নতুন প্রস্তাবিত প্রতীকের তালিকায় থাকছে না ‘শাপলা’: ইসি আব্দুর রহমানেল
Published: 9th, July 2025 GMT
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেছেন, নতুন প্রস্তাবিত প্রতীকের তালিকায় শাপলা রাখা হচ্ছে না। জাতীয় প্রতীক হিসেবে বিবেচনা নিয়ে এটিকে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার তপশিলভুক্ত না করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার রাতে সমকালকে এ তথ্য জানান তিনি।
ইসি আব্দুর রহমানেল বলেন, সংবিধানে জাতীয় প্রতীক শাপলা ও জাতীয় পতাকার কথা বলা হয়েছে। এ দুটির মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখার জন্য আইন করা হয়েছে। একটা বিধিমালা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি শাপলা প্রতীকে তপশিল থাকবে না। জাতীয় প্রতীকের কারণেই মূলত এই সিদ্ধান্ত। জাতীয় প্রতীকের চিহ্ন সংবিধানে বলা রয়েছে- জাতীয় প্রতীক থাকবে পানির মধ্যে ভাসমান শাপলা, দুই ধারে ধানের শীষ। শাপলা যেহেতু জাতীয় প্রতীক, এ প্রতীকের মর্যাদা রক্ষার্থে আইন বিধি রয়েছে। সেটার আলোকে অনেক আগেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরাও এটাকে বাদ দিয়েছি প্রতীকের তালিকা থেকে। প্রতীকের বর্ধিত নতুন তালিকা আইন মন্ত্রণালয়ে যাবে।
এর আগে নাগরিক ঐক্য দলীয় প্রতীক হিসেবে কেটলির পরিবর্তে শাপলা দাবি করে। একই সঙ্গে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) দলীয় প্রতীক হিসেবে শাপলা চেয়ে নিবন্ধন আবেদন করেছে। শাপলা জাতীয় প্রতীক হওয়ায় দলের জন্য নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে তা বরাদ্দ নিয়ে বিতর্কের মধ্যে এমন সিদ্ধান্ত নিলেন এএমএম নাসির উদ্দিন কমিশন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার ৬৯টি প্রতীক থেকে বাড়িয়ে অন্তত ১১৫টি প্রতীকে দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর জন্য বরাদ্দ করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় প্রতীক তালিকার তপশিল সংশোধন করে ভেটিংয়ের জন্য শিগগির আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’