টেস্ট ক্রিকেটে ২৫ বছর পূর্তি, বিসিবির যত আয়োজন
Published: 20th, June 2025 GMT
২০০০ সালের ২৬ জুন আইসিসির দশম সদস্য হিসেবে টেস্ট মর্যাদা পায় বাংলাদেশ। আর সেই বছরেরই নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে ঢাকায় প্রথম টেস্ট খেলেই সাদা পোশাকে যাত্রা শুরু করে টাইগাররা। দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেছে ২৫ বছর। পারফরম্যান্সে উত্থান-পতনের নানা গল্প থাকলেও, রজতজয়ন্তী উপলক্ষে কোনো কমতি রাখছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
এই ঐতিহাসিক উপলক্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে বিসিবির নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল নিয়েছেন নানা উদ্যোগ। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ানও তিনিই। তাই শুধু স্মৃতিচারণ নয়, তৃণমূল পর্যায়ে ক্রিকেট বিস্তারের প্রতিশ্রুতিও রূপ পাচ্ছে বাস্তবে।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিসিবি আয়োজন করতে যাচ্ছে অনূর্ধ্ব-১২ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা ও ক্রিকেট কার্নিভাল। ২১ জুন শুরু হয়ে ৭ দিনব্যাপী চলবে এই আয়োজন, যাতে অংশ নেবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ক্ষুদে ক্রিকেটাররা।
সাতটি ভেন্যুতে হবে এই টুর্নামেন্ট। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম, খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়াম, রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়াম, ঢাকার ধানমন্ডির রিয়া গোপ মহিলা কমপ্লেক্স, রংপুর ক্রিকেট গার্ডেন এবং বরিশালের জীবনানন্দ দাশ স্টেডিয়াম। প্রতিটি ভেন্যুতে ৬ ওভারের ম্যাচ খেলবে অনূর্ধ্ব-১২ দলের ক্রিকেটাররা। প্রতিটি বিভাগে থাকবে একজন করে কোচ, যিনি শুধু খেলোয়াড়দের নয়, আগ্রহী অভিভাবকদেরও ক্রিকেটের মৌলিক বিষয় শেখাবেন। এ ছাড়া আয়োজনকে রঙিন করতে থাকছে আরও নানা কার্যক্রম।
কার্নিভালে থাকছে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য স্পিন ও পেস বোলার হান্ট, কমেন্ট্রি বুথে নিজের মতো করে ঐতিহাসিক মুহূর্তের ধারাভাষ্য দেওয়ার সুযোগ, হিট দ্য স্ট্যাম্প, টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক মুহূর্ত নিয়ে চিত্রাঙ্কনসহ নানা আনন্দ আয়োজন। এই আয়োজনে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও উপস্থিত থাকবেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: রজতজয়ন ত
এছাড়াও পড়ুন:
জনসংযোগ ও নিরাপত্তার মিশ্রণে দায়িত্ব পালনে এসএসএফের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সদস্যদের জনবিচ্ছিন্ন না হয়ে বরং জনসংযোগ ও নিরাপত্তার মেলবন্ধনের মাধ্যমে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘প্রধান উপদেষ্টার দরবার’ অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের সদস্যদের সকল রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে উঠে নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এসএসএফ-এর ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ করার জন্য ধন্যবাদ। প্রতি বছরের মতো এই বছরও এসএসএফ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে। অন্যান্য বাহিনীর তুলনায় একটি ক্ষুদ্র বাহিনী, তবে এর কাজের গুরুত্ব এবং সংবেদনশীলতা অনেক বেশি। এই বাহিনী আমার নেতৃত্বে এবং তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়।
তিনি বলেন, এসএসএফ একটি প্রশিক্ষিত ও সুশৃঙ্খল বাহিনী, যারা আমার ও রাষ্ট্রপতির সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। বিগত ১০ মাসে এসএসএফ দেশে বিদেশে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছে। আমি এসএসএফ-এর সার্বিক পেশাদারিত্ব এবং আন্তরিকতা নিয়ে সন্তুষ্ট। এজন্য আমি সব সদস্যকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এসএসএফ বঙ্গভবনসহ আমার বাসস্থান, কার্যালয় এবং সব ধরনের গমনাগমনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এছাড়াও ঢাকার অভ্যন্তরে এবং বাইরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। সম্প্রতি কক্সবাজার ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন এবং চট্টগ্রাম বন্দর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এসএসএফ অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে সফলভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। শুধু দেশের অভ্যন্তরেই নয়, দেশের বাইরেও আমার রাষ্ট্রীয় সফরগুলোতে এসএসএফ বিভিন্ন দূতাবাস এবং সংশ্লিষ্ট দেশের প্রটোকল ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে একযোগে কাজ করে সফরগুলো সাফল্যমণ্ডিত করেছে। এছাড়াও বাংলাদেশে আসা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী, পূর্ব তিমুরের রাষ্ট্রপতি ও জাতিসংঘের মহাসচিবের রাষ্ট্রীয় সফরের সামগ্রিক নিরাপত্তা এই বাহিনী অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছে।
বর্তমান বিশ্বে আধুনিক প্রযুক্তি ও তথ্য আদান-প্রদান খুব সহজ হওয়ার কারণে নিরাপত্তা হুমকির ধরন ও প্রকৃতি দ্রুত পরিবর্তনশীল হওয়ার কারণে শতভাগ নিরাপত্তা দেওয়া খুবই চ্যালেঞ্জিং বিষয় জানিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এসএসএফ সুষ্ঠুভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। এসএসএফ নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা হুমকি পর্যালোচনা করবে এবং সেগুলো মোকাবিলা করার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করবে। সম্প্রতি এসএসএফ যমুনার সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুসংহত করেছে। এসএসএফ একইভাবে এই কার্যালয়েরও সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করবে। এসএসএফ একটি পেশাদার বাহিনী হিসেবে উন্নত প্রশিক্ষণ, উন্নত প্রযুক্তি এবং উন্নত মনোবলের সন্নিবেশে দিন দিন আরো উন্নতি সাধন করবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এসএসএফ মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুস সামাদ চৌধুরী বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, তিন বাহিনী প্রধান, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব মো. সিরাজ উদ্দিন মিয়া, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।