‘ঢালাইয়ে অর্ডিনারি পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট (ওপিসি) ব্যবহার হলে হিট এবং হাইড্রেশন তৈরি হয় বেশি। তবে র‍্যাপিড হার্ডেনিং সিমেন্টে এর মাত্রা কম। ফলে এটি কংক্রিটকে অনেক বেশি সুরক্ষিত রাখে। এই সিমেন্ট ব্যবহারে সারফেস ক্র্যাকিং হয় না বললেই চলে।’

সমকালের সঙ্গে আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন বগুড়ার প্রকৌশলী মো. অলিউল ইসলাম দুর্লভ।

অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ওপিসি দিয়ে সিমেন্টের যাত্রা হলেও এখন প্রতিনিয়ত এটি আধুনিক হচ্ছে। সিমেন্টের পাশাপাশি রডও আধুনিক হচ্ছে। অর্থাৎ একদিকে আমরা নির্মাণ সরঞ্জাম আধুনিক করছি। অন্যদিকে নির্মাণ উপাদানগুলো আধুনিক হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এসেছে র‍্যাপিড হার্ডেনিং সিমেন্ট। বহির্বিশ্বে উঁচু ভবন নির্মাণে অনেক আগে থেকে এই সিমেন্ট ব্যবহার হলেও বাংলাদেশে এটি নতুন।’

র‍্যাপিড হার্ডেনিং সিমেন্ট এবং ওপিসি পুরোপুরি আলাদা উল্লেখ করে ঢাকার প্রজেক্ট বিল্ডার্স লিমিটেডের (পিবিএল) প্রকৌশলী অলিউল ইসলাম বলেন, ‘র‍্যাপিড হার্ডেনিং সিমেন্টে ট্রাই ক্যালসিয়াম সিলিকেট ব্যবহার হয় বেশি। এতে ক্লিংকার ব্যবহার হয় সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশ। আবার ক্যালসিয়াম সালফেট ব্যবহার হয় কম।’

বিভিন্ন প্রকল্পে ঢালাই স্পেশাল সিমেন্ট ব্যবহারের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘র‍্যাপিড হার্ডেনিং সিমেন্ট ব্যবহারে বেশকিছু সুবিধা পাচ্ছি। এই সিমেন্ট দিয়ে ছাদ ঢালাইয়ে সময় লাগে কম, দ্রুত কাজ শেষ করা যায়। ফলে নির্মাণ ব্যয় অনেক কমে আসে।’

প্রকৌশলী অলিউল ইসলাম বলেন, ‘শুধু ভবন নির্মাণ নয়, অনেক সময় আমাদের রেট্রোফিটিং করতে হয়। এই কাজে দ্রুত সেটিং ও স্ট্যান্ডের প্রয়োজন পড়ে। এ ক্ষেত্রে র‍্যাপিড হার্ডেনিং সিমেন্টের বিকল্প নেই।’

তিনি বলেন, ‘ভূমিকম্প রোধ করা সম্ভব নয়, তবে ক্ষতি কমানো সম্ভব। ঢাকা শহরে অল্প মাত্রার ভূমিকম্পে বড় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। এ কারণে ভবন নির্মাণে সিমেন্ট, রডসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহারে আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ম ন ট ব যবহ র যবহ র হ

এছাড়াও পড়ুন:

শব্দ, অনুভব দুই–ই বলুক—‘তুই পাশে আছিস’

চায়ের দোকানে চার বন্ধু। চলছে জমাটি আড্ডা, তবে ‘শ্রুত’ হওয়ার মতো শব্দ নেই কোনো। চোখের ঝিলিকে, নীরব হাসিতে, মুখের অভিব্যক্তিতে বুঝে যান তাঁরা একে অপরের কথা।

ঝিনাইদহের রিপন মিয়া, তরিকুল ইসলাম, হাশেম আলী আর রাজু আহম্মেদ—এই চারজনের কণ্ঠে আওয়াজ নেই, বাক্‌প্রতিবন্ধী। কিন্তু কী আশ্চর্য, তাঁদের ভেতরে যে ভাষা আছে, সমাজের অধিকাংশ মানুষেরই তাতে দখল নেই! তাঁরা একে অপরের চোখের দিকে তাকিয়ে বোঝেন ‘মন খারাপ’, হাতের নড়াচড়ায় বুঝে নেন ‘দেরি কেন হলো’, ঠোঁট উল্টিয়ে বুঝিয়ে দেন ‘চায়ে মিষ্টি বেশি’। এ যেন অন্যতর এক কাব্য, যা কালিতে নয়, লেখা হয় অনুভবে। এই অনুভবের আরেক নামই তো ‘বন্ধুত্ব’।

বন্ধু মানে সেই মানুষ, যার সঙ্গে ভাববিনিময়, সুখ-দুঃখ ভাগ করে নেওয়ার জন্য ‘শব্দ’ জরুরি নয়। বন্ধুত্বে ‘ভালো আছিস’ বলারও দরকার পড়ে না, পাশে দাঁড়ানোই যথেষ্ট। একবার চোখের দিকে তাকিয়ে একদম বোঝা যায়—সব ঠিক আছে, নাকি ভেতরে কিছু ভাঙছে! বন্ধু পাশে থাকলে বৈরী সময় সহজ হয়ে আসে, ভালো সময় হয়ে ওঠে আরও রঙিন।

আজ সেই বন্ধুত্বের জয়গান গাওয়ার দিন। আগস্ট মাসের প্রথম রোববার ‘বিশ্ব বন্ধু দিবস’।সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ুর সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক আছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ