ফতুল্লা বাজার পরিচালনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত
Published: 5th, October 2025 GMT
পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, আধুনিকীকরণ, উন্নয়ন এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্দেশ্যে ফতুল্লা বাজার পরিচালনা কমিটির জরুরি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকেলে ফতুল্লা চৌধুরী বাড়ী পারিবারিক মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ফতুল্লা বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক হাজী রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফতুল্লা বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও নারায়নগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের পরিচালক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন একটি মহল নিজেদের স্বার্থ হাসিলে ফতুল্লা বাজার কে পুঁজি করে নিজেদের ভাগ্য উন্নয়ন করলেও বাজারের ব্যবসায়ীদের এবং বাজারের অবকাঠামোর কোন উন্নয়ন হয়নি।
কমিটিতে থাকা শির্ষস্থানীয় কর্তারা বিচারের নামে ব্যবসায়ীদের আর্থিক জরিমানা করেছে। ব্যবসায়ীরা খোলা আকাশের নিচে রোদে পুরে, বৃস্টিতে ভিজে দোকানদারি করেছে। অথচ সরকার লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে ব্যবসায়ীদের বসার জন্য স্থান(শেড) করে দিয়েছিলো তবে তা পরিকল্পনাহীন ছিলো।
দোকানীরা যাতে ঠিক মতো বসে ব্যবসা করতে পারে পরিকল্পনামতো বসার স্থান নির্মানের জন্য সরকারি কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে তা করা হবে ব্যবসায়ীদের আশ্বাস দেন।
তাছাড়া জেলা প্রশাসক কতৃক ময়লা ফেলার জন্য যে ডাম্ফ বা স্থান করা হয়েছে বাজারের ময়লাগুলো সেখানেই ফেলানোর জন্য অনুরোধ করে বলেন বাজার পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা রাখার দ্ধায়িত্ব প্রতিটি দোকানদার ও ব্যবসায়ীদের নিতে হবে।
একই সাথে অতিতের মতো যাতে দোকানগুলোতে যাতে চুরি না হয় সে জন্য আলোচনা করে নিরাপত্তা জোরধারের পাশাপাশি পুরো বাজার এলাকা কে সিসিটিভির আওতায় আনা হবে।
সভায় বাজার অবকাঠামো সংস্কার, পরিচ্ছন্নতা, কমিটি গঠন,বাজারের ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা, নির্বাচন সহ সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আলোচনা সভায় বাজারের বিভিন্ন দোকানিরা তাদের অভিযোগ তুলে ধরে বলেন,শেডগুলো এমন ভাবে তৈরি করেছে যেখানে বসার কোন উপক্রম নেই। নতুন শেড তৈরি করার ফলে ব্যবসায়ীদের জায়গা ছোট হয়ে গেছে। ফলে চার বছরের ও বেশী সময় ধরে ব্যবসায়ীরা রোদে পুরে ও বৃস্টিতে ভিজে শেডের বাইরে দোকানি করে আসছে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি নুর ইসলাম নুরু,ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক নিয়াজ মোহাম্মদ মাসুম, ফতুল্লা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য কাজী মাঈনুদ্দিন, জুয়েল চৌধুরী, দোকান জায়গার মালিক শরিফ চোধুরী,ব্যবসায়ী দিপু চৌধুরী, ব্যবসায়ী মোঃ শহিদুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, মোঃ জাকির চৌধুরী, মোঃ জহিরুল ইসলাম, মোঃ সাইফুল ইসলাম, হাজী মোঃ বাদল, মোঃশফিউল্লাহ ভান্ডারী, মোঃ বিল্লাল হোসেন, সঞ্চলনায় আনোয়ার হোসেন সজিব।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ব যবস য় দ র ল ইসল ম কম ট র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তায় পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
টানা ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলায় নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। হাতীবান্ধার ছয়টি ইউনিয়নসহ পাটগ্রামের দহগ্রাম ইউনিয়নে বন্যা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পক্ষ থেকে রেড অ্যালার্ট জারির পর মাইকিং করে তিস্তাপারের বাসিন্দাদের সরে যেতে বলা হয়েছে।
পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আজ রোববার ও আগামীকাল সোমবার ভারী বৃষ্টিপাতের প্রভাবে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে লালমনিরহাটসহ নীলফামারী ও রংপুর জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা আছে। ইতিমধ্যে হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলায় তিস্তা নদীর পানি বাড়ায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে দুই উপজেলার প্রায় আড়াই হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে পুকুর, আমনের খেতসহ আগাম শীতকালীন সবজির খেত।
পাউবো সূত্র জানায়, আজ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ২৫ মিটার। অর্থাৎ স্বাভাবিক বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার থেকে ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আজ দুপুর ১২টায় পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বেলা তিনটায় বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
তিস্তায় পানি বাড়ায় হাতীবান্ধা উপজেলার ছয় ইউনিয়নের অন্তত ১০টি চর ও নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের তিস্তা চরাঞ্চলসহ মুন্সিপাড়া, ক্লিনিকপাড়া, কাদেরের চর, মহিমপাড়া, চরপাড়া, কাতিপাড়া, সৈয়দপাড়া এলাকায় পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় পাউবোর কর্মীরা তিস্তাপারের বাসিন্দাদের মাইকিং করে সরে যেতে বলেন।
হাতীবান্ধার সিন্দুর্না ইউনিয়নের চরসিন্দুর্না এলাকার এনামুল হক বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে তাঁদের এলাকায় বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। বাড়িঘরে পানি উঠেছে। পরিবার নিয়ে তাঁরা কষ্টে আছেন।
পাটগ্রামের দহগ্রাম ইউনিয়নের কাতিপাড়া গ্রামের আমির হোসেন বলেন, বন্যায় ঘরে পানি ওঠায় রান্না করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। পরিবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। পানি সড়কের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একটি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম মিঞা প্রথম আলোকে বলেন, ‘নদীর পানি অব্যাহতভাবে বাড়ছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে বন্যার পানি ঢুকেছে। প্রায় দুই হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন বন্যার ক্ষয়ক্ষতি রোধে কাজ করছে।’
পাউবোর লালমনিরহাট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার প্রথম আলোকে বলেন, ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বেড়েছে। বর্তমানে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।