বিনোদন, গেমস আর ক্লাউডের নানা সুবিধা নিয়ে চালু হলো গ্রামীণফোন ওয়ান
Published: 10th, July 2025 GMT
বর্তমানে মুঠোফোন শুধু কথা বলার মাধ্যম নয়, বিনোদনেরও অন্যতম মাধ্যম। আর তাই নিজেদের বিভিন্ন উদ্ভাবনকে এক প্ল্যাটফর্মে আনার লক্ষ্যে ‘গ্রামীণফোন ওয়ান’ নামের নতুন মাধ্যম চালু করেছে গ্রামীণফোন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে গ্রামীণফোন ওয়ানের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করার ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দ্রুত পরিবর্তনশীল ডিজিটাল বিশ্বে গ্রাহকদের চাহিদা ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জকে গুরুত্ব দিতে গ্রামীণফোন ওয়ানের জন্য বিভিন্ন সেবা তৈরি করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, বাংলাদেশের তরুণদের সীমাহীন সম্ভাবনার নানা কাজে গ্রামীণফোন যুক্ত। অসংখ্য নির্মাতা, গেমার, ফ্রিল্যান্সারসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের জন্য বিভিন্ন সেবা চালু করেছে গ্রামীণফোন। গ্রামীণফোন ওয়ান ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে আরও গতিশীল, নিরাপদ ও বহুমাত্রিক ইন্টারনেটনির্ভর সেবা ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া যাবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ (এআই) বিভিন্ন প্রযুক্তিনির্ভর সেবাকে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য গ্রামীণফোন কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের চিফ প্রোডাক্ট অফিসার সোলায়মান আলম জানান, গ্রামীণফোন বিনোদন ও গেমিংনির্ভর নতুন সুবিধা তৈরি করছে। বায়োস্কোপ+ নামের সুবিধার মাধ্যমে ১১টি ওটিটির আধেয় (কনটেন্ট) দেখতে পারবেন গ্রাহকেরা। এ ছাড়া পাঁচ হাজারের বেশি অনলাইন গেম খেলা যাবে ইন্টিগ্রেটর ওয়ান গেমসে।
গ্রামীণফোনের চিফ বিজনেস অফিসার আসিফ নাইমুর রশিদ বলেন, ইন্টারনেট ও মুঠোফোন ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন কৌশলে হ্যাকিংয়ের স্বীকার হন। জিপি শিল্ডের মাধ্যমে অনলাইন ঝুঁকির হাত থেকে রক্ষার সুযোগ দিচ্ছে গ্রামীণফোন ওয়ান। জিপিএফআই (ওয়্যারলেস হোম ব্রডব্যান্ড) ও আলো (আইওটি সলিউশন) নামের দুটি সেবা এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র ভর
এছাড়াও পড়ুন:
চাকসু: ভিপি, জিএস, এজিএসে ৮ কেন্দ্রে এগিয়ে যারা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের ভোট গণনা শেষে আটটি কেন্দ্রে পূর্ণাঙ্গ অনানুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বেশিরভাগ কেন্দ্রে শীর্ষ তিন পদের মধ্যে দুটিতে ইসলামী ছাত্রশিবি এবং একটিতে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন। তবে এই তিন পদে আট কেন্দ্রেই শিবির-ছাত্রদলের প্রার্থীদের লড়াই বেশ চোখে পড়ার মতো; অবশ্য বামপন্থিরা লড়াইয়ে আসতেই পারেননি।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শেষে গণনা শুরু হয় সন্ধ্যার পর। ভোটার সংখ্যা কম-বেশি থাকায় কোনো কেন্দ্রে আগে, কোনো কেন্দ্রে দেরিতে ফলাফল ঘোষণা করা হচ্ছে। রাত ২টায় পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আটটি কেন্দ্রের ফলাফল হলো এমন:
আরো পড়ুন:
চাকসু নির্বাচন: পাঁচ হলের ভিপি-জিএস হলেন যারা
প্রাণ ফিরে পেতে যাচ্ছে রাকসু, রাত পোহালেই ভোট
আলাওল হল কেন্দ্র
চাকসুর ভোটে এই কেন্দ্রে ভিপি পদে শিবিরের ইব্রাহিম রনি ৩৯৩টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন; তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের সাজ্জাদ হৃদয় পেয়েছেন ২৫১টি ভোট।
জিএস পদে শিবিরের সাঈদ বিন হাবিব ৩৯৩টি ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন; আর ছাত্রদলের শাফায়াত ২০০টি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।
এজিএস পদে ছাত্রদলের তৌফিক ৪৭১টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন, যেখানে শিবিরের সাজ্জাদ মুন্না পেয়েছেন ২২৫টি ভোট।
বিজয় ২৪ হল কেন্দ্র (ছাত্রী হল)
এই হলে ভিপি পদে শিবিরের রনি ৬৪৪টি ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন, যেখানে ছাত্রদলের সাজ্জাদ ২২৮ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন।
জিএস পদে শিবিরের সাঈব হাবিব ৬৮৯টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন ছাত্রদলের শাফায়াত, তার প্রাপ্ত ভোট ১৬৪টি।
এজিএস পদে ছাত্রদলের তৌফিক ৫৬৭ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। শিবিরের মুন্না
৩৫১ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।
এফ রহমান হল কেন্দ্র
এই হলে ভিপি পদে রনি (শিবির) ৩৮১টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন, যেখানে হৃদয় (ছাত্রদল) ২২৬ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন।
জিএস পদে সাঈদ (শিবির) ৩৫১ ও শাফায়াত (ছাত্রদল) ২২০টি ভোট পেয়েছেন।
এজিএস পদে তৌফিক (দল) ৪৪২টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন এবং মুন্না (শিবির) ২৩১ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।
শাহজালাল হল কেন্দ্র
এই হলে ভিপি পদে রনি (শিবির) ৭৭৯ ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন; আর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সাজ্জাদ হৃদয় (ছাত্রদল) ৪৮১ ভোট পেয়েছেন।
জিএস পদে সাঈদ (শিবির) ৭৮০ পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন; শাফায়াত (দল) ২৮৫টি দ্বিতীয় হয়েছেন।
শাহজালাল হল কেন্দ্রে শিবিরের সাজ্জাদ মুন্না ছাত্রদলের তৌফিকের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। এই হলে মুন্না মুন্না (শিবির) ৭৮৩টি এবং তৌফিক (দল) ৫৮৯টি ভোট পেয়েছেন।
শিল্পী আব্দুর রশিদ চৌধুরী হোস্টেল কেন্দ্র
এখানে ভিপি পদে সাজ্জাদ (ছাত্রদল) ৩৪টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। ২৭ ভোট নিয়ে শিবিরের রনি দ্বিতীয় এবং ২৬টি ভোট নিয়ে বামের ধ্রুব বড়ুয়া তৃতীয় হয়েছেন।
জিএস পদে সুদর্শন চাকমা (বাম) ২৯টি ভোট নিয়ে এগিয়ে আছেন। এখানে সাঈদ (শিবির) ২৮টি এবং শাফায়েত (ছাত্রদল) ১৪টি ভোট পেয়েছেন।
এজিএস পদে ছাত্রদলের তৌফিক ৩৮টি এবং শিবিরের মুন্না ১১টি ভোট পেয়েছেন।
অতীশ দীপংকর হল কেন্দ্র
এই হলে ভিপি পদে সাজ্জাদ (ছাত্রদল) ২২৩টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। ধ্রুব বড়ুয়া (বৈচিত্র্যের ঐক্য) ও ইব্রাহিম রনি (শিবির) উভয়েই ৯০টি করে ভোট পেয়েছেন।
জিএস পদে শাফায়েত (ছাত্রদল) ১৬৪টি ভোট নিয়ে এখানে এগিয়ে রয়েছেন। সুদর্শন চাকমা (বামজোট) ১৩১টি ভোট নিয়ে দ্বিতীয় এবং সাঈদ (শিবির) ৮৩টি ভোট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।
এজিএস পদে তৌফিক (ছাত্রদল) পেয়েছেন ২৬৬টি। যেখানে পলাশ দে (বিনির্মাণ শিক্ষার্থী জোট) ৬২টি এবং মুন্না (শিবির) ৪৫টি ভোট পেয়েছেন।
এই হলে ৬০ শতাংশ অমুসলিম শিক্ষার্থী থাকেন।
সোহরাওয়ার্দী হল কেন্দ্র
এই হলে ভিপি পদে রনি (শিবির) ১ হাজার ৪৮৮টি ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন। এখানে সাজ্জাদ (ছাত্রদল) পেয়েছেন ৬৮০টি ভোট।
জিএস পদে সাঈদ (শিবির) ১ হাজার ৪০৪টি ভোট নিয়ে ব্যাপক ব্যবধানে পেছনে ফেলেছেন ৪৫৮টি ভোট পাওয়া শাফায়েতকে।
এজিএস পদে তৌফিক (ছাত্রদল) ৯৬৮ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন; যেখানে
৯০৬ নিয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়েছেন মুন্না (শিবির)।
শহীদ আব্দুর রব হল কেন্দ্র
এই হলে ভিপি পদে রনি (শিবির) ৬৪৯ ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন; যেখানে হৃদয় (ছাত্রদল) পেয়েছেন ২৮২টি ভোট।
জিএস পদে সাঈদ (শিবির) ৬৩৬টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। আর ছাত্রদলের শাফায়েত পেয়েছেন ১৫৭টি ভোট।
এজিএস পদে তৌফিক (ছাত্রদল) ৫৪০ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন; শিবিরের মুন্না পেয়েছেন ৩৬৩টি ভোট।
ঢাকা/মিজান/রাসেল