করোনায় বছরের একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু
Published: 22nd, June 2025 GMT
দেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে দেড় বছর চলতি মাসের ৫ জুন করোনায় প্রথম একজনের মৃত্যু হয়েছিল। এখন পর্যন্ত দেশে এ রোগে মারা গেছে ১৬ জনের। সকলেই এ মাসে মারা গেছেন।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে চারজনেরই বয়স ৪০’র বেশি। একজনের বয় ১১ থেক ২০ বছরের মধ্যে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬২১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। শনাক্তের শতকরা হার ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, ২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ২৯ হাজার ৫১৫ জন। এছাড়া ২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৯৭৮ জন। এর মধ্যে গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৪৩৩ জন শনাক্ত হন।
জনস্বাস্থ্য বিশেষ ডা.
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে চার জন পুরুষ এবং একজন নারী। তাদের মধ্যে ঢাকায় একজন, চট্টগ্রামে তিন জন এবং রাজশাহীতে একজন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক হালিমুর রশীদ আজ প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক বছর পর একদিনে পাঁচজনের মৃত্যু হলো।
যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে তাদের প্রত্যেকেরই পার্শ্ব অসুখ ছিল। একজন মারা গেছেন হার্ট অ্যাটাকে, সঙ্গে করোনাও ছিল। আবার একজনের দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তিনিও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জন র ম ত য কর ন য়
এছাড়াও পড়ুন:
এক কাপ কফি খাও, তারপর লিখতে বসো—মতি ভাই বললেন
‘অতর্কিতেই আকাশ আনল
বিদ্যুৎময় আলোকচিত্র
নতুন একটা কবিতা পড়তে
উঠে দাঁড়ালেন অরুণ মিত্র।’—কবির সুমন
যখন মোবাইল ফোনের চার্জ কমে আসে, আপনি কী করেন? চার্জ দেন। যখন আপনার মনের চার্জ কমে আসে, আপনি কী করেন? আমি কী করি, আপনাকে বলি। আমি সাইফুল সামিনকে দেখি। আমাদের সহকর্মী, বন্ধু, তরুণতর সাইফুল ইসলাম ওরফে সাইফুল সামিন। এখন সামিনের বয়স ৪০ ছুঁয়েছে। সাইফুল সামিন প্রথম আলোয় এবার অন্যতম সেরা কর্মীর পুরস্কার পেয়েছেন। সাইফুল সামিন আজ থেকে ১৭ বছর আগে ছিলেন একজন তরুণ শিক্ষার্থী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র। প্রথম আলোর ঢাকায় থাকি পাতায় প্রদায়ক হিসেবে লিখতেন। খবর সংগ্রহ করতেই গিয়েছিলেন তেজগাঁও রেলস্টেশনে। দুর্ভাগ্যক্রমে ট্রেনের নিচে তাঁর দুই পা চলে যায়, প্রায় কোমরের কাছাকাছি জায়গা থেকে তাঁর দুটো পা কাটা পড়ে। সেই সাইফুল সামিন বেঁচে যান। প্রথম আলো তাঁর চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর দুটো কৃত্রিম পায়ের তহবিল জোগাড়ের জন্য ক্যাম্পেইন শুরু করে। প্রথম আলো তাতে হাত মেলায়। অনেকের সহযোগিতায় কৃত্রিম পা নিয়ে উঠে দাঁড়ান সাইফুল সামিন।
সাইফুল অন্য যেকোনো সাংবাদিকের মতো নিয়মিত আসেন প্রথম আলোয়। একজন সহকারী নিয়োগ দিয়ে রেখেছেন তিনি, তাঁকে চলাচলে সাহায্য করার জন্য। তিনি ৫ মিনিট দেরিও করতে চান না। কারও চেয়ে কম কাজও করেন না। তিনি যে আমাদের সেরা কর্মীর পুরস্কার পাবেন, তাতে আর আশ্চর্য কী!
সেরা কর্মীদের একজন সাইফুল সামিন