স্কুলব্যাগে মানুষের কঙ্কাল নিয়ে বাসে উঠছিলেন, ধরা পড়লেন তল্লাশিতে
Published: 20th, June 2025 GMT
ময়মনসিংহের ভালুকায় মহাসড়কে তল্লাশির সময় স্কুলব্যাগে মানুষের তিনটি কঙ্কালসহ একজনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। আজ শুক্রবার ভোরে উপজেলায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মেহরাবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটক ব্যক্তির নাম মাসুদ রানা (২২)। তিনি শেরপুরের নকলা উপজেলার বাছুর আলগা গ্রামের ইউসুফ মিয়ার ছেলে। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা আরেকজন পালিয়ে যান। ওই দুজন কঙ্কাল পাচারকারী চক্রের সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, আজ ভোরে ভালুকার মেহরাবাড়ী এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যৌথ বাহিনীর নিয়মিত টহল চলছিল। মহাসড়কের ওই এলাকায় বাসে ওঠার সময় দুই তরুণকে সন্দেহ হলে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং সঙ্গে থাকা ব্যাগগুলো তল্লাশি করতে চান যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। তখন তাঁরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় মাসুদ রানাকে মেহরাবাড়ী বাজার থেকে আটক করা হয়। তাঁর সঙ্গে থাকা স্কুলব্যাগ তল্লাশি করে তিনজন মানুষের মাথার খুলি ও কঙ্কাল পাওয়া যায়। এগুলো ভালুকা মডেল থানায় রাখা হয়েছে।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির প্রথম আলোকে বলেন, কঙ্কাল বিক্রির জন্য ওই চক্রের সদস্যরা ঢাকায় যাচ্ছিলেন। তাঁরা দীর্ঘদিন বিভিন্ন কবরস্থান থেকে কঙ্কাল তুলে ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করেন। প্রতিটি কঙ্কালের দাম ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা করা হবে। আটক ব্যক্তিকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নানা সাজিয়ে পুলিশে চাকরি
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা মনজুরুল হককে নানা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সম্রাট হাসান তুহিন নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। তিনি বর্তমানে রাঙামাটির কাউখালী থানায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। তার বিপি নম্বর ৯৪১৪১৭১২০৯।
অভিযুক্ত তুহিন সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার শেখেরগাঁও গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় তুহিনের স্ত্রী হোসনা বেগম গত ১৬ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ দুদক সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আরো পড়ুন:
৭১-এর মতো ২৪-এ বুক পেতে দিয়েছেন বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী: হাফিজ
মুজিবনগর সরকারের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিলের খবর ‘মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর’
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে হোসনা বেগমের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তুহিনের বিয়ে হয়। ২০১৪ সালে পুলিশের কনস্টেবল পদে যোগদানের সময় তিনি মোহনগঞ্জ উপজেলার শেখপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মনজুরুল হককে নানা সাজিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সুনামগঞ্জ নোটারি পাবলিকে হলফনামা তৈরি করেন। এতে নিজেকে ওই মুক্তিযোদ্ধার দৌহিত্র পরিচয় দেন। পরে সেই নকল হলফনামা ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধায় পুলিশে চাকরি নেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মনজুরুল হক বলেন, ‘‘তুহিন নামে আমার কোনো নাতি নেই। হলফনামায় দেওয়া স্বাক্ষরও আমার নয়। কে বা কারা প্রতারণা করেছেন, তাদের শাস্তি চাই।’’ তিনি আরো বলেন, ‘‘আমার দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে মোহনগঞ্জেই, সুনামগঞ্জে নয়।’’
অভিযোগকারী হোসনা বেগম বলেন, ‘‘তুহিন প্রতারণা করে আমার অজান্তে বীর মুক্তিযোদ্ধা মনজুরুল হকের সনদ ব্যবহার করে চাকরি নেন। তিনি আমার নানা নন।’’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে তুহিন দাবি করেন, ‘‘স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে এমন অভিযোগ করা হয়েছে। মনজুরুল হক আমার নানা, তার সনদেই চাকরি নিয়েছি। প্রতারণা করে থাকলে এতদিন চাকরিতে থাকা সম্ভব হতো না।’’
ময়মনসিংহ দুদক সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক তাজুল ইসলাম বলেন, ‘‘অভিযোগটি ঢাকায় পাঠানো হবে। নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিধিসম্মত হলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ঢাকা/ইবাদ/বকুল