দিনাজপুরের বিরামপুরে এক অসহায় বৃদ্ধের শেষ সম্বল একটি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গরু চোর ও কসাই দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। চোরাই গরুর মাংস পাওয়া গেছে কসাইয়ের ডিপ ফ্রিজে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় পৌর শহরের জোয়াল কামরা গ্রাম থেকে চোর ও কসাইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়াও ফ্রিজ থেকে চোরাই গরুর গোটা মাংস, মাথা ও চামড়া জব্দ করে পুলিশ। 

গ্রেপ্তারকৃতরা, বিরামপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জোয়াল কামরা গ্রামের মৃত আজহার আলীর দুই ছেলে মেহেদুল ইসলাম (৪২) ও রাজু (৩৫)। এদের মধ্যে মেহেদুল ইসলাম শহরের কলেজ বাজারে গরুর মাংস বিক্রি করে থাকে (কসাই)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, “তাদের এক ভাই চোর অপর ভাই কসাই। চোর গরু চুরি করে আর কসাই সেই গরু নিমিষেই জবাই করে বাজারজাত করে। মঙ্গলবার ভোররাতে পৌর শহরের বেগমপুর গ্রামের অসহায় বৃদ্ধ ইদ্রিস আলীর (৭৫) শেষ সম্বল একটি গরু চুরি হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, গরুটি চুরি করেছে পার্শ্ববর্তী জোয়াল কামরা গ্রামের রাজু। এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চোর রাজু এবং কসাই মেহেদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। কসাই মেহেদুলের ফ্রিজ থেকে কয়েক খণ্ড আকারে সম্পূর্ণ গরুর মাংস এবং ঘর থেকে গরুর মাথা ও চামড়া জব্দ করা হয়।”

তিনি আরও জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দিনাজপুর জেলহাজতে পাঠানো হবে।

ঢাকা/মোসলেম/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শিশু জিনিয়ার হৃদ্‌যন্ত্রের ছিদ্রের চিকিৎসায় সহায়তা প্রয়োজন

মাত্র চার লাখ টাকায় সুস্থ হয়ে যেতে পারে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী জিনিয়া আক্তার (১১)। চলতি বছরের শুরুতে তার হৃদ্‌যন্ত্রে ছিদ্র শনাক্ত হয়েছে। এ জন্য জরুরি অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। কিন্তু তার পরিবারের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না।

জিনিয়া নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের কলমদার গ্রামের আবদুল জব্বারের মেয়ে। আবদুল জব্বার পেশায় গ্রাম পুলিশ।

আবদুল জব্বার বলেন, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া চার শতাংশ ভিটেবাড়িই তাঁর একমাত্র সম্বল। পরিবারে বৃদ্ধ বাবা, মা, স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। পরিবারে তিনিই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। গ্রাম পুলিশের চাকরি করে মাসে সাত হাজার টাকা বেতন পান। এই আয়ের ওপর নির্ভর করে কোনোরকমে চলে তাঁর সংসার।

এমন পরিস্থিতিতে মেয়ের জীবন বাঁচাতে দেশের হৃদয়বান মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন আবদুল জব্বার। জিনিয়ার জন্য সহায়তা পাঠানো যাবে আবদুল জব্বার, হিসাব নম্বর; ৫৩০৫৮৩৪১২৬৪২৩, সোনালী ব্যাংক, ডোমার শাখা, নীলফামারী। মুঠোফোন নম্বরে— 01774644253 (বিকাশ)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ