ছবি: সুপ্রিয় চাকমা
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ২ বছরের মধ্যে সর্বনিন্ম’
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। এনবিআরও তেল, আলু, পেঁয়াজ, ডিমসহ বেশ কিছু নিত্যপণ্যে শুল্ক-কর কমিয়ে দেয়। বাজারে নিত্যপণ্যের আমদানিপ্রবাহ ঠিক রাখার চেষ্টা করা হয়। ফলে কমতে থাকে দাম।
গত দুই বছরের মধ্যে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে আছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এ তথ্য জানান।
সেখানে তিনি লেখেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের সুচিন্তিত নীতি-কৌশলের ফলে মূল্যস্ফীতি দ্রুত কমছে। জুন ২০২৫ মাসের উপাত্ত অনুযায়ী পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮.৪৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা গত ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের তুলনায় ২ শতাংশ কম। খাদ্য মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়ে ৭.৩৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে যা গত দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। খাদ্য-বহির্ভুত মূল্যস্ফীতিও হ্রাস পেতে শুরু করেছে এবং আগামীতে তা খুব দ্রুত কমে আসবে।”
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যমতে, এপ্রিল মাসে মূল্যস্ফীতির হার ৯.১৭% ছিল, যা মার্চ মাসের তুলনায় কিছুটা কম। ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়ায় ৯.৩২ শতাংশ। জানুয়ারিতে যা ছিল ৯.৯৪ শতাংশ।
সম্প্রতি অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার ধারাবাহিকভাবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করেছে, যার ফলে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে ।
এছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর আশা প্রকাশ করেছেন যে, ২০২৫ সালের শেষে মূল্যস্ফীতি ৫% এর নিচে নেমে আসবে।
ঢাকা/ইভা