বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সদস্যের দায়ের করা মামলায় বরিশাল-৫ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক।

আজ সোমবার (২৬ মে) দুপুরে জেবুন্নেছা আফরোজকে বরিশালের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে এই আদেশ দিয়েছেন। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জানান, জেবুন্নেছা আফরোজ বরিশাল সদর আসনের সাবেক এমপি। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বরিশালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মারজুক আব্দুল্লাহর দায়ের করা একটি মামলায় তাকে পুলিশ আদালতে নিয়ে আসে। অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হাবিবুর রহমান আসামিকে দৃশ্যমান গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

আরো পড়ুন:

ডিআরইউতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা মামলায় স্ত্রীসহ জাকির কারাগারে

কুষ্টিয়ায় ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি, যুবক কারাগারে 

তিনি আরো জানান, আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে আদালত মামলা বিবেচনা করে  তা নামঞ্জুর করেন।

গত ১৬ মে জেবুন্নেছা আফরোজকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের বরিশাল মহানগর শাখার সহ-সভাপতি। তার স্বামী বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরণ। ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় শওকত হোসেন হিরণের মৃত্যুর পর ওই আসনে উপ-নির্বাচনে হিরণের স্ত্রী জেবুন্নেছা আফরোজ এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। 
 

ঢাকা/পলাশ/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এমপ বর শ ল আফর জ

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতে পাচারের শিকার ৩৬ কিশোর-কিশোরী দেশে ফিরেছে

ভারতে পাচারের শিকার দুই শিশুসহ ৩৬ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগের পর দেশে ফিরেছে। মঙ্গলবার (২৭ মে) সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ পাচার হওয়া বাংলাদেশিদের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

ফেরত আসারা যশোর, রাজশাহী, খুলনা, নোয়াখালী, কুড়িগ্রাম, নাটোর, সাতক্ষীরা, নড়াইল, কক্সবাজার, ঢাকা, নেত্রকোণা, রংপুর, মাদারীপুর, নরসিংদী, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, লক্ষীপুর ও চট্টগ্রাম জেলার বাসিন্দা। 

আইনি সহায়তা দিতে রাইটস যশোর, জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার, মহিলা আইনজীবী সমিতি ও জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার, শিশু সুরক্ষা সংস্থা এই ৩৬ বাংলাদেশিকে গ্রহণ করেছে।

দেশের বিভিন্ন সীমান্তপথে তারা অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে সে দেশের পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল।

জাস্টিজ অ্যান্ড কেয়ারের যশোর শাখার সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আব্দুল মুহিত জানান, ভালো কাজের প্রলোভনে দেশের বিভিন্ন সীমান্তপথে দালালের মাধ্যমে তারা ভারতে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় যায়। সেখানে বিভিন্ন বাসাবাড়ি বা অন্যান্য কাজ করার সময় পুলিশ তাদের আটক করে। অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে পুলিশ তাদের জেলে পাঠায়। পরে আইনি সহায়তা দিতে ভারতীয় একাধিক মানবাধিকার সংস্থা তাদের আদালত থেকে ছাড়িয়ে হেফাজতে নেয়।

তিনি আরো জানান, বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগের পর দুই দেশের সরকারের সহযোগিতায় বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তারা দেশে ফেরার সুযোগ পায়। ফেরত আসা বাংলাদেশিরা যদি পাচারকারীদের শনাক্ত করে আইনি সহায়তা চায়, তাহলে দেওয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন বলেন, ‍“ভারত ফেরত শিশুসহ ৩৬ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরীকে আমরা গ্রহণ করেছি। কার্যক্রম শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় তাদের সোপর্দ করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “সেখান থেকে এনজিও সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার, রাইটস যশোর, মহিলা আইনজীবী সমিতি ও শিশু সুরক্ষা সংস্থা তাদের গ্রহণ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।”

ঢাকা/রিটন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব ও বিটিআইয়ের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
  • সারজিসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন
  • আমি পাওয়ারকে সিজদা করি: সুব্রত বাইন
  • ইশরাকের মেয়র পদ নিয়ে আপিল বিভাগে শুনানি বৃহস্পতিবার
  • আনিস-সালমান রিমান্ডে, নতুন মামলায় গ্রেপ্তার ৯
  • মুক্তি পেয়ে শাহবাগে সমাবেশে যোগ দিলেন আজহারুল ইসলাম
  • ভারতে সাজাভোগ শেষে বেনাপোল দিয়ে ফিরলেন ৩৬ জন
  • ভারতে পাচারের শিকার ৩৬ কিশোর-কিশোরী দেশে ফিরেছে
  • বগুড়ায় আজিজুল হক কলেজে সুহৃদের কবিতা উৎসব