মে মাসের শেষ সপ্তাহে এসে দেশে ঝড়বৃষ্টি প্রকোপ খানিকটা বেড়েছে। ‌ যদিও মাসের শুরুটা হয়েছিল তাপপ্রবাহ দিয়ে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে দেশের ১৪ জেলার কিছু কিছু স্থানে বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ বেলা সাড়ে ১১ থেকে থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, মৌলভীবাজার, শেরপুর, জামালপুর, বগুড়া, গাইবান্ধা, রাজশাহী, নারায়ণগঞ্জ, যশোর, ঢাকা, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও সিলেট জেলার কিছু স্থানে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির সময় এসব এলাকায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বা তার বেশি বেগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রপাতের আশঙ্কা আছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, এই বৃষ্টি বা ঝোড়ো হওয়ার সময় বাইরে না বের হওয়াই ভালো।

টানা তিন দিনের বৃষ্টির পর গতকাল শুক্রবার থেকে বৃষ্টি কিছুটা কমে এসেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা সে অনুযায়ী কমছে না। এর কারণ হিসেবে আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, বাতাসে অতিরিক্ত মাত্রায় জলীয় বাষ্প থাকার কারণেই গরমের ভাবটা রয়ে গেছে।

চলতি মে মাসের শুরু থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। এতটা তাপপ্রবাহ আগের এপ্রিল মাসে কিন্তু ছিল না। বরং এপ্রিলে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় তাপ অনেকটাই কম ছিল। মে মাসে এ বছরের দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তবে গত সপ্তাহের বড় অংশজুড়েই বৃষ্টি হয়েছে। এতে তাপপ্রবাহ অনেকটা কমে গেছে।

এখন বৃষ্টি হলেও গরম কিন্তু কমছে না। দেখা যাচ্ছে বৃষ্টি হওয়ার পর সাময়িক কিছুটা প্রশান্তি হচ্ছে; কিন্তু এরপরই ভ্যাপসা গরম। এর কারণ প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বললেন, মার্চ মাস পর্যন্ত দেশে উত্তরের হাওয়া প্রবল থাকে। মে মাসে দক্ষিণের হাওয়া প্রাধান্যশীল হয়ে ওঠে। দক্ষিণের হাওয়া মানে সাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্পপূর্ণ হাওয়া। আর জলীয় বাষ্প থাকলে গরমটা একটু বেশি থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক।‌

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মাসিক না হওয়ার কারণ

মেনোপজের আগে মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ

গর্ভধারণ ও স্তন্যদান।

জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য পিল কিংবা অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতি ব্যবহার।

অতিরিক্ত কম বা বেশি ওজন, অতিরিক্ত ভারী ব্যায়াম কিংবা অতিরিক্ত মানসিক চাপ।

থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি কিংবা আধিক্য, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম কিংবা অন্য যেসব রোগের কারণে হরমোনের তারতম্য হয়।

ডিম্বাশয়ের টিউমার কিংবা ডিম্বাশয় বা জরায়ুতে কোনো অস্ত্রোপচার।

উচ্চ রক্তচাপ, অ্যালার্জি, বিষণ্নতা এবং অন্যান্য মানসিক সমস্যায় ব্যবহৃত ওষুধ।
কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি।

ডিঅ্যান্ডসির (ডায়ালেশন ও কিউরেটেজ নামের একটি অস্ত্রোপচারপদ্ধতি) মাধ্যমে গর্ভপাত।

আরও পড়ুনমাসিকের সময় তলপেটে ব্যথা হয় কেন? ২৩ এপ্রিল ২০২৫কৈশোরে মাসিক শুরু না হওয়ার কারণ

নির্দিষ্ট বয়সে পৌঁছেও যাঁর মাসিক শুরু হয়নি, তাঁর জন্য কারণটা হতে পারে জিনগত। নারীর জন্য প্রয়োজনীয় হরমোনগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে যেসব গ্রন্থি, সেসবের অস্বাভবিকতাও থাকতে পারে কারও কারও ক্ষেত্রে। যোনিপথ বা অন্যান্য প্রজনন অঙ্গের গঠনগত ত্রুটিও থাকতে পারে।

কত দিন মাসিক না হওয়া অস্বাভাবিক

দু–এক মাস যদি মাসিক না হয়, তাতে ভয়ের কিছু নেই। কত দিন মাসিক না হওয়া অস্বাভাবিক, অর্থাৎ কখন নেবেন চিকিৎসকের পরামর্শ, জেনে নেওয়া যাক।

১৪ বছর বয়সে পৌঁছেও যদি কারও মাসিক শুরু না হয় এবং বয়ঃসন্ধির অন্য কোনো চিহ্নও না দেখা যায়।

বয়ঃসন্ধির অন্যান্য চিহ্ন থাকলে অবশ্য ১৬ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে ১৬ বছরে পৌঁছে মাসিক না হলে বিষয়টিকে অস্বাভাবিক ধরে নিতে হবে।

যাঁর নিয়মিত মাসিক হয়, তাঁর যদি অন্তত তিন মাস মাসিক বন্ধ থাকে, তাহলে সেটির কারণ খুঁজতে হবে।

যাঁর মাসিক অনিয়মিত, তাঁর ক্ষেত্রে অন্তত ছয় মাস মাসিক বন্ধ থাকলে সেটিকে অস্বাভাবিকভাবে মাসিক বন্ধ হওয়া বলে ধরে নিতে হবে।

আরও পড়ুনঅনিয়মিত মাসিক কেন হয়২৫ জুলাই ২০২৩যদি থাকে অস্বাভাবিকতা

একজন নারীর সুস্থতার জন্য নিয়মিত মাসিক হওয়া খুবই জরুরি। যদি মাসিকে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়, অস্বাভাবিকভাবে মাসিক বন্ধ থাকে কিংবা অনিয়মিত মাসিক হয়, দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে কারণটা খুঁজে বের করবেন। সে অনুযায়ীই হবে চিকিৎসা।

কারও মাসিক বন্ধ থাকার চিকিৎসার ক্ষেত্রে জীবনধারার পরিবর্তন গুরুত্বপূর্ণ। কারও প্রয়োজন হরমোন থেরাপি। অল্প কিছু ক্ষেত্রে সার্জারি বা শল্যচিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

আরও পড়ুনমেয়েকে মাসিক সম্পর্কে কীভাবে জানাবেন০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সম্পর্কিত নিবন্ধ