সন্ধ্যের মধ্যে ১৪ জেলায় ঝড়বৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে পারে
Published: 24th, May 2025 GMT
মে মাসের শেষ সপ্তাহে এসে দেশে ঝড়বৃষ্টি প্রকোপ খানিকটা বেড়েছে। যদিও মাসের শুরুটা হয়েছিল তাপপ্রবাহ দিয়ে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে দেশের ১৪ জেলার কিছু কিছু স্থানে বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ বেলা সাড়ে ১১ থেকে থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, মৌলভীবাজার, শেরপুর, জামালপুর, বগুড়া, গাইবান্ধা, রাজশাহী, নারায়ণগঞ্জ, যশোর, ঢাকা, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও সিলেট জেলার কিছু স্থানে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির সময় এসব এলাকায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বা তার বেশি বেগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রপাতের আশঙ্কা আছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, এই বৃষ্টি বা ঝোড়ো হওয়ার সময় বাইরে না বের হওয়াই ভালো।
টানা তিন দিনের বৃষ্টির পর গতকাল শুক্রবার থেকে বৃষ্টি কিছুটা কমে এসেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা সে অনুযায়ী কমছে না। এর কারণ হিসেবে আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, বাতাসে অতিরিক্ত মাত্রায় জলীয় বাষ্প থাকার কারণেই গরমের ভাবটা রয়ে গেছে।
চলতি মে মাসের শুরু থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। এতটা তাপপ্রবাহ আগের এপ্রিল মাসে কিন্তু ছিল না। বরং এপ্রিলে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় তাপ অনেকটাই কম ছিল। মে মাসে এ বছরের দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তবে গত সপ্তাহের বড় অংশজুড়েই বৃষ্টি হয়েছে। এতে তাপপ্রবাহ অনেকটা কমে গেছে।
এখন বৃষ্টি হলেও গরম কিন্তু কমছে না। দেখা যাচ্ছে বৃষ্টি হওয়ার পর সাময়িক কিছুটা প্রশান্তি হচ্ছে; কিন্তু এরপরই ভ্যাপসা গরম। এর কারণ প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বললেন, মার্চ মাস পর্যন্ত দেশে উত্তরের হাওয়া প্রবল থাকে। মে মাসে দক্ষিণের হাওয়া প্রাধান্যশীল হয়ে ওঠে। দক্ষিণের হাওয়া মানে সাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্পপূর্ণ হাওয়া। আর জলীয় বাষ্প থাকলে গরমটা একটু বেশি থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় ফুটপাত দখল করে দোকানের পসরা, কোটি টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ
বগুড়া শহরের সার্কিট হাউস-কালীবাড়ি মোড় সড়কে সারি সারি ভ্যানে হরেক খাবারের পসরা। পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, চিকেন শর্মা, মিটবক্স—সবই মিলছে রাস্তার পাশের এসব দোকানে। ক্রেতারা মূলত কিশোর ও তরুণ-তরুণী।
দোকানগুলোতে নেই কোনো আলাদা শেফ। বিক্রেতারাই নিজের হাতে খাবার তৈরি করছেন, পরিবেশনও করছেন। কারও হাতে গ্লাভস নেই, শরীরে নেই অ্যাপ্রোন। বিকেল গড়াতেই এসব ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানে ভিড় জমছে। কোর্ট হাউস স্ট্রিটের পাশেই আছে ‘পিজ অ্যান্ড বার্গ’, ‘পদ্মা ফুডস’ ও ‘হিলিয়াম রেস্টুরেন্ট’-এর মতো নামীদামি খাবারের দোকান। একসময় সন্ধ্যায় এসব প্রতিষ্ঠানে ক্রেতার ঢল নামত। এখন সে ভিড় চলে গেছে রাস্তার পাশে বসা দোকানগুলোর দিকে।
পদ্মা ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমদাদ আহমেদ বলেন, ‘অভিজাত এ এলাকায় একটি খাবারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। অন্তত ১৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ নিতে হয়। এসব নবায়নে প্রতিবছর মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হয়। ভবন ভাড়া, দামি শেফ ও কর্মচারীর বেতন—সব মিলিয়ে খরচ বিপুল। অথচ রাস্তার পাশে ভ্যানে বসা দোকানে বিনিয়োগ মাত্র ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। কোনো সনদ নেই, দোকানভাড়া নেই, কর্মচারীও নেই। শুধু দামে সস্তা বলে ক্রেতারা ঝুঁকছেন ওদিকে। সড়ক দখল করে দোকান বসায় যানজটও বাড়ছে। অভিযোগ করেও প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো প্রতিকার মিলছে না।
বগুড়া হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এসএম দেলোয়ার হোসেন বলেন, জলেশ্বরীতলা অভিজাত এলাকা। এখানে দোকান দিতে বিপুল বিনিয়োগ লাগে। নামীদামি দোকানে একটি পিৎজার দাম ৫০০ টাকা হলে ভ্রাম্যমাণ দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকলেও ক্রেতারা সস্তা পেয়ে সেখান থেকেই কিনছেন। এতে অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলো লোকসানে পড়ছে। এর সঙ্গে তিনি যুক্ত করেন, ‘আমরা স্ট্রিট ফুড ব্যবসার বিরোধী নই। তবে সেটা অভিজাত এলাকা থেকে সরিয়ে পৌর পার্ক, অ্যাডওয়ার্ড পার্কসংলগ্ন সড়ক কিংবা সরকারি আজিজুল হক কলেজের পাশের এলাকায় নিতে প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি।’
সড়কজুড়ে দোকান, ভোগান্তিতে শহরবাসীসম্প্রতি দেখা যায়, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে সড়কের এক পাশে ২০-২৫টি ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকান বসেছে। অন্য পাশে ফলের দোকান। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আদালত প্রাঙ্গণের সামনে যানজট লেগেই থাকে।
এ ছাড়া পৌরসভা লেন, জেলা খানা মোড়, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বাকী সড়ক, মহিলা ক্লাব মোড়, শহীদ আবদুল জব্বার সড়ক, সাতমাথা-সার্কিট হাউস সড়কসহ শহরের নানা সড়কেই বসছে ফুচকা, চটপটি, জুস, ফাস্ট ফুড ও ফলের দোকান।
সাতমাথায় প্রতিদিন বসছে অর্ধশতাধিক দোকান। জিলা স্কুলের সামনে চটপটি ও কাবাবের দোকানগুলোর চেয়ার বসানো হয়েছে ফুটপাত দখল করে। কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, থানা মোড়, বড়গোলা, দত্তবাড়ি, কালিতলা—সবখানেই দুই পাশে দোকান।
রাস্তা দখল করে দোকান বসানোয় বেশির ভাগ সময় যানজটে থাকে শহরে। সম্প্রতি তোলা