‘লন্ডন বৈঠকের’ পর মনে হচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় গতি এসেছে। নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে যে কালো মেঘ ঘনীভূত হয়েছিল, তা অনেকটা কেটে গেছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। 

সার্বিকভাবে নির্বাচনী রাজনীতিতে কতটা সুবাতাস এসেছে, সেই প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময় এখনো আসেনি। রাজনৈতিক দলগুলো প্রকাশ্যে কিছু না বললেও তলেতলে প্রস্তুতি নিচ্ছে। 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার প্রথম তিন দিনের বৈঠকে বেশ কিছু নাটকীয় ঘটনা ঘটেছে। দেশবাসী কোনো কোনো দলের মান–অভিমানও প্রত্যক্ষ করল। লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকে যে ‘সমঝোতা’ হলো, জামায়াত ও এনসিপি তা ভালোভাবে নেয়নি। তারা বলেছে, এর মাধ্যমে সরকার একটি দলের প্রতি ঝুঁকে গেছে। প্রতিবাদস্বরূপ জামায়াত অভিমান করে প্রথম দিনের বৈঠকে যোগ দেয়নি।

প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে অনুরোধ পাওয়ার পর দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে তারা অংশ নেয় এবং নজিরবিহীনভাবে তিন নেতা বক্তব্য দেন। জামায়াত নেতাদের বেশি সময় দেওয়া ও গণফোরাম নেতার বক্তৃতায় বাধাদানের প্রতিবাদে সম্মেলনকক্ষ থেকে বেরিয়ে যান সিপিবি, ১২–দলীয় জোট ও গণফোরামের নেতারা। কিছুক্ষণ পর অবশ্য তাঁরা ফিরে যান। 

এসব মান–অভিমান সত্ত্বেও ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে বেশ কিছু অগ্রগতি হয়েছে, যা রাজনৈতিক সমঝোতার পূর্বাভাস বলে ধারণা করি। সংবিধানে জগদ্দল পাথরের মতো যে ৭০ অনুচ্ছেদ চেপে বসেছিল, সেটা সরানো গেছে। সব দল একমত হয়েছে যে অর্থবিল, সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব ও যুদ্ধাবস্থা ছাড়া সব বিষয়ে সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে ও ভোট দিতে পারবেন।

৭০ অনুচ্ছেদ দিয়ে সংসদ সদস্যদের হাত–পা ও মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এখন তাঁরা যেকোনো আইনকে জনস্বার্থবিরোধী মনে করলে বিপক্ষে ভোট দিতে পারবেন। এই স্বাধীনতাটুকু অর্জন করতে আমাদের ৫৩ বছর লেগেছে। 

তাত্ত্বিকভাবে এই সিদ্ধান্ত ভালো হলেও দলীয় মনোনয়নের বর্তমান ধারা অক্ষুণ্ন থাকলে এর সুফল তেমন পাওয়া যাবে না। এ টি এম শামসুল হুদা কমিশন দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে স্থানীয় কমিটি থেকে আসা তালিকাকে বাধ্যতামূলক করেছিল। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার সেটা তুলে নেয়। তবে স্থানীয় কমিটিও যে সব সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়, তা–ও নয়। একটি উদাহরণ দিই। বিগত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সেলিনা হায়াৎ আইভীর নাম পাঠায়নি। ওই কমিটি ছিল শামীম ওসমানের নিয়ন্ত্রণে। 

প্রধানমন্ত্রীর দুই মেয়াদ নিয়ে আপত্তি তুলেছে বিএনপি। এটা যদি ভূতাপেক্ষ না হয়, তাদের এই আপত্তির পক্ষে যুক্তি আছে বলে মনে করি না। একজন দুই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ক্ষমতা ধরে না রেখে সব দলেরই উচিত নতুন নেতৃত্ব তৈরিতে মনোযোগ দেওয়া। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী পদে বিকল্প নেতৃত্ব তৈরি করা উচিত ক্ষমতাপ্রত্যাশী সব দলেরই। নেতৃত্ব চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নয়। 

এসব সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও শামসুল হুদা কমিশনের বিধান ফিরিয়ে আনা গেলে মনোনয়ন–বাণিজ্য কমবে আশা করা যায়। দল না করেও কেউ টাকার জোরে মনোনয়ন বাগিয়ে নিতে পারবেন না। এ ছাড়া স্থানীয় কমিটির সিদ্ধান্তে মনোনয়ন পেলে সংসদ সদস্যরা নিজ এলাকার জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবেন। ওপর থেকে মনোনয়নপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ওপরের দিকেই তাকিয়ে থাকতেন। এলাকার মানুষের কথা ভাবতেন না। 

প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় হলো, তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা কি না। আমাদের জনপ্রতিনিধিদের বেশির ভাগই ‘অনাবাসী’। মনোনয়ন পাওয়ার পর অনেকে এলাকায় যান। তার আগে বা পরে এলাকাসীর সঙ্গে বেশির ভাগ জনপ্রতিনিধির যোগাযোগ ক্ষীণ। 

ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা ৫০ থেকে ১০০ বাড়ানোর বিষয়ে দু–একটি ধর্মভিত্তিক দল ছাড়া সবাই একমত হয়েছে; কিন্তু নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে তাঁদের মধ্যে দ্বিমত আছে। বিএনপি ও সমমনা দলগুলো বর্তমান পদ্ধতিতেই নির্বাচন করার পক্ষপাতী। অন্যদিকে জামায়াত, এনসিপি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সরাসরি ভোটের পক্ষে। উচ্চকক্ষের বিষয়েও অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সহমত প্রকাশ করেছে কিন্তু নির্বাচনটি কোন পদ্ধতিতে হবে, তা নিয়ে দ্বিমত আছে।

বিএনপি ও এর সমমনারা চাইছে নিম্নকক্ষের আসনের অনুপাতে উচ্চকক্ষের প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হবেন। এনসিপি, জামায়াত ও বাম দলগুলো মনে করে, ভোটের আনুপাতিক হারে এটা হওয়া উচিত। একসময় বিজয়ী দলই সংরক্ষিত সব নারী আসন পেত। বিএনপি সেই আইন বদলে নারী আসনে আনুপাতিক হারে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করেছে। সেখান থেকে এখন পিছু হটার যুক্তি কী?  

বিতর্ক আছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়েও। সংবিধান সংস্কার কমিশন যে ইলেকটোরাল কলেজের প্রস্তাব করেছে, সেটা কাদের নিয়ে হবে?

বিএনপি বলেছে, নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষের সদস্যদের ভোটে। বিরোধীরা বলেছে, যদি উচ্চকক্ষের নির্বাচন আনুপাতিক ভোটে না হয়, তাহলে সেখানে সংখ্যাগুরু দলেরই একচ্ছত্র আধিপত্য থাকবে। আবার একদিকে তারা স্থানীয় সরকার সংস্থাকে বিরাজনীতিকরণ করতে চাইছে, অন্যদিকে তাদের দিয়ে দেশের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পদে নির্বাচনের কথা বলছে—এটা স্ববিরোধী। 

প্রধানমন্ত্রীর দুই মেয়াদ নিয়ে আপত্তি তুলেছে বিএনপি। এটা যদি ভূতাপেক্ষ না হয়, তাদের এই আপত্তির পক্ষে যুক্তি আছে বলে মনে করি না। একজন দুই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ক্ষমতা ধরে না রেখে সব দলেরই উচিত নতুন নেতৃত্ব তৈরিতে মনোযোগ দেওয়া। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী পদে বিকল্প নেতৃত্ব তৈরি করা উচিত ক্ষমতাপ্রত্যাশী সব দলেরই। নেতৃত্ব চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নয়। 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে বা হবে, সেসব ভিত্তি ধরেই এগোতে হবে। এখানে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য বা সমঝোতা খুব জরুরি। 

অনেক বিষয়ে দ্বিমত থাকলেও তারা আগের অনড় অবস্থান থেকে সরে এসেছে। এটা অবশ্যই ইতিবাচক। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজের সঙ্গে আমরা আশাবাদী হতে চাই যে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, তা অবিলম্বে কেটে যাবে এবং জুলাইয়ের মধ্যেই জুলাই সনদ পাওয়া যাবে।

এদিকে লন্ডন বৈঠকের পর নির্বাচন কমিশনও নড়েচড়ে বসেছে। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে তারা রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য আচরণবিধি সংশোধন করে খসড়া অনুমোদন করেছে। এতে নির্বাচনী প্রচারে প্রার্থীদের পোস্টার বাদ দেওয়া হলেও বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন সমস্যা তৈরি করল কি না, সেটাও দেখার বিষয়। দলীয় অঙ্গীকারনামা, এক প্ল্যাটফর্মে সব প্রার্থীর ইশতেহার ঘোষণার বিষয়টিও সমর্থনযোগ্য। নির্বাচনী প্রচারসভাও সব প্রার্থী মিলে একসঙ্গে করতে পারেন। এতে প্রার্থীদের খরচ ও পারস্পরিক কাদা–ছোড়াছুড়ি কিছুটা হলেও কমবে। 

সংসদ নির্বাচনের আগে সীমানা নির্ধারণের বাধ্যবাধকতা থাকায় ৩০০ আসনের সীমানার খসড়া প্রকাশ করেছে ইসি। এ খসড়া প্রস্তাবের ওপর দাবি-আপত্তি শুনানি শেষে চূড়ান্ত সীমানার গেজেট প্রকাশ করা হয়। এখন পর্যন্ত সংসদের ৭৫টি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য ৬০৭টি আবেদন পেয়েছে ইসি।

এ টি এম শামসুল হুদা কমিশন একটি ভালো নির্বাচন করে সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছিল। কিন্তু তারা কিছু মন্দ নজিরও তৈরি করেছে। গ্রামাঞ্চলের আসন কমিয়ে শহরের আসন বাড়িয়ে দেওয়া হয় ২০০৮ সালের নির্বাচনে। কার পরামর্শে তারা এটি করেছিল, জানা নেই। এর ফলে অবহেলিত গ্রামাঞ্চল আরও অবহেলিত থেকে গেছে এবং শহুরে নাগরিকদের সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। রাষ্ট্রটি এখনো সংখ্যালঘু শহুরে নাগরিকদের থেকে গেল। গণমানুষের রাষ্ট্র হলো না। 

আশা করি, বর্তমান নির্বাচন কমিশন আসন ভাগাভাগির ক্ষেত্রে গ্রামাঞ্চলকে গুরুত্ব দেবে। গ্রামাঞ্চল থেকে যেসব আসন কর্তন করা হয়েছিল, সেগুলো ফিরিয়ে দেবে। বৈষম্যবিরোধী সফল আন্দোলনের পর যে নির্বাচন কমিশন এসেছে, তাদের কাছে এটুকু চাওয়া নিশ্চয়ই অযৌক্তিক হবে না।

সোহরাব হাসান প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক ও কবি

[email protected]

* মতামত লেখকের নিজস্ব

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রস ত ব হয় ছ ল প রক শ ত হয় ছ দ ব মত ক ষমত ব এনপ সরক র আপত ত আসন র দলগ ল

এছাড়াও পড়ুন:

এনসিসির মতো প্রতিষ্ঠান গঠনের তাগিদ অনুভব করছে দলগুলো: আলী রীয়াজ

সাংবিধানিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়ার জন্য জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের (এনসিসি) মতো প্রতিষ্ঠান গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো তাগিদ অনুভব করছে বলে মনে করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের তৃতীয় বৈঠক বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে অনুষ্ঠিত হয়। পরে কমিশনের সহসভাপতি এ কথা বলেন।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় এ আলোচনা শুরু হয়। এতে অংশ নেন বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, গণ অধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। এদিনের আলোচ্যসূচির মধ্যে ছিল আগের অসমাপ্ত আলোচনা শেষ করা, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি), রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও জেলা সমন্বয় কাউন্সিল।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে আমরা বোঝার চেষ্টা করেছি, রাজনৈতিক দলগুলো সাংবিধানিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়ার কোনো প্রতিষ্ঠান গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে কি না। আমরা দেখেছি, দলগুলো এ বিষয়ে তাগিদ দেখিয়েছে। তারা বিভিন্নভাবে সেটা বলার চেষ্টা করেছে।’

দু-একটি রাজনৈতিক দল এনসিসি গঠনের বিপক্ষে মত দিয়েছে উল্লেখ করে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে আমরা এনসিসির মতো একটি প্রতিষ্ঠান গঠনের তাগিদ দেখতে পেয়েছি। অনেকে কাঠামো এবং পরিধি নিয়ে মত দিয়েছেন। অনেকে নামের পরিবর্তন নিয়েও কথা বলেছেন। আলোচনা আগামী সপ্তাহে অব্যাহত থাকবে।’

যেকোনো আলোচনায় মতভিন্নতা থাকে উল্লেখ করে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা দলগুলোর সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন আলোচনায় বিভিন্ন মতামত পেয়েছি। তাই দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় সব দলের মতবিনিময় করার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে।’

আলোচনায় বিএনপির পক্ষ থেকে এনসিসির জবাবদিহি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘কেবল প্রধান বিচারপতি ছাড়া এনসিসির বাকি সব সদস্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। কাজেই তারা জনগণের কাছে জবাবদিহি করবে। প্রতিষ্ঠান হিসেবে যদি এনসিসির জবাবদিহির প্রশ্ন ওঠে, আমাদের মনে রাখতে হবে, এই ব্যবস্থা কাঠামোগত উপায়ে করা যায়। তবে এনসিসি গঠনের বিষয়ে একমত হওয়া প্রথম কাজ।’

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে সংস্কার কমিশন ইলেকটোরাল পদ্ধতির কথা বলেছে। বুধবারের আলোচনায় বিষয়টির মীমাংসা হয়নি। এ ছাড়া জেলা সমন্বয় কাউন্সিল নিয়েও তেমন আলোচনা না হওয়ার কথা জানিয়েছেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান তুলে ধরে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, এ ক্ষেত্রে দুটি প্রস্তাব এসেছে। প্রথমত রাষ্ট্রপতিকে সরাসরি নির্বাচনে অংশ নেওয়া আর অপরটি হলো ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় রাষ্ট্রপতিকে আরও ক্ষমতা দেওয়া। দুটি বিষয়ে আলোচনা চলমান থাকবে।

আলোচনায় জামায়াতে ইসলামীকে সময় বেশি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বামপন্থী কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দল আমাদের সহযোগিতা করছে। তবে সময়স্বল্পতার কারণে কিছু অভিযোগ আসতে পারে। আমরা বিষয়টি আমলে নিয়ে সে অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা জানিয়েছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কিছু দল অতীতের ত্রুটিপূর্ণ ক্ষমতাকাঠামোয় গিয়ে ‘ম্যানিপুলেট’ করার কথা ভাবছে: হাসনাত আবদুল্লাহ
  • ব‍্যাপক আলোচনা চললেও কোনো বিষয়েই ঐকমত‍্য হচ্ছে না: এবি পার্টি
  • দু–একটি দলের প্রস্তাবকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে: নুরুল হক
  • রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বর্ধিত ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের পক্ষে জামায়াত
  • রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের মুলতবি আলোচনা শুরু
  • দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের মুলতবি অধিবেশন শুরু 
  • এনসিসির মতো প্রতিষ্ঠান গঠনের তাগিদ অনুভব করছে দলগুলো: আলী রীয়াজ
  • এনসিসি গঠন ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেকট্রোরাল কলেজ পদ্ধতিতে সম্মত এবি পার্টি
  • দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় পারষ্পরিক অবস্থান সম্পর্কে জানার সুযোগ হ