ফ্লাইট এক্সপার্টের সঙ্গে সৌদি পর্যটন সংস্থার অংশীদারত্ব ঘোষণা
Published: 9th, July 2025 GMT
বাংলাদেশের অন্যতম অনলাইন ট্রাভেল প্ল্যাটফর্ম ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট’ এখন থেকে সৌদি আরবের সরকারি পর্যটন সংস্থা বা ‘সৌদি ট্যুরিজম অথরিটি’র গর্বিত অংশীদার। এই গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য সৌদি আরব ভ্রমণ হবে আরও সহজ, সাশ্রয়ী ও পরিকল্পিত।
প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ মানুষ সৌদি আরব ভ্রমণ করেন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ হজ ও ওমরাহ পালনের জন্য যান। অন্যদের ভ্রমণ হয় বিভিন্ন কাজ, ব্যবসা কিংবা আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করার জন্য। এই বিপুলসংখ্যক ভ্রমণকারীর অভিজ্ঞতা আরও উন্নত ও ঝামেলামুক্ত করতেই মূলত ফ্লাইট এক্সপার্ট সরাসরি কাজ করবে সৌদি ট্যুরিজম অথরিটির সঙ্গে।
এই পার্টনারশিপের উদ্দেশ্য একটিই—বাংলাদেশি ভ্রমণকারীদের জন্য সৌদি ভ্রমণের প্রতিটি ধাপ, যেমন ভিসা প্রসেসিং, ফ্লাইট ও হোটেল বুকিং, স্থানীয় বিভিন্ন পরিষেবা ইত্যাদি আরও সহজ, দ্রুত ও সুবিধাজনক করে তোলা। ভ্রমণের সময় যাত্রীরা যেসব সাধারণ সমস্যার সম্মুখীন হন, যেমন তথ্যের ঘাটতি, অতিরিক্ত খরচ, ভাষাগত জটিলতা ইত্যাদি এই পার্টনারশিপের মাধ্যমে সমাধান করা হবে।
আর এখন থেকেই সৌদি আরব যেতে ইচ্ছুক পর্যটকেরা ফ্লাইট এক্সপার্টের ‘এক্সক্লুসিভ অফার’ ও ‘সুপার সেভার ডিলস’–এ ফ্লাইট ও হোটেল বুক করতে পারবেন, যা ভ্রমণকে করে তুলবে আরও সাশ্রয়ী ও ঝামেলামুক্ত।
এই পার্টনারশিপের অংশ হিসেবে ফ্লাইট এক্সপার্ট তাদের ওয়েবসাইটে দ্রুতই চালু করবে ‘সৌদি ট্যুরিজম’ নামের একটি বিশেষ সেকশন। যেখানে থাকবে সৌদি আরবের ধর্মীয় স্থান, সাংস্কৃতিক আয়োজন, কনসার্ট, ফেস্টিভ্যাল, অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরসহ নানা অভিজ্ঞতার বিস্তারিত তথ্য ও আগাম বুকিংয়ের সুবিধা।
সৌদি ট্যুরিজম অথরিটি ও ফ্লাইট এক্সপার্ট যৌথভাবে কাজ করছে সৌদি ভ্রমণকে একটি সর্বজনীন অভিজ্ঞতা হিসেবে তুলে ধরতে, যেখানে ধর্ম, সংস্কৃতি বা জাতিগত পরিচয় কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। বর্তমানে সৌদি আরব আতিথেয়তা ও আধুনিকতার মেলবন্ধনে বিশ্বের সব মানুষের জন্য তৈরি করেছে অফুরন্ত অভিজ্ঞতার সম্ভার।
ফ্লাইট এক্সপার্টের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সালমান বিন রশিদ শাহ সাইম বলেন, ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই আমাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের পর্যটকদের আন্তর্জাতিক ভ্রমণকে সহজ, নির্ভরযোগ্য ও আনন্দদায়ক করে তোলা। সৌদি ট্যুরিজমের সঙ্গে এই পার্টনারশিপ আমাদের সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। আজ সৌদি আরব শুধু একটি ধর্মীয় গন্তব্য নয়; বরং এক সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতার কেন্দ্রস্থল।’
সালমান বিন রশিদ শাহ সাইম আরও বলেন, ‘এই পার্টনারশিপ এমন একটি সময়ে হয়েছে, যখন সৌদি আরব আরও উন্মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়ে উঠছে। আমরা গর্বিত এই রূপান্তরের অংশ হতে পেরে এবং আশা করছি, বাংলাদেশের পর্যটকেরাও এই নতুন সৌদি–অভিজ্ঞতা উপভোগ করবেন।’
সৌদি আরবের ঐতিহাসিক নিদর্শন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আধুনিক নগরব্যবস্থা থেকে শুরু করে রাজকীয় খাবার—সবকিছুই এখন উপভোগযোগ্য হবে ফ্লাইট এক্সপার্টের বিশেষ গাইডেন্স ও এক্সক্লুসিভ অফারে। পবিত্র মক্কা–মদিনায় ভ্রমণ হোক অথবা হোক আভা, রিয়াদ ও জেদ্দার মতো শহরে অ্যাডভেঞ্চার ট্যুর—ফ্লাইট এক্সপার্ট দিচ্ছে ২৪/৭ কাস্টমার সাপোর্ট এবং নিরবচ্ছিন্ন ভ্রমণসেবা।
ফ্লাইট এক্সপার্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই পার্টনারশিপ শুধু একটি ট্রাভেল সার্ভিস নয়; বরং এটি হবে বাংলাদেশি পর্যটকদের সৌদি আরবের সংস্কৃতি, আতিথেয়তা ও সৌন্দর্যের সঙ্গে আরও গভীরভাবে সংযুক্ত হওয়ার একটি অনন্য সুযোগ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ভ রমণক র জন য ভ রমণ আরব র
এছাড়াও পড়ুন:
সেন্ট মার্টিনে পর্যটক পরিবহন শুরু কাল, তিন জাহাজে যাচ্ছেন ১২০০ পর্যটক
আগামীকাল সোমবার (১ ডিসেম্বর) কক্সবাজার থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পর্যটক পরিবহন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি—দুই মাস প্রতিদিন দুই হাজার করে পর্যটক দ্বীপে ভ্রমণ ও রাতযাপনের সুযোগ পাবেন। যাত্রার প্রথম দিনে তিনটি জাহাজে মোট ১ হাজার ২০০ পর্যটক সেন্ট মার্টিন যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে জাহাজমালিকদের সংগঠন।
প্রতিদিন সকাল সাতটার দিকে কক্সবাজারের নুনিয়ারছটা বিআইডব্লিউটিএ জেটিঘাট থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ ছেড়ে যাবে। ১২০ কিলোমিটার সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে বেলা দেড়টার দিকে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাবে। পরদিন বেলা তিনটার দিকে পর্যটক নিয়ে জাহাজ কক্সবাজারে ফিরবে। একদিকে যেতে সময় লাগে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা।
‘সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’-এর সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা প্রথম দিনে দুই হাজার পর্যটক আশা করেছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনটি জাহাজে ১ হাজার ২০০ টিকিট বিক্রি হয়েছে। রাতের মধ্যে আরও কিছু টিকিট বিক্রি হতে পারে। পর্যটক কমে গেলে সব জাহাজ চালানো সম্ভব হবে না।’ তিনি জানান, সোমবার সকালে এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, এমভি বার আউলিয়া ও কেয়ারি সিন্দাবাদ নিয়ে পর্যটকদের প্রথম বহর দ্বীপে যাবে।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, ‘টানা ১০ মাস বন্ধ থাকার পর ডিসেম্বর থেকে দুই মাসের জন্য দ্বীপ খুললেও পর্যটকের সাড়া কম। ২৩০টির বেশি হোটেল–রিসোর্ট, কটেজ থাকলেও অধিকাংশ কক্ষ খালি পড়ে থাকার আশঙ্কা আছে।’
কঠোর নির্দেশনা মানতে হবেসরকারি ঘোষণায় বলা হয়, ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিন ভ্রমণের অনুমতি থাকলেও রাতযাপনের সুযোগ না থাকায় এবং জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় নভেম্বরে কেউ ভ্রমণে যেতে পারেননি। ডিসেম্বর–জানুয়ারি দুই মাস রাতযাপনের অনুমতি থাকলেও জাহাজ চলাচলের জন্য বিআইডব্লিউটিএ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
পর্যটকদের অবশ্যই বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোড থাকবে। কিউআর কোড ছাড়া টিকিট নকল হিসেবে গণ্য হবে।
দ্বীপের এমন সৌন্দর্য বিমোহিত করে পর্যটকদের