে দুটি পদক এনেছিলেন মাহফুজা খাতুন। দুটি সোনা, ১৫ ব্রোঞ্জসহ সবচেয়ে বেশি ১৭টি পদকও সাঁতারুদের। এমন সাফল্যের নেপথ্য কারিগর পার্ক। তাঁর মাসিক বেতন ছিল সাড়ে চার হাজার ডলার।

সর্বশেষ (২০১৯) এসএ গেমসে বাংলাদেশ সাঁতার থেকে মোট ১১টি পদক জিতেছিল, যার মধ্যে ৩টি রৌপ্য ও ৮টি ব্রোঞ্জ।

আরও পড়ুনইতিহাস গড়া আফঈদাদের শিরোপা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ৩ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গেমসে পদকের আশায় সাঁতারে পাঁচ লাখ টাকার কোচ

তাকিও ইনোকি চলে যাওয়ার পর প্রায় ছয় বছর দেশের সাঁতারে কোনো বিদেশি কোচ ছিল না। প্রায় অর্ধযুগ পর অবশেষে মিসরের সাঈদ ম্যাকডিকে কোচ হিসেবে এনেছে বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশন। আজ সন্ধ্যায় ঢাকায় পা রাখা ম্যাকডি আগামীকাল আনুষ্ঠানিকভাবে কাজে যোগ দেবেন। বাংলাদেশের আগে সৌদি আরব, দুবাই ও কেনিয়া জাতীয় সাঁতার দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন ম্যাকডি।

আগামী বছরের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের তিন শহর ইসলামাবাদ, লাহোর ও ফয়সালাবাদে অনুষ্ঠিত হবে সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমস। সেই আসরের পাশাপাশি এ বছর বাহরাইনে অনুষ্ঠেয় এশিয়ান ইয়ুথ গেমস, সৌদি আরবের ইসলামিক সলিডিটারি গেমসেও ভালো ফল চায় ফেডারেশন।

ম্যাকডিকে দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে আজ প্রথম আলোকে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা এই কোচের সঙ্গে আগামী বছর জানুয়ারি পর্যন্ত চুক্তি করেছি। ১৫ জুলাই মিরপুর সুইমিং কমপ্লেক্সে চলমান ট্যালেন্ট হান্টের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে। নতুন কোচ এই কর্মসূচি তত্ত্বাবধান করবেন। এ ছাড়া এসএ গেমসে পদক ধরে রাখা এবং এ বছর আরও দুটি গেমসের জন্য সাঁতারুদের প্রস্তুত করবেন।’

ম্যাকডির সঙ্গে আপাতত ২০২৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত চুক্তি করলেও সেটা নবায়নের পথ খোলা রেখেছে ফেডারেশন। সাঁতার–সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, মিসরীয় এই কোচের মাসিক বেতন ধরা হয়েছে সাড়ে তিন হাজার মার্কিন ডলার। বেতনের বাইরে আবাসন, খাওয়া ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ বহন করবে ফেডারেশন। সব মিলিয়ে কোচের জন্য প্রতি মাসে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা গুনতে হবে সুইমিং ফেডারেশনকে।

আরও পড়ুনবাংলাদেশের ক্লাব ফুটবলে আবার শ্রীলঙ্কান গোলকিপার৫৭ মিনিট আগে

এর আগে জাপানি কোচ ইনোকি পেতেন মাসে তিন হাজার ডলার। ২০১৯ এস এ গেমসের আগে তাঁকে নিয়োগ দিয়েছিল ফেডারেশন। কিন্তু সে বছরের সেপ্টেম্বরে দায়িত্ব নিয়ে অক্টোবরেই ছেড়ে দেন। তখন জুনিয়র ক্যাম্পের কয়েকজন সাঁতারুকে মোবাইল ব্যবহারের অপরাধে প্রখর রোদের মধ্যে শাস্তি দিচ্ছিলেন স্থানীয় কোচ ও অফিশিয়ালরা, যেটা মেনে নিতে না পেরে চাকরি ছেড়ে দেন ইনোকি।

সাঁতারে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সফল বিদেশি কোচ পার্ক তে গুন। ২০০৯ সালে প্রথমবার কোচ হিসেবে বাংলাদেশে এসেছিলেন এই দক্ষিণ কোরিয়ান। তারপর ২০১৬ সালে এসএ গেমসের জন্য আবারও তাঁকে আনা হয়। তখন যোগ দেওয়ার ‎মাত্র তিন মাসের অনুশীলনেই বদলে দেন সাঁতার দলকে। ২০১৬ এসএ গেমসে বাংলাদেশের জেতা চারটি সোনার দুটিই এসেছিল সাঁতার থেকে, ১০০ ও ৫০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোক থেকে যে দুটি পদক এনেছিলেন মাহফুজা খাতুন। দুটি সোনা, ১৫ ব্রোঞ্জসহ সবচেয়ে বেশি ১৭টি পদকও সাঁতারুদের। এমন সাফল্যের নেপথ্য কারিগর পার্ক। তাঁর মাসিক বেতন ছিল সাড়ে চার হাজার ডলার।

সর্বশেষ (২০১৯) এসএ গেমসে বাংলাদেশ সাঁতার থেকে মোট ১১টি পদক জিতেছিল, যার মধ্যে ৩টি রৌপ্য ও ৮টি ব্রোঞ্জ।

আরও পড়ুনইতিহাস গড়া আফঈদাদের শিরোপা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ৩ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ