প্রযুক্তিনির্ভর, শক্তি-সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব সমাধানের ক্ষেত্রে বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত কোরিয়ান ইলেকট্রনিকস ব্র্যান্ড এলজি ইলেকট্রনিকসের ‘কমপ্লিট এয়ার সলিউশন’ এখন পাওয়া যাচ্ছে র‍্যানকনে।

এ উপলক্ষে র‍্যাংগ্‌স ইমার্টের গুলশান শোরুম পরিদর্শন করেন এলজির গ্লোবাল ও এশিয়া অঞ্চলের শীর্ষ নির্বাহীরা। সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের বাজারে এলজির এনার্জি-সেভিং ও এনভায়রনমেন্ট-ফ্রেন্ডলি এয়ার সলিউশনের প্রস্তুতি ও সক্ষমতা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা এবং স্থানীয় অংশীদার র‍্যানকন গ্রুপের সঙ্গে কার্যকর সহযোগিতার রূপরেখা আরও সুসংহত করা।

এলজি প্রতিনিধিদলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইকো সলিউশন কোম্পানির প্রেসিডেন্ট জোসাং লি, আরএসি বিজনেসের প্রেসিডেন্ট সিওক হুন জ্যাং, ইএস এশিয়া/ইন্ডিয়া সেলস ও মার্কেটিং লিডার ইয়ন উক জিয়ং, এলজিইএসএলের প্রেসিডেন্ট কুন হো লি, এলইএসএল বিডিবির এমডি জেরাল্ড চুনসহ অন্য শীর্ষ নির্বাহীরা।

র‍্যানকন গ্রুপের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর রোমো রউফ চৌধুরী, ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফারহানা করিম, ডিভিশনাল ডিরেক্টর (র‍্যানকন ইলেকট্রনিকস) ইয়ামিন শরীফ চৌধুরীসহ অন্য শীর্ষ নির্বাহীরা।

ইকো সলিউশন কোম্পানির প্রেসিডেন্ট জোসাং লি বলেন, ‘বাংলাদেশের আবাসিক ও বাণিজ্যিক স্থাপনাগুলোর দ্রুত পরিবর্তনশীল চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে আমরা নিয়ে এসেছি এমন একটি সমাধান, যা কেবল শীতাতপনিয়ন্ত্রণ নয়—শক্তি দক্ষতা, উন্নত বায়ুগুণমান এবং স্মার্ট ব্যবস্থাপনায় নতুন মানদণ্ড স্থাপন করবে।’

র‍্যানকন গ্রুপের গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর রোমো রউফ চৌধুরী বলেন, ‘টেকনোলজি ও সাসটেইনেবিলিটির যুগে এলজির মতো একটি বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের সঙ্গে এই অংশীদারত্ব আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। র‍্যানকন সব সময় আধুনিক ও কার্যকর সমাধান নিয়ে কাজ করে যাবে।’

দীর্ঘদিনের পার্টনারশিপে র‍্যানকন গ্রুপ বাংলাদেশের বাজারে এলজির এয়ারকন্ডিশনিং সলিউশন সরবরাহ করে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় এখন র‍্যানকনের মাধ্যমে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন এলজির সম্পূর্ণ এয়ার সলিউশন—এইচভিএসি সিস্টেম, এয়ারকন্ডিশনার ও এয়ার পিউরিফায়ার।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য নকন গ র প এলজ র

এছাড়াও পড়ুন:

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল জাতিসংঘ

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা আগামী সোমবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। এর আগেই ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।

আহমেদ আল-শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের উত্থাপিত খসড়া প্রস্তাবের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৫ সদস্যবিশিষ্ট নিরাপত্তা পরিষদের ১৪ সদস্য এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। চীন ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আনাস খাত্তাবের ওপর থেকেও নিষেধাজ্ঞা নেওয়া হয়েছে।  

যুক্তরাষ্ট্র কয়েক মাস ধরেই সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিলের জন্য নিরাপত্তা পরিষদে চাপ দিয়ে আসছিল।

আহমেদ আল-শারার সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বে বিদ্রোহী গোষ্ঠী বাহিনী গত বছরের ডিসেম্বরে সিরিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এর পর আহমেদ আল-শারা দেশটির প্রেসিডেন্ট হন।

আরও পড়ুনপ্রথম কোনো সিরীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওয়াশিংটন সফর করবেন শারা০২ নভেম্বর ২০২৫

এক সময় নুসরা ফ্রন্ট নামে পরিচিত এই এইচটিএস সিরিয়ায় আল-কায়েদার সহযোগী শাখা ছিল। ২০১৬ সালে তারা আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। ২০১৪ সালের মে মাস থেকে এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে। তবে গত জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে এটিকে বাদ দেয়।

আরও পড়ুনযে মার্কিন জেনারেল একদিন গ্রেপ্তার করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে এক মঞ্চে বসে সাক্ষাৎকার দিলেন আল-শারা২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ