ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে গত বুধবার টেলিভিশনে দেওয়া তার এক বক্তব্য আবারও শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়ায়, তাহলে তা হবে তাদের নিজেদের ক্ষতির জন্য।

ওই ভিডিও বার্তায় খামেনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যে ক্ষতির মুখে পড়বে, তা ইরানের যেকোনো ক্ষতির চেয়ে বহুগুণ বেশি হবে।’

মূলত ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আয়াতুল্লাহ খামেনির টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে ওই বক্তব্য আবার শেয়ার করা হয়েছে।

এর আগে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালিয়েছে বলে জানান দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সফল হামলা সম্পন্ন করেছে। এসব স্থাপনার মধ্যে রয়েছে ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান।

নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা—ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহানে—খুবই সফলভাবে হামলা সম্পন্ন করেছি। সব বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে।’

ট্রাম্প একটি ওপেন-সোর্স ইন্টেলিজেন্স অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে- শক্তিশালীভাবে সুরক্ষিত ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা নাই হয়ে গেছে। আল–জাজিরা।

এদিকে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) জানিয়েছে, সামরিক ও নিরাপত্তাজনিত কারণে দেশজুড়ে জনসাধারণের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ আরও কঠোর করা হয়েছে।

এটি ইরানের পাল্টা প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কার প্রেক্ষাপটে নেওয়া পদক্ষেপ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র ইসর য় ল য ক তর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

বাজেট অনুমোদন, থাকছে না কালো টাকা সাদা করার সুযোগ

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ না রেখে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। 

রবিবার (২২ জুন) দুপুরে অর্থ উপদেষ্টার সালেহউদ্দিন আহমেদের পক্ষ থেকে নতুন অর্থবছরে জন্য ৭ লাখ ৯০ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদ তা অনুমোদন দেয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক হয়। 

গত ২ জুন টেলিভিশনে বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা। চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৭ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে যার আকার ধরা হয় ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। আর এনবিআরকে আদায়ের লক্ষ্য দেওয়া হয় ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি। বাজেট ঘাটতি ধরা হয় জিডিপির ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। নতুন বাজেটের মাধ্যমে সাড়ে ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য অন্তবর্তী সরকারের। 

ঢাকা/হাসান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ