বর্তমানে মুঠোফোন শুধু কথা বলার মাধ্যম নয়, বিনোদনেরও অন্যতম মাধ্যম। আর তাই নিজেদের বিভিন্ন উদ্ভাবনকে এক প্ল্যাটফর্মে আনার লক্ষ্যে ‘গ্রামীণফোন ওয়ান’ নামের নতুন মাধ্যম চালু করেছে গ্রামীণফোন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে গ্রামীণফোন ওয়ানের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করার ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দ্রুত পরিবর্তনশীল ডিজিটাল বিশ্বে গ্রাহকদের চাহিদা ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জকে গুরুত্ব দিতে গ্রামীণফোন ওয়ানের জন্য বিভিন্ন সেবা তৈরি করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.

) মো. এমদাদ উল বারী। তিনি বলেন, ‘উদ্ভাবনের প্রেক্ষিত অনেক বড়। নব্বই দশকে মুঠোফোন নেটওয়ার্ক আমাদের সামনে সংযোগ বাড়ানোর সুযোগ করে দেয়। আমরা পরবর্তীকালে মোবাইলনির্ভর অনেক উদ্ভাবন দেখেছি। সমন্বিত ডিজিটাল ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে গ্রামীণফোন ওয়ান একটি বড় পদক্ষেপ। একই মাধ্যমের আওতায় নানামুখী সেবা দেওয়া হচ্ছে। স্মার্ট ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ডিজিটাল সুরক্ষাসহ গ্রামীণফোন ওয়ানে বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে।’

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, বাংলাদেশের তরুণদের সীমাহীন সম্ভাবনার নানা কাজে গ্রামীণফোন যুক্ত। অসংখ্য নির্মাতা, গেমার, ফ্রিল্যান্সারসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের জন্য বিভিন্ন সেবা চালু করেছে গ্রামীণফোন। গ্রামীণফোন ওয়ান ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে আরও গতিশীল, নিরাপদ ও বহুমাত্রিক ইন্টারনেটনির্ভর সেবা ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া যাবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ (এআই) বিভিন্ন প্রযুক্তিনির্ভর সেবাকে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য গ্রামীণফোন কাজ করছে।

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের চিফ প্রোডাক্ট অফিসার সোলায়মান আলম জানান, গ্রামীণফোন বিনোদন ও গেমিংনির্ভর নতুন সুবিধা তৈরি করছে। বায়োস্কোপ+ নামের সুবিধার মাধ্যমে ১১টি ওটিটির আধেয় (কনটেন্ট) দেখতে পারবেন গ্রাহকেরা। এ ছাড়া পাঁচ হাজারের বেশি অনলাইন গেম খেলা যাবে ইন্টিগ্রেটর ওয়ান গেমসে।

গ্রামীণফোনের চিফ বিজনেস অফিসার আসিফ নাইমুর রশিদ বলেন, ইন্টারনেট ও মুঠোফোন ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন কৌশলে হ্যাকিংয়ের স্বীকার হন। জিপি শিল্ডের মাধ্যমে অনলাইন ঝুঁকির হাত থেকে রক্ষার সুযোগ দিচ্ছে গ্রামীণফোন ওয়ান। জিপিএফআই (ওয়্যারলেস হোম ব্রডব্যান্ড) ও আলো (আইওটি সলিউশন) নামের দুটি সেবা এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন র ভর

এছাড়াও পড়ুন:

যুবদলের ২ নেতা আজীবন বহিষ্কার

পুরান ঢাকায় ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৪৩) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যুবদলের দুই নেতাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

তারা হলেন- যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক রজ্জব আলী পিন্টু ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম লাকি। তাদের বিরুদ্ধে সোহাগের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে।

শুক্রবার রাতে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়ার সই করা গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৯ জুলাই রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের মূল ফটকে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ী যুবককে প্রকাশ্যে দিবালোকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষে থেকে মামলা করা হয়। আসামিরা হলেন- যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-জলবায়ু বিষয়ক সম্পদাক রজ্জব আলী পন্টু ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম লাকি। তাদের প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে আজীবন জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েন মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন। 

এতে আরও বলা হয়েছে, বহিষ্কৃত নেতাদের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ওই বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কোনোরূপ শৈথিল্য না দেখিয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়ার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে যুবদল।

এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্তদের আজীবনের জন্য বিএনপি বহিষ্কার করেছে জানিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

এদিকে ভাঙাড়ি ব্যবসায়ীকে ইট-পাথর দিয়ে আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় পৃথক দুই মামলায় দুইজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে গ্রেপ্তার মাহমুদুল হাসান মহিনের ৫ দিন ও তারেক রহমান রবিনের ২ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেট সংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকার ৪ নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙাড়ির ব্যবসা করতেন। ঘটনার পর পুলিশ মাহমুদুল হাসান মহিন ও তারেক রহমান রবিনকে আটক করে। পরে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা ও একটি অস্ত্র মামলা দায়ের হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ