এইচএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে জনসাধারণ প্রবেশ নিষিদ্ধ করল ডিএমপি
Published: 23rd, June 2025 GMT
আগামী বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা। রাজধানীর কেন্দ্রগুলোতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা সম্পন্নের লক্ষ্যে কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
আজ সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী এ–সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। পরে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘পরীক্ষাকেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে পরীক্ষার্থী এবং পরীক্ষা–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ব্যতীত জনসাধারণের অনধিকার প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৬ জুন থেকে পরীক্ষার দিনগুলোতে এই আদেশ বহাল থাকবে। ডিএমপি কমিশনার তাঁর অর্পিত ক্ষমতাবলে এ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।’
এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে নিয়মিত-অনিয়মিত মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থী ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি পরীক্ষার্থী ১০ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি পরীক্ষায় অংশ নেবে। পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ১০ আগস্ট।
আরও পড়ুনএইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মানতে হবে যে ১০ বিশেষ নির্দেশনা২২ জুন ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ র থ
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে
নারায়ণঞ্জের সোনারগাঁয়ে প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শিশির হালদার নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। উপজেলার কাচঁপুর সোনাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই যুবতীর বাবা বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগের বিবরনীতে ওই ছাত্রীর বাবা উল্লেখ করেন, উপজেলার কাচঁপুর সোনাপুর এলাকার কমল হালদারের ছেলে শিশির হালদার তার মেয়েকে বাসায় প্রাইভেট পড়াইতো। প্রাইভেট পড়ানোর সময় নানা ভাবে ফুসলাইয়া এবং প্রলোভন দেখাইয়া প্রেমের প্রস্তাব দেন। প্রথমে বিবাদীর প্রস্তাবে রাজী না হইলেও একপর্যায়ে শিশির হালদারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়িয়া ওঠে। প্রেমের সম্পর্ক গড়িয়া ওঠার পরে শিশির হালদার তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখাইয়া বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়া শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। পরে শিশির হালদারকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে কালক্ষেপন করিতে থাকে। একপর্যায়ে আমার মেয়ে ০৩ মাসের গর্ভবতী হয়ে পড়লে বিষয়টি শিশির হালদারকে জানাইলে ওষুধ সেবন করে পেটের বাচ্চা নষ্ট করে দেয় ।
বিষয়টি নিয়ে আমি তার পরিবারকে জানানোর পর শিশির হালদারের বাবা কমল হালদার ও ছোট ভাই পিয়াস হালদার আমাদের মারধর করে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
সোনারগাঁ থানার ওসি মফিজুর রহমান জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।