‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’, ৮ বউ সামলাতে পারলেন মোশাররফ
Published: 23rd, June 2025 GMT
‘তুই বিয়া কয়ডা করসস?’ ‘চাইরডা।’ ‘আমি কয় নম্বর?’ ‘৬ নম্বর।’ মুক্তির আগেই ট্রেলারের এই সংলাপে মাত হয়ে ছিল নেট–দুনিয়া। মোশাররফ করিমের সংলাপ আর একে একে পর্দায় আসা ৮ বউয়ের ছবি বলে দিচ্ছিল, এক দারুণ কমেডি সিরিজ দেখতে চলেছেন দর্শক। শেষ পর্যন্ত কেমন হলো অমিতাভ রেজা চৌধুরীর ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’?
একনজরেওয়েব সিরিজ: ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’
ধরন: কমেডি ড্রামা
স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম: হইচই
পরিচালক: অমিতাভ রেজা চৌধুরী
চিত্রনাট্য ও সংলাপ: অমিতাভ রেজা চৌধুরী, মো.
আলম ভুঁইয়া ও বিধান চন্দ্র দাস
অভিনয়: মোশাররফ করিম, তানজিকা আমিন, রুনা খান, সাদিয়া আয়মান, মৌসুমী হামিদ, রোবেনা রেজা জুঁই, ফারহানা হামিদ, সারাহ জাবিন অদিতি, আসমা উল হুসনা বৃষ্টি, রাকিব ইভন
পর্ব সংখ্যা: ৭
রানটাইম: ২৪-২৬ মিনিট
সুন্দরীকে (সাদিয়া আয়মান) নিয়ে পালাচ্ছিল ট্রাকড্রাইভার আব্বাস (মোশাররফ করিম)। তার পেছনে ধেয়ে আসতে থাকে ৯ নম্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন (সুমন পাটোয়ারী)। সে নিজের পরিচয় দেয় ‘সুন্দরী তার সুগার ড্যাডি’ বলে। পাশ থেকে বন্দুক হাতে থাকা সাগরেদ ঠিক করে দেয় তার কথা। বলে, ‘সুন্দরী আপনের সুগার ড্যাডি না, আপনে সুন্দরীর সুগার ড্যাডি।’ শুরুর এমন মজার দৃশ্যকল্প নিয়ে এগিয়ে যায় ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’।
বুদ্ধি করে ঠিকই সুন্দরীকে নিয়ে পালাতে পারে আব্বাস। তবে সুন্দরীকে সে বিয়ে করতে চায় না। কারণ, ৮ সংখ্যাটি তার জন্য অশুভ। তার একটাই কথা, ‘আট মানে নট।’ সিরিজটির ট্যাগ লাইনও এটা। কিন্তু চাপে পড়ে সুন্দরীকে বিয়ে করতে বাধ্য হয় সে। আর তার পর থেকেই ঘটতে থাকে একের পর এক অঘটন। আট বউকে কি আব্বাস বুঝ দিতে পারে? নাকি নিজেই নিজের ফাঁদে আটকা পড়ে?
আরও পড়ুনশাকিবের ‘তাণ্ডব’-এ কী আছে, কী নেই১১ জুন ২০২৫হইচইয়ে এর আগে ‘ঢাকা মেট্রো’ ও ‘বোধ’ নামে দুটি সিরিজ বানিয়েছিলেন অমিতাভ। ঢাকা মেট্রোর মতো ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ও রোড সিরিজ। তবে মেজাজে পুরোপুরি আলাদা। বিয়ের রূপকে আসলে সমাজের একটা গল্প বলতে চেয়েছেন অমিতাভ রেজা। যেখানে নারীদের সংগ্রাম, তাঁদের যাপন ফুটে উঠেছে। সিরিজটিতে মোটাদাগে নারীর জীবনের গল্পই দেখানো হয়েছে। অসহায়ত্ব যেমন এসেছে, তেমনি এসেছে নূরজাহানের (তানজিকা আমিন) মতো স্বনির্ভর নারীর সাহস আর আত্মবিশ্বাসের গল্পও।
‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’র পোস্টার। হইচইউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কয়েকটি রাজনৈতিক দলের জেদ ও ভুলের কারণে নির্বাচন হুমকির মুখে পড়তে পারে: এবি পার্টি
দীর্ঘ আলোচনা ও যুক্তিতর্কের পরও সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ চূড়ান্ত হলেও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের জেদ ও ভুলের কারণে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন এবং জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে এবি পার্টি।
আজ রোববার দলের জাতীয় নির্বাহী কাউন্সিলের (এনইসি) এক বিশেষ সভায় দলের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে দলের কর্মনীতি নির্ধারণ, জাতীয় নির্বাচন প্রস্তুতি ও জোট গঠন–সম্পর্কিত আলোচনার জন্য রোববার সন্ধ্যায় এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দলটির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল জাতীয় ঐক্য, কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক দূরত্ব ও কাদা-ছোড়াছুড়িতে জাতীয় ঐক্য এবং রাজনৈতিক সহাবস্থানের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, যা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের উদ্দেশ্যের বিপরীত। এ ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার পদক্ষেপ অস্পষ্ট। তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতীয় ঐক্য রক্ষা ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা দূর করতে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
জুলাই সনদে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার পর বাস্তবায়নের পন্থা নিয়ে নানা মত তৈরি হওয়া দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন হওয়া উচিত।
জুলাই সনদের ভিত্তিতেই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে দলের অবস্থান তুলে ধরে মজিবুর রহমান বলেন, কোনো পদক্ষেপই যেন ফেব্রুয়ারিতে সম্ভাব্য জাতীয় নির্বাচন ব্যাহত না হয়, সেদিকে দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।
সভায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আবদুল ওহাব মিনার, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কাশেম, গোলাম ফারুক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়াসহ জাতীয় নির্বাহী পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা।