ইরানের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক গবেষণা স্থাপনা ইসফাহান নিউক্লিয়ার টেকনোলজি সেন্টারে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাদেশিক উপ-গভর্নর।

শনিবার এই তথ্য দিয়েছে ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স‌।

ইরানের ইসফাহান প্রদেশের আরও কয়েকটি স্থানে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানানো হলেও, এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

প্রাদেশিক উপ-গভর্নরের বরাতে ফার্স‌ জানায়, ইরানি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হামলার বেশিরভাগ অংশ প্রতিহত করতে সক্ষম হলেও কিছু ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।

ফার্স জানিয়েছে, বিস্ফোরণের শব্দের অধিকাংশই ছিল বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সক্রিয় প্রতিক্রিয়া থেকে এবং বাকিগুলো ছিল শত্রুপক্ষের হামলার।

নাম প্রকাশ না করা ওই কর্মকর্তা আরও জানান, হামলার কারণে কোনো ক্ষতিকর পদার্থের গ্যাস বা বিকিরণ ছড়ায়নি। তবে সাধারণ জনগণকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যাতে উদ্ধার ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনা করা যায়।

আধা-সরকারি মেহের সংবাদ সংস্থার খবরে বলা হয়েছে, ইসফাহানের গভর্নরের কার্যালয়ের নিরাপত্তা ও আইন প্রয়োগ বিষয়ক উপ-প্রধান আকবর সালেহি জানিয়েছেন, ইসরায়েল প্রদেশটির একাধিক স্থানে হামলা চালালেও তেল শোধনাগার লক্ষ্যবস্তু ছিল না।

প্রসঙ্গত, সংঘাতের শুরুতেই ইসরায়েল ইসফাহানের পারমাণবিক প্রযুক্তি কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছিল। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক কর্মকর্তার দাবি অনুযায়ী, তখন ওই স্থাপনাটি ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়। তবে ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ক্ষয়ক্ষতি সীমিত ছিল। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, সেখানে চারটি ভবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য ল ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে ট্রেনে পাথর ছোড়ার ভিডিও ভাইরাল, ঘটনা বিশ্লেষণ করছে কর্তৃপক্ষ

রাজশাহীতে ছাত্র-জনতার জন্য সরকারের ভাড়া করা বিশেষ ট্রেন পছন্দ না হওয়ায় এই ক্ষোভ প্রকাশ করে ট্রেনের সামনে গিয়ে পাথর ছুড়ে মারেন এক তরুণ। এর আগে ওই তরুণ নিজেকে জুলাই যোদ্ধা দাবি করে বক্তব্য দেন। রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে আজ মঙ্গলবার সকালের এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

আরও পড়ুনরাজশাহীতে ট্রেন পছন্দ হয়নি, ‘জুলাই যোদ্ধারা’ বসে পড়লেন রেললাইনে৭ ঘণ্টা আগে

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, তাঁরা ঘটনাটি বিশ্লেষণ করছেন। ভিডিওর ঘটনা সত্য হলে ওই তরুণের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জুলাই যোদ্ধাদের আপত্তির মুখেও বিশেষ ট্রেনটি যেতে শুরু করলে সামনে পাথর হাতে দাঁড়িয়ে ওই তরুণ চালককে বার বার বলছেন, ‘ব্রেক ধরেন’। তারপরও ট্রেনটি এগিয়ে যেতে থাকলে হাতের পাথর ট্রেনের ওপর ছুড়ে মারেন ওই তরুণ।

ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বাবরি চুল-দাড়িওয়ালা চশমা পরা ওই তরুণ পাথর নিক্ষেপের পর ট্রেনটি থেমে যায়। কয়েক সেকেন্ড পর ট্রেনটি আবার চলতে শুরু করলে ইঞ্জিনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ওই তরুণ চালককে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘এই দাঁড়ান। দাঁড়ান, দাঁড়ান, দাঁড়ান’। পরে ট্রেনটি থেমে যায়। এ ঘটনার পর বিশেষ ট্রেনের অন্যান্য যাত্রীরা ওই তরুণকে ঘিরে ধরেন। তাঁর সঙ্গে তাঁরা বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে অন্যদের তোপের মুখে নিজের মতো মাথায় পতাকা বান্ধা আরেক তরুণকে সঙ্গে নিয়ে ভিড় ঠেলে বের হয়ে পাশের প্ল্যাটফর্মে গিয়ে সিল্কসিটি ট্রেনে উঠে বসেন ওই তরুণ।

ট্রেনে পাথর ছোড়ার বিষয়ে ১৮৯০ সালের রেলওয়ে আইনের ১২৭ ধারায় শাস্তির বিধান আছে। চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের জন্য ১০ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি ১০ বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের কথাও বলা আছে। পাথর নিক্ষেপের কারণে কোনো যাত্রী মারা গেলে ৩০২ ধারায় ফাঁসির বিধান আছে। আর পাথর নিক্ষেপকারী অপ্রাপ্তবয়স্ক হলে তাঁর অভিভাবকের শাস্তির বিধানও আছে।

সরকারের ভাড়া করা বিশেষ ট্রেন পছন্দ না হওয়ায় একজনকে রেললাইনের ওপর শুয়ে পড়তে দেখা যায়। মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী রেলস্টেশনে

সম্পর্কিত নিবন্ধ