গলে প্রথম ইনিংসে ফাইফার, দ্বিতীয় ইনিংসে এক উইকেট—বিদেশের মাটিতে প্রথমবার বোলিং করার সুযোগ পেয়ে বাজিমাত করেছেন নাঈম হাসান। অথচ তার খেলার সুযোগ হতো কি না, সেটাই ছিল বিরাট প্রশ্ন। মেহেদী হাসান মিরাজ জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় গলে খেলতে পারেননি। কলম্বোতে তার ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। মিরাজ ফিরলে একাদশের বাইরে যেতে হবে নাঈমকে? সেই প্রশ্নই উঁকি দিচ্ছে সর্বত্র।

কলম্বোতে কেমন একাদশ হতে পারে? সাবেক অধিনায়ক ও নির্বাচক হাবিবুল বাশার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানালেন, সিংহলিজ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে পাঁচ বোলার নিয়ে খেলতে পারে বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে নাঈম ও মিরাজ দুজনকেই একাদশে রাখা সম্ভব। বাড়তি একজন ব্যাটসম্যানকে বাইরে রেখে বোলিং শক্তি বাড়ানোর পক্ষে তিনি।

মিরপুরে তিনি বলেছেন, “মিরাজ ফিরে আসলে আমরা পাঁচজন বোলার নিয়ে খেলতে পারি। এসএসসিতে পরের ম্যাচ। প্রথম দিনের পর ওখানে উইকেট ফ্ল্যাট হয়ে যায়, যেখানে তিনজন ফাস্ট বোলার নিয়ে খেলে না আসলে। আমি জানি না উইকেট কেমন হবে, উইকেটের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করবে। মিরাজ ফিরে আসলে পাঁচজন বোলার নিয়ে যেতেই পারি। সেক্ষেত্রে একজন ব্যাটসম্যান বসাতে হবে। সেটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কারণ সে ব্যাটিং-বোলিং দুই দিকেই ক্যাপাবল।”

আরো পড়ুন:

দুঃসময়ে পাশে থাকার আর্জি

টেস্ট ক্রিকেটকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্বাগত জানাচ্ছে: বুলবুল

দেশের মাটিতে দুই ডানহাতি অফস্পিনার খেলানোর চিন্তা করতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। মিরাজ ও নাঈম একসঙ্গে খেলতে পারেন। তবে দেশের বাইরে সেই পরিকল্পনা থেকে সরে আসে দল। ব্যাটিংয়ে এগিয়ে থাকায় মিরাজ হয়ে যান ‘অটোমেটিক চয়েস’। ফলে নাঈমকে থাকতে হয় ডাগআউটে, সুযোগের অপেক্ষায়। জুটি বেঁধে তারা কলম্বোতে একসঙ্গে হাত ঘোরাতে পারেন কি না, সেটাই দেখার বিষয়।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকসু নেতার প্রবীণ ব্যক্তিকে লাঠি হাতে শাসানো নিয়ে সমালোচনা-বিতর্ক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ডাকসুর এক নেতার একজন প্রবীণ ব্যক্তিকে লাঠি হাতে শাসানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ডাকসুর কার্যনির্বাহী সদস্য সর্বমিত্র চাকমা ওই ব্যক্তিকে লাঠি হাতে শাসাচ্ছেন এবং ক্যাম্পাস থেকে চলে যেতে বলছেন। ভিডিওতে আরও দেখা যায়, প্রক্টরিয়াল টিমের একজন সদস্য ওই ব্যক্তির ব্যাগে লাঠি দিয়ে কয়েকবার আঘাত করছেন।

গত মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা। অনেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবীণ এক ব্যক্তির সঙ্গে এমন আচরণের প্রতিবাদ জানান। আবার কেউ কেউ এ ঘটনার পক্ষে অবস্থান জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে সর্বমিত্র চাকমা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘যে বৃদ্ধ লোকটিকে দেখছেন, আমি শুরুর দিন থেকে এই লোককে সেই মেট্রোস্টেশন থেকে তুলছি প্রতিরাতে। লোকটা ক্যাম্পাস ছেড়ে যায়-ই না, ওনার সাথে আরেকজন আরও বৃদ্ধ, উনিও মাদকাসক্ত। এই লোকের কাছে এর আগে একবার গাঁজা পাওয়া গেছিল। এই লোকগুলোকে তোলাটা অত্যন্ত কঠিন, তুললে আগায় ৪ কদম। তাই লাঠিসোঁটা ছাড়া বা ভয়-ভীতি প্রদর্শন না করে তাদের তোলা যায়–ই না।’

ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এ বি জুবায়ের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে সর্বমিত্র যেই মুরুব্বিকে লাঠি হাতে শাসাচ্ছে, তিনি একজন মাদক কারবারি। বেশভূষা দেখে বোঝার উপায় না থাকলেও সত্য হচ্ছে, তিনি ক্যাম্পাস এরিয়ায় মাদক কারবারের সাথে জড়িত। তাকে বারবার উঠিয়ে দেওয়া হলেও তিনি ক্যাম্পাস এরিয়া ছাড়ছেন না। কারণ, এইখানে তার মাদকের কারবার!  সর্বমিত্রের নিজেই লাঠি হাতে নিয়ে মুরুব্বিকে শাসানোর এই অ্যাপ্রোচকে আমি ঠিক মনে করি না। প্রক্টরিয়াল টিমের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নিলে ব্যাপারটা আরও সুন্দর হতো।’

ঘটনার সমালোচনা করেছেন ছাত্রদলের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইব্রাহিম হোসেন। ভিডিওটি ফেসবুকে শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘বাবা, তুমি একটু শান্ত হও, তার হাঁটুর বয়সও হয়নি তোমার। ক্ষমতা পাইছ, তার মানে এই না যে অপব্যবহার করবে। সেদিন তো ছবি তোলা নিয়ে কত জ্ঞান দিলেন—মবের ছবি তোলা নিষিদ্ধ, আজকে কে যেন ভুলে ভিডিও করছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আমার বাবা ফয়েজ আহমেদ ফয়েজের স্মৃতি
  • সিরিয়ায় বিমান ঘাঁটি করবে যুক্তরাষ্ট্র
  • অ-অভিবাসী ৮০ হাজার ভিসা বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন
  • মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ: বিএনপিতে যোগ দিলেন যে কারণে 
  • যে ৪ ‘মানি রুল’ ধনীরা কাউকে বলেন না
  • নিউ ইয়র্ক-এর ফাস্ট লেডি ‘রামা দুয়াজি’
  • রোমান সম্রাজ্ঞী মেসালিনাকে যেকারণে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিলো
  • ডাকসু নেতার প্রবীণ ব্যক্তিকে লাঠি হাতে শাসানো নিয়ে সমালোচনা-বিতর্ক
  • গরু আর বকের একসঙ্গে চলাফেরা
  • হানিয়ার ভাঙা প্রেম জোড়া লেগেছে?