নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মাওলানা আব্দুদ দাইয়ান
Published: 6th, August 2025 GMT
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে জেলা ইসলামী ঐক্যজোট।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকালে নতুন কোর্ট সংলগ্ন দলটির জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে অনুষ্ঠিত সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠান শেষে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল কাদির। নারায়ণগঞ্জ ৩ আসনের এ মাওলানা আব্দুদ দাইয়ানের নাম ঘোষণা করা হয়।
এর আগে, প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আবদুল কাদির বলেন, ‘জুলাইয়ের সেই অভ্যুত্থান ছিল সর্বস্তরের জনসাধারণের। এই অর্জনকে কেউ কুক্ষিগত করতে পারবে না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলতে হবে।
কারণ আমরা যদি প্রশ্ন করাকে ভুলে যাই, তবে নতুন করে আবারও ফ্যাসিবাদ জন্ম নেবে। আমরা চাই একটি শোষণমুক্ত, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ- যেখানে দল, মত, ধর্ম নির্বিশেষে সবাই তার অধিকার ভোগ করবে।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা ঐক্যজোটের সভাপতি আবু সায়েম খালেদ, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল, সহসভাপতি মুফতি জামিল আহমেদ, মহানগরের সভাপতি জাকির হোসেন কাসেমী, সহসভাপতি মাকসুদুর রহমান, সোনারগাও থানার সভাপতি আবদুল দাইয়ান, মুফতি রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
মাওলানা আব্দুদ দাইয়ান বলেন,“এ মনোনয়ন আমার একার নয়, এটা এলাকার সাধারণ জনতার প্রতি আস্থার প্রতিফলন। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—জনগণের অধিকার, এলাকার উন্নয়ন এবং নৈতিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ।”
স্থানীয় মনে করছেন, এই মনোনয়ন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে ভোটের মাঠে একটি ভিন্নমাত্রা যুক্ত করবে। ইসলামী রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে এখানে একটি ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনাও দেখা দিতে পারে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রদ্ধাঞ্জলী
ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ স্মরণে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল ৯টায় নারায়ণগঞ্জের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সংগঠনের জেলা সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা বলেন, “একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ নির্মাণের আকাক্সক্ষা থেকেই শুরু হয়েছিল অভ্যুত্থানের যাত্রা। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়, কিন্তু তার পতনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের ফ্যাসিবাদী কাঠামোর পতন হয়নি। আজ আমরা সেই স্বৈরাচারী কাঠামোর বিরুদ্ধে লড়ছি, অধিকার ও গণতন্ত্রভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে।”
তিনি আরও বলেন, “এক বছর পার হলেও এখনো সরকার গণহত্যার বিচার সম্পন্ন করতে পারেনি। শহীদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করেনি এবং আহত ও শহীদ পরিবারগুলোকে যথাযথ মর্যাদা দেয়নি। এটি প্রমাণ করে যে, বর্তমান সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় যে মানসিকতা ও নীতিতে চলছে তা জুলাই অভ্যুত্থানের আত্মত্যাগ ও আকাক্সক্ষার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।”
তিনি বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থান ছিল একটি গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র বিনির্মাণের উদ্যোগ। আজ যারা এর বিপরীত পথে হাঁটছে, তারা মূলত পুরনো শোষণব্যবস্থাকেই ফিরিয়ে আনতে চাইছে- যার প্রতিফলন সমাজের সর্বস্তরে দৃশ্যমান।”
সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন সেই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছে, আন্দোলন সংগঠিত করেছে এবং আগামীতেও দেশের সকল গণতান্ত্রিক লড়াইয়ে বুক চিতিয়ে লড়াই চালিয়ে যাবে।’
শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনে উপস্থিত ছিলেন জেলা সাধারণ সম্পাদক সৃজয় সাহা, সহ-সাধারণ সম্পাদক ইউশা ইসলাম, অর্থ সম্পাদক শাহিন মৃধা, দপ্তর সম্পাদক অপূর্ব রয়, রাজনৈতিক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মুক্ত শেখসহ জেলা কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সরকারি তোলারাম কলেজ শাখার সদস্য সচিব মুন্নি আক্তার প্রত্যাশা, নারায়ণগঞ্জ কলেজ কমিটির সদস্য শেখ সাদী, পাগলা উচ্চ বিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আফসানা আহমেদ, ফতুল্লার সংগঠক সিয়াম সরকার ও সদস্য মেহেরাবসহ বিভিন্ন শাখার নেতৃবৃন্দ।