ঢাবি ছাত্র সাম্য হত্যায় আরও ৮ জন গ্রেপ্তার
Published: 27th, May 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলায় আরও আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মঙ্গলবার সকালে এক ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, জড়িত আটজনকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে।
এর আগে ১৩ মে ঘটনার রাতেই শাহবাগ থানার পুলিশ এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন- তামিম হাওলাদার, পলাশ সরদার ও সম্রাট মল্লিক। অর্থাৎ হত্যায় জড়িত অভিযোগে এ পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
ডিবি সূত্র জানায়, সাম্য হত্যা মামলায় রোববার পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে তিনজনকে পরদিন রিমান্ডে নেওয়া হয়। তারা হলেন- সোহাগ, হৃদয় ইসলাম ও রবিন। সেদিন সুজন সরকার নামে আরেক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। আর রিপন নামে গ্রেপ্তার আরেকজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ১৩ মে রাত ১১টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে আহত হন শাহরিয়ার আলম সাম্য। রাত ১২টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
মুরাদনগরে ৩ জনকে হত্যা: ৮ জন রিমান্ডে
কুমিল্লার মুরাদনগরে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার আট আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৯ জুলাই) কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজের ১১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক মমিনুল হক এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে নেওয়া আসামিদের মধ্যে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাল ও সদস্য বাচ্চু মিয়াও রয়েছেন। অপর আসামিরা হলেন—রবিউল আউয়াল, আতিকুর রহমান (৪২), বায়েজ মাস্টার (৪৩), দুলাল (৪৫), আকাশ (২৪), মো. সবির আহমেদ (৪৮) এবং নাজিমুদ্দিন বাবুল (৫৬)। তাদের সবাইকে পৃথক পৃথক অভিযানে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আরো পড়ুন:
গণপিটুনিতে তিনজনকে হত্যা: ৬৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ২
প্রবাসীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে শ্বশুরবাড়ি পুড়িয়ে দিল গ্রামবাসী
কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. সাদিকুর রহমান জানিয়েছেন, গণপিটুনির মামলায় সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে প্রত্যেক আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে। রিমান্ড শেষে মেডিকেল করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ৩ জুলাই বৃহস্পতিবার কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন কড়ইবাড়ি গ্রামে মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে স্থানীয়রা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে একই পরিবারের তিন সদস্যকে গণপিটুনি ও কুপিয়ে হত্যা করে। নিহতরা হলেন—কড়ইবাড়ি গ্রামের জুয়েল মিয়ার স্ত্রী রোকসানা আক্তার রুবি (৫৫), তার ছেলে রাসেল মিয়া (২৮) এবং মেয়ে জোনাকি আক্তার (২২)। এ সময় গুরুতর আহত হন রুবির আরেক মেয়ে রুমা আক্তার। রুমাকে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের চার দিন পর নিহত রুবির মেয়ে রিক্তা বেগম বাদী হয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাল ও ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়াসহ ৬৩ জনকে আসামি করা হয়। মামলার পরপরই সেনাবাহিনী এবং র্যাব অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে, গণপিটুনিতে তিনজনকে হত্যার মামলার তদন্তভার প্রথমে বাঙ্গরা থানাকে দেওয়া হলেও পরে তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তদন্ত করছেন ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) নয়ন কুমার চক্রবর্তী।
ঢাকা/রুবেল/রফিক