ইইউর বাজারে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ চীনের কাছাকাছি
Published: 23rd, June 2025 GMT
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে দীর্ঘদিন ধরেই শীর্ষে রয়েছে চীন। তবে এবারে পোশাক রপ্তানিতে দেশটির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি চীনের চেয়ে মাত্র ৩২ কোটি ডলার কম হয়েছে।
ইইউর পরিসংখ্যান কার্যালয়ের (ইউরোস্ট্যাট) তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে চলতি বছরের প্রথম চার মাস জানুয়ারি-এপ্রিলে ৩ হাজার ২৪৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কোম্পানিগুলো। এ আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি।
আলোচ্য চার মাসে ইইউর বাজারে চীন ৮৩৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। এ রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে একই সময়ে ইইউর বাজারে বাংলাদেশ ৮০৭ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি।
ইউরোস্ট্যাটের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০২৩ ও ২০২৪ সালে ইইউর বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে চীনের তুলনায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেশ পিছিয়ে ছিল। যদিও গত বছর চীনের চেয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি বেশি ছিল।
২০২৩ সালে ইইউর বাজারে চীন ২ হাজার ৫৪১ কোটি ডলার ও বাংলাদেশ ১ হাজার ৮৮৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে। পরের বছর (২০২৪) চীনের রপ্তানি ২ দশমিক ৬১ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৬০৭ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। অন্যদিকে বাংলাদেশের রপ্তানি দাঁড়ায় ১ হাজার ৯৭৮ কোটি ডলার। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ছিল ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
ইইউর বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে অর্থের হিসাবে পিছিয়ে থাকলেও পরিমাণে চীনকে টপকে যায় বাংলাদেশ, ২০২২ সালে। সেবার বাজারটিতে বাংলাদেশ ১৩৩ কোটি ও চীন ১৩১ কোটি কেজি কাপড়ের সমপরিমাণ তৈরি পোশাক রপ্তানি করে। গত বছর চীনের চেয়ে ২ কোটি কেজির সমপরিমাণ তৈরি পোশাক কম রপ্তানি করে বাংলাদেশ। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ চীনকে ছাড়িয়ে গেছে। এ সময়ে বাংলাদেশ ৪৮ কোটি ও চীন ৩৮ কোটি কেজি কাপড়ের সমপরিমাণ তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে।
বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানির আর্থিক মূল্যে শেষ পর্যন্ত চীনকে টপকে শীর্ষ স্থানে পৌঁছাতে পারবে কি না, এমন প্রশ্ন করা হয় তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেলকে। জবাবে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ইইউর বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশের ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এটি বজায় থাকলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে চীনকে টপকে যেতে পারে বাংলাদেশ।
ইইউর বাজারে চীন ও বাংলাদেশের পর শীর্ষ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হচ্ছে তুরস্ক, ভারত, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, মরক্কো, শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়া। এর মধ্যে চলতি বছরের প্রথম চার মাসে তুরস্ক ৩১০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। দেশটির রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ৪১ শতাংশ কমেছে। এ বাজারে গত বছর তুরস্ক ১ হাজার ৮ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে।
চলতি বছরের জানুয়ারি-এপ্রিল সময়ে ইইউর বাজারে ভারত ২০১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সাড়ে ২০ শতাংশ বেশি। একই সময়ে কম্বোডিয়া ১৫৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। তাদের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বছর র প রথম চ র ম স ইইউর ব জ র প রব দ ধ পর ম ণ দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
সরাসরি: ‘যে আলোচনার টেবিল ইরান কখনও ছাড়েনি, সেখানে কীভাবে ফিরবে?’
ইরানে মার্কিন হামলার পর যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পক্ষ থেকে ইরানকে আবারো আলোচনার টেবিলে ফেরার আহ্বান জানানো হয়েছে। এমন আহ্বানের পর কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “যে আলোচনার টেবিল ইরান কখনও ছাড়েনি, সেখানে কীভাবে ফিরে আসবে?”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক্সে দেওয়া এক বার্তায় তিনি লেখেন, “গত সপ্তাহে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় ছিলাম, আর ঠিক তখনই ইসরায়েল সেই কূটনীতি উড়িয়ে দিল। এবার আমরা ইইউর সঙ্গে বৈঠকে বসেছি, তখন আবার যুক্তরাষ্ট্র তা উড়িয়ে দিল। এবার আপনি বলুন—এই পরিস্থিতিতে দায়টা কার?”
তিনি আরো লেখেন, “ব্রিটেন ও ইইউর উচ্চ প্রতিনিধিরা বলছেন, ইরানকে আলোচনায় ফিরতে হবে। কিন্তু ইরান তো কখনও আলোচনার টেবিল ছাড়েইনি।”
আরো পড়ুন:
‘পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি থেকে সরে আসার আইনি অধিকার আছে ইরানের’
কূটনীতির মাধ্যমে সংকট সমাধানের আহ্বান অস্ট্রেলিয়া- নিউজিল্যান্ডের
ঢাকা/ইভা