সন্তানকে উৎসর্গ করেছে শহীদ সাদের পরিবার: রিতা
Published: 8th, August 2025 GMT
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানম রিতা বলেছেন, “মা-বাবাকে সন্তান হারানোর সান্ত্বনা দেওয়া যায় না। পৃথিবীতে এমন কোন ভাষা বা শব্দ নেই যা দিয়ে পিতা-মাতাকে সান্ত্বনা দেওয়া যায়। শহীদ সাদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমরা শোকার্ত পরিবারকে সান্তনা দিতে নয়, তার মা-বাবাকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। তারা দেশের জন্য তাদের সন্তানকে উৎসর্গ করেছেন।”
শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুপুরে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার জুলাই আন্দোলনের শহীদ আফিকুল ইসলাম সাদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে কবর জিয়ারতকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে জুলাই আন্দোলনের ছাত্র জনতার উপর গুলি চালিয়েছে। তারা ভেবেছিল শত-শত লাশ ফেলে তারা ক্ষমতার উপর টিকে থাকবে। দেশের অকুতোভয় ছাত্র-জনতা যেই আত্মত্যাগ করেছে সেই সকল শহীদ পরিবারের দায়িত্ব আমাদের নিতে হবে।”
তিনি বলেন, “মানিকগঞ্জের তিনটি সংসদীয় আসন পূর্বের ন্যায় চারটিতে উন্নীত করনের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা চলমান। পূর্বের ন্যায় আসন বাড়লে নদীবেষ্টিত জেলার মানুষেরা গুরুত্ব পাবে। আমরা দলীয় ফোরাম এবং নির্বাচন কমিশনের সাথে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছি। এটা হলে আমরা মানিকগঞ্জবাসী উপকৃত হব।”
এসময় মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নূরতাজ আলম বাহার, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আ.
ঢাকা/চন্দন/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ন কগঞ জ ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
বীরদের উৎসর্গ করে জুলাইয়ের গল্প শোনালেন সায়ান
“সবাইকে জুলাইয়ের ভালোবাসা জানাই। আমরা সবাই, আমরা সাধারণ মানুষ যারা বাংলাদেশের মালিক। জুলাই সবচেয়ে বেশি জনতার। আপনার, আমার ও আমাদের। আজকে আনন্দের দিন। আজকে মন খারাপ হচ্ছিল কিছুক্ষণ পর পর। কেন মন খারাপ লাগছিল জানেন? আমরা যে স্বাধীন বাংলাদেশে গান গাইছি, আনন্দ করছি সেই আনন্দ তো ততটা আসলে সৈকতের ঘরে, আনাসের ঘরে, আবু সাইদের ঘরে, নাইমা সুলতানা-নাসিমার ঘরে, বীর উপাধি পেলেন যারা তাদের ঘরে নাই।”— জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে ‘৩৬ জুলাই উদযাপন’ অনুষ্ঠানে সংগীতশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান এভাবেই কথাগুলো বলেন।
শহীদ ও আহতদের স্মরণ করে সায়ান বলেন, “আমি আপনাদের কাছে অনুমতি নিয়ে এই মানুষগুলোকে স্মরণ করে এবং বাংলাদেশের মানুষকে উৎসর্গ করে জুলাইয়ের গানটি গাইব। ‘আমি জুলাইয়ের গল্প বলব’ এই গান, এই গল্প, এই দেশের মানুষকে উৎসর্গ করেছি। যারা আহত তাদের নাম আমরা নেই না। যতটা শহীদদের নাম নেই। আমি সকল শহীদ যোদ্ধাদের, আহত বীর যোদ্ধাদের, আমাদের মেয়েদের, সকল মানুষকে যারা জীবিত, যারা লড়াইয়ে বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশে মানুষের শক্তিতে বিশ্বাস করেন আমি সবাইকে এই গান উৎসর্গ করেছি।”
এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অনুষ্ঠানে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও ছাত্র-জনতা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
চব্বিশের অভ্যুত্থানে জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি
গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাজনীতি-সমাজ ও সংস্কৃতির আকাঙ্ক্ষা
ঢাকা/রাহাত/শান্ত