নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেছেন, নতুন প্রস্তাবিত প্রতীকের তালিকায় শাপলা রাখা হচ্ছে না। জাতীয় প্রতীক হিসেবে বিবেচনা নিয়ে এটিকে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার তপশিলভুক্ত না করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার রাতে সমকালকে এ তথ্য জানান তিনি।

ইসি আব্দুর রহমানেল বলেন, সংবিধানে জাতীয় প্রতীক শাপলা ও জাতীয় পতাকার কথা বলা হয়েছে। এ দুটির মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখার জন্য আইন করা হয়েছে। একটা বিধিমালা করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি শাপলা প্রতীকে তপশিল থাকবে না। জাতীয় প্রতীকের কারণেই মূলত এই সিদ্ধান্ত। জাতীয় প্রতীকের চিহ্ন সংবিধানে বলা রয়েছে- জাতীয় প্রতীক থাকবে পানির মধ্যে ভাসমান শাপলা, দুই ধারে ধানের শীষ। শাপলা যেহেতু জাতীয় প্রতীক, এ প্রতীকের মর্যাদা রক্ষার্থে আইন বিধি রয়েছে। সেটার আলোকে অনেক আগেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরাও এটাকে বাদ দিয়েছি প্রতীকের তালিকা থেকে। প্রতীকের বর্ধিত নতুন তালিকা আইন মন্ত্রণালয়ে যাবে।

এর আগে নাগরিক ঐক্য দলীয় প্রতীক হিসেবে কেটলির পরিবর্তে শাপলা দাবি করে। একই সঙ্গে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) দলীয় প্রতীক হিসেবে শাপলা চেয়ে নিবন্ধন আবেদন করেছে। শাপলা জাতীয় প্রতীক হওয়ায় দলের জন্য নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে তা বরাদ্দ নিয়ে বিতর্কের মধ্যে এমন সিদ্ধান্ত নিলেন  এএমএম নাসির উদ্দিন কমিশন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার ৬৯টি প্রতীক থেকে বাড়িয়ে অন্তত ১১৫টি প্রতীকে দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর জন্য বরাদ্দ করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় প্রতীক তালিকার তপশিল সংশোধন করে ভেটিংয়ের জন্য শিগগির আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইস র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

যাত্রাবাড়ীতে বৃদ্ধকে হত্যা, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সন্দেহভাজন শনাক্তের দাবি পুলিশের

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় গ্রিল কেটে বাসায় ঢুকে ইসমাইল খান নামের এক বৃদ্ধকে হত্যা এবং তাঁর স্ত্রী সালেহা বেগমকে গুরুতর আহত করার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে ঘটনার বিস্তারিত জানতে ওই বাসার সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ।

যাত্রাবাড়ী থানা সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ ওই দিনের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। ফুটেজ দেখে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এখন তাদের নাম ও পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, এখন পর্যন্ত পরিবারের কেউ মামলা করেনি। পুলিশ ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে। তদন্তের কিছু অগ্রগতিও আছে। মামলা হলে তারপর হয়তো ঘটনার বিস্তারিত বের করা যাবে।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ইসমাইল খান ও সালেহা বেগম যাত্রাবাড়ীর বিবিরবাগিচা এলাকায় ‘খান ভিলা’ নামে নিজেদের চারতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। মঙ্গলবার ভোররাত চারটার দিকে ফ্ল্যাটের পেছনের জানালার গ্রিল কেটে চার-পাঁচজন দুর্বৃত্ত টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করতে বাসায় ঢোকে। এই দম্পতি টের পেলে তাঁদের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। একপর্যায়ে ইসমাইল খানকে মারধর ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। আর সালেহা বেগমকে ছুরি দিয়ে পায়ে আঘাত করা হয়। পরে সালেহা বেগমের চিৎকারে প্রতিবেশীরা তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে চিকিৎসকেরা ইসমাইল খানকে মৃত ঘোষণা করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ