শাপলা যদি রাজনৈতিক দলের প্রতীক না হতে পারে, তাহলে ধানের শীষও প্রতীক হতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। 

বুধবার মধ্যরাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে সারজিস আলম বলেছেন, জাতীয় ফুল হিসেবে শাপলার প্রতীক হতে আইনগত বাধা নেই। কারণ, জাতীয় ফল কাঁঠাল ইতিমধ্যে মার্কা হিসেবে আছে।

শাপলাকে নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে বিধিমালার তপশিলভুক্ত না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর ফলে কোনো রাজনৈতিক দল তাদের দলীয় প্রতীক হিসেবে শাপলা পাবে না। এনসিপি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন চেয়ে যে আবেদন করেছে, সেখানে দলীয় প্রতীক হিসেবে শাপলাসহ তিনটি প্রতীকের নাম উল্লেখ করেছিল তারা।

ফেসবুক পোস্টে সারজিস আলম লিখেছেন, ‘শাপলা জাতীয় প্রতীক নয়। জাতীয় প্রতীকের একটি অংশ। একইভাবে ধানের শীষ, পাটপাতা এবং তারকাও জাতীয় প্রতীকের অংশ। শাপলা যদি রাজনৈতিক দলের প্রতীক না হতে পারে, তাহলে ধানের শীষও প্রতীক হতে পারবে না। আর যদি জাতীয় প্রতীকের যেকোনো একটি অংশ রাজনৈতিক দলের প্রতীক হতে পারে, তাহলে শাপলাও হতে পারবে।’

সারজিস আলম আরও লিখেছেন, ‘জাতীয় ফুল হিসেবে শাপলার প্রতীক হতে আইনগত বাধা নেই। কারণ, জাতীয় ফল কাঁঠাল অলরেডি মার্কা হিসেবে আছে। আর যদি মার্কা দেখেই ভয় পান, তাহলে সেটা আগে থেকেই বলেন!’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

যৌতুকের মামলার আগে মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক করা নিয়ে মহিলা পরিষদের উদ্বেগ

যৌতুক দাবি, যৌতুকের কারণে সাধারণ জখমের শিকার নারীদের মামলা করার আগে বাধ্যতামূলক মামলাপূর্ব মধ্যস্থতার বিধান করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। আজ সোমবার এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করে বিধানটি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু এ বিবৃতি দেন। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ১ জুলাই ‘আইনগত সহায়তা প্রদান (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ জারির মাধ্যমে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০–এর ২১ ধারায় নতুন বিধান যুক্ত করে যৌতুক দাবি, যৌতুকের কারণে সাধারণ জখমের শিকার নারীদের মামলার আগে বাধ্যতামূলক মামলাপূর্ব মধ্যস্থতার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। নতুন যুক্ত বিধান অনুসারে যৌতুক দাবি, যৌতুকের কারণে সাধারণ জখমের শিকার ভুক্তভোগী নারীকে লিগ্যাল এইড অফিসে মধ্যস্থতার মাধ্যমে নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে আবেদন করতে হবে এবং মধ্যস্থতা–প্রক্রিয়ায় ব্যর্থ হলে বিরোধের কোনো পক্ষ প্রয়োজনে উপযুক্ত আদালতে মামলা করতে পারবেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, যৌতুক দাবি, যৌতুকের কারণে সাধারণ জখমের শিকার নারীদের বাধ্যতামূলক মামলাপূর্ব মধ্যস্থতার বিধান যুক্ত করার মাধ্যমে নারীর ন্যায়বিচারের অভিগম্যতা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। বিচারপ্রার্থী ভুক্তভোগী নারীকে বাধ্যতামূলক মধ্যস্থতার দিকে ঠেলে দেওয়ার মানে হচ্ছে তাঁকে আইনি অধিকার থেকে বঞ্চিত করা। মধ্যস্থতায় কোনো একটি পক্ষ আপসে রাজি না হলে নির্যাতনের শিকার নারী পরে মামলা করে তা প্রমাণে বাধাগ্রস্ত হতে পারেন। এতে ভুক্তভোগীর হয়রানি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যৌতুক প্রতিরোধের জন্য দীর্ঘদিন আন্দোলন হয়েছে। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যৌতুক প্রতিরোধে আইন হয়েছে। আইনে যৌতুককে দণ্ডণীয় অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাই এমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা ঠিক হবে না, যাতে যৌতুকের মতো অপরাধ সমাজে প্রশ্রয় পায়। আইনে বাধ্যতামূলক মামলাপূর্ব মধ্যস্থতার বিধান যুক্ত করার মাধ্যমে যৌতুক, যৌতুকের কারণে সাধারণ জখমের মতো অপরাধকে কম গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। বাধ্যতামূলক বিচারপূর্ব মধ্যস্থতা নারীর ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। যৌতুক দাবি, যৌতুকের কারণে সাধারণ জখমের শিকার নারীদের সরাসরি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চাওয়ার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, যা নারীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।

সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে যৌতুক দাবি, যৌতুকের কারণে সাধারণ জখমের শিকার নারীদের মামলার আগে বাধ্যতামূলক মামলাপূর্ব মধ্যস্থতার বিধানটি পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানায় মহিলা পরিষদ। পাশাপাশি যৌতুকের মতো বিষয়টিকে সমাজ থেকে নির্মূলের লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে। বিবৃতিতে যৌতুকের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা বাড়ানোসহ সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলারও আহ্বান করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শাপলা না হলে ধানের শীষও রাজনৈতিক দলের প্রতীক হতে পারবে না: সারজিস
  • আইনগত সহায়তা আইনের সংশোধনী কি নারীবান্ধব হলো 
  • যৌতুকের মামলায় মধ্যস্থতার বিধান পুনর্বিবেচনা দাবি
  • যৌতুকের মামলার আগে মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক করা নিয়ে মহিলা পরিষদের উদ্বেগ