সকাল সকাল অফিসে পৌঁছাতে হবে, অথচ বাসস্ট্যান্ডে নেই কোনো যানবাহন। বিকেলে কাজ শেষে ক্লান্ত দেহ নিয়ে ফিরতে চাওয়া, কিন্তু রাস্তায় জ্যামে আটকে থেকে চলে যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এমন অভিজ্ঞতা এখন রাজধানীবাসীর সঙ্গী প্রতিদিন।

তবে এবার সেই চিত্র বদলে যাচ্ছে। ঢাকার মেট্রোরেল বদলে দিচ্ছে রাজধানীর যাতায়াত ব্যবস্থাকে।আর এবার সময় বাড়ছে, সেবা বাড়ছে, কমছে অপেক্ষার ক্লান্তি।

আরো পড়ুন:

যৌথ ব্যবস্থাপনায় যুক্ত হচ্ছে ঢাকা, রাজশাহী ও সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতাল

দেশে প্রথমবারের মতো কক্সবাজার রেলস্টেশনে স্ক্যানার স্থাপন

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এবার মেট্রোরেল চালু হচ্ছে ভোর থেকে রাত অবধি, আর পিক আওয়ারে ট্রেন পাওয়া যাবে মাত্র ৪ মিনিট ১৫ সেকেন্ড পরপর। শুধু তাই নয়, এখন যেসব ট্রেন অলস পড়ে থাকত, সেগুলোও নামছে লাইনে। বলা যায়। ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় এটি একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন।

সময় বাড়ছে
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রী চাহিদা পূরণে মেট্রোরেলের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন সূচি অনুযায়ী: উত্তরা থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়বে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে (বর্তমানে ৭:১০)। সর্বশেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ৯টা ৩০ মিনিটে (বর্তমানে রাত ৯টা)।

মতিঝিল থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়বে সকাল ৭টায় (বর্তমানে ৭:৩০)। সর্বশেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ১০টা ১০ মিনিটে (বর্তমানে ৯:৪০)। শুক্রবারে ট্রেন চলাচল শুরু হবে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে, যা আগে ছিল ৩টা।

নতুন সূচি পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে ২৬ সেপ্টম্বর থেকে এবং দুই সপ্তাহ পর (৬ অক্টোবর) আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হবে। পরীক্ষামূলক চলাচলের সময়ও যাত্রী পরিবহন করা হবে অর্থাৎ কোনো ট্রেন খালি যাবে না।

কমবে অপেক্ষার সময়
নতুন সূচির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ট্রেনের ফ্রিকোয়েন্সি আরো ঘন হচ্ছে।

বর্তমানে ব্যস্ত সময়ে (পিক আওয়ারে) ট্রেন পাওয়া যায় প্রতি ছয় মিনিটে। নতুন সূচিতে এটি কমে আসছে ৪ মিনিট ১৫ সেকেন্ডে। অফ পিক আওয়ারে ট্রেন পাওয়া যাবে প্রতি ৬ থেকে ৮ মিনিটে, যেখানে এখন অপেক্ষা করতে হয় ৮-১০ মিনিট।

এ বিষয়ে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, ট্রেনের সংখ্যা ও সময় বাড়ানো দীর্ঘদিন ধরেই পরিকল্পনায় ছিল। লোকবল সংকট ছিল বড় বাধা। এখন আমরা প্রস্তুত। যাত্রীদের জন্য অপেক্ষার সময় কমবে, সড়কেও চাপ কমবে।

বেশি যাত্রী পরিবহনের প্রস্তুতি
বর্তমানে প্রতিদিন মেট্রোরেলে যাতায়াত করে গড়ে ৪ লাখ ২০ হাজার যাত্রী। এর মধ্যে ৬ আগস্ট সর্বোচ্চ ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৭৪৬ জন যাত্রী চলাচল করেছে। নতুন সময়সূচি চালু হলে এই সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রকল্প পরিকল্পনায় বলা হয়েছিল, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রতিদিন ৫ লাখ যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা থাকবে। আর কমলাপুর পর্যন্ত সম্প্রসারণ শেষ হলে দৈনিক যাত্রী সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজারে।

অব্যবহৃত ট্রেন নামছে লাইনে
লাইন-৬ রুটের জন্য মেট্রোরেলের হাতে রয়েছে ২৪ সেট ট্রেন, যার মধ্যে বর্তমানে নিয়মিত চলাচল করে মাত্র ১৩ সেট। তিনটি ট্রেন রাখা হয় জরুরি প্রয়োজনে, আর একটি চলে পরীক্ষামূলকভাবে অর্থাৎ ৭ সেট ট্রেন কার্যত অলস পড়ে থাকে।

নতুন সময়সূচিতে ২০ সেট ট্রেন ব্যবহৃত হবে, ফলে অলস ট্রেন কমবে, সময়মতো ট্রেনের ঘন ঘন চলাচল নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

এদিকে, শুরুতে পরিকল্পনা ছিল অব্যবহৃত ট্রেন থেকে দুটি কোচ এনে জোড়া দিয়ে যাত্রী চাপ সামলানো। কারণ, প্রতিটি ট্রেনে রয়েছে ৬টি কোচ, এবং প্রকল্পে বলা ছিল ২টি কোচ বাড়ানো যাবে। কিন্তু কারিগরি জটিলতা ও ব্যয়ের কারণে এই পরিকল্পনা থেকে সরে আসে ডিএমটিসিএল। এর পরিবর্তে সিদ্ধান্ত হয়, ট্রেন চালানোর সময়সীমা বাড়ানো এবং দুই ট্রেনের মাঝে সময় কমিয়ে আনা হবে। এজন্য নতুন জনবল নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।

২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল চালু হয়। শুরুতে চালু ছিল উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশ। ধাপে ধাপে স্টেশন ও রুট বাড়িয়ে ২০২৩ সালের শেষ দিন থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সম্পূর্ণ চালু হয়। বর্তমানে চলছে কমলাপুর পর্যন্ত সম্প্রসারণের কাজ।

এই রেললাইনের মাধ্যমে ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থা পেয়েছে এক নতুন রূপ।নির্দিষ্ট সময়ের ট্রেন, নির্ভরযোগ্য যাতায়াত ব্যবস্থা, নিরাপদ ভ্রমণ। সব মিলিয়ে মেট্রোরেল হয়ে উঠেছে নগরবাসীর প্রিয় বাহন।

রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিলে আসেন বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল হক বলেন, “নতুন সময়সূচি শুধু ট্রেনের সময় বাড়ানোর ঘোষণা নয়। এটি ঢাকার নাগরিক জীবনের গতি ও মানোন্নয়নের এক নতুন ধাপ। কমে যাবে ভোগান্তি, সহজ হবে যাতায়াত, সময়মতো পৌঁছানো যাবে গন্তব্যে। আরো বেশি ট্রেন, আরো ঘন ফ্রিকোয়েন্সি, আর দীর্ঘ সময় ধরে চলাচলের সুযোগ।সব মিলিয়ে মেট্রোরেল এখন কেবল একটি বাহন নয়, বরং নগর জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠবে।”

ঢাকা/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ল স ট শন নত ন স চ সময় ব ড় ব যবস থ পর বহন সময়স চ মত ঝ ল র সময় র বহন

এছাড়াও পড়ুন:

মেট্রোরেল চলাচলের সময় বাড়ছে, ট্রেন আসবে আরও ঘন ঘন

যাত্রীচাহিদা মেটাতে মেট্রোরেল রাত ১০টার পরও চলবে। সকালে চালু হবে আরও আগে; অর্থাৎ সকালে চালু ও রাতে বন্ধের সময় আধঘণ্টা করে বাড়বে। এ ছাড়া এখন দুই ট্রেনের মধ্যে বিরতি আরও দুই মিনিট কমে যাবে। এর অর্থ, ব্যস্ত সময়ে (পিক আওয়ারে) ৪ মিনিট ১৫ মিনিট পরপর ট্রেন পাওয়া যাবে। বর্তমানে ব্যস্ত সময়ে সর্বনিম্ন ছয় মিনিট পরপর ট্রেন চলাচল করে।

নতুন এই ব্যবস্থা কার্যকর হবে সপ্তাহ দুই পর। নতুন ব্যবস্থা আয়ত্ত করতে শুক্রবার থেকে পরীক্ষামূলক চলাচল করা হবে। দুই সপ্তাহ পরীক্ষার পর আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন সময়সূচি মেনে মেট্রোরেল চলাচল করবে। তবে পরীক্ষামূলকভাবে চলার সময়ও সকাল ও রাতের বাড়তি সময়ে চলাচলকারী ট্রেনগুলোতে যাত্রী পরিবহন করা হবে; অর্থাৎ খালি ট্রেন চালানো হবে না।

ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। কোম্পানির সূত্র জানায়, নতুন ব্যবস্থা কার্যকর হলে মেট্রোরেলের সক্ষমতার পূর্ণ সদ্ব্যবহারের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। বর্তমানে মেট্রোরেলে দৈনিক যাত্রী যাতায়াত করে গড়ে ৪ লাখ ২০ হাজার। এর মধ্যে গত ৬ আগস্ট সর্বোচ্চ যাত্রী পরিবহন হয়, ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৭৪৬। নতুন ব্যবস্থা কার্যকর হলে যাত্রীসংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়াবে বলে কর্তৃপক্ষ মনে করছে।

মেট্রোরেল প্রকল্প নেওয়ার সময় উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দৈনিক পাঁচ লাখ যাত্রী পরিবহন করার কথা বলা হয়েছিল। মেট্রোরেল কমলাপুর পর্যন্ত চালু হলে দৈনিক যাত্রীসংখ্যা ৬ লাখ ৭৭ হাজারে উন্নীত হওয়ার কথা।

ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ আজ রোববার প্রথম আলোকে বলেন, যাত্রীচাহিদা মেটাতে ট্রেনের সংখ্যা ও সময় বাড়ানোর চিন্তা অনেক দিন ধরেই ছিল, কিন্তু লোকবলের কারণে করা যাচ্ছিল না। এখন তারা প্রস্তুত। নতুন সূচিতে শিগগিরই যাত্রী নিয়ে মেট্রোরেল চলাচল করবে। এতে যাত্রীর সংখ্যা ও আয়—দুটিই বাড়বে। সাধারণ মানুষের ট্রেনের জন্য বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে না। সড়কের ওপরও চাপ কমবে।

সম্ভাব্য নতুন সময়সূচি

বর্তমানে সপ্তাহে (শনি থেকে বৃহস্পতিবার) উত্তরা থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়ে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে। দুই সপ্তাহ পর নতুন সূচিতে চলাচল শুরু হলে উত্তরা থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়বে ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে। বর্তমানে উত্তরা থেকে সর্বশেষ ট্রেন ছাড়ে রাত ৯টায়। নতুন সূচি অনুযায়ী, উত্তরা থেকে সর্বশেষ ট্রেন ছাড়বে রাত সাড়ে ৯টায়।

অন্যদিকে মতিঝিল থেকে সকালে প্রথম ট্রেন ছাড়ে সকাল সাড়ে ৭টায়। নতুন সূচিতে মতিঝিল থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়বে সকাল ৭টায়। এ ছাড়া রাতে মতিঝিল থেকে সর্বশেষ ট্রেন ছাড়ে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে। নতুন সূচি অনুসারে, মতিঝিল থেকে সর্বশেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ১০টা ১০ মিনিটে। মতিঝিল থেকে ছাড়া সর্বশেষ ট্রেনটি এখন উত্তরা উত্তর স্টেশনে পৌঁছায় রাত ১০টার পর। এখন শেষ যাত্রী নামবে পৌনে ১১টার দিকে।

এ ছাড়া শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে মেট্রোরেলের চলাচল শুরু হয়। নতুন সূচিতে শুক্রবার বেলা আড়াইটায় মেট্রোরেল চলাচল শুরু হবে। রাতেও আধা ঘণ্টা চলাচলের সময় বাড়বে।

মেট্রোরেলের সময়সূচিতে ব্যস্ত সময় (পিক আওয়ার) এবং কম ব্যস্ত সময় (অফ পিক আওয়ার) কয়েক ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এ ছাড়া শনিবার এবং অন্যান্য সরকারি বন্ধের দিনও পিক ও অফ পিক আওয়ারের সময়ের হেরফের আছে। তবে এখন সর্বনিম্ন ছয় মিনিট পর ট্রেন চলাচল করে। নতুন সূচি চালু হলে পিক আওয়ারে সর্বনিম্ন ৪ মিনিট ১৫ সেকেন্ড পরপর ট্রেন চলাচল করবে। এর বাইরে ৮ ও ১০ মিনিটের ব্যবধানে যে সময় ট্রেন চলাচল করত, সেই সময়গুলোতেও দুই মিনিট করে কমে আসবে।

মেট্রোরেলের প্রকল্প নেওয়ার সময় বলা হয়েছিল, পিক আওয়ারে সর্বনিম্ন সাড়ে ৩ মিনিট পরপর মেট্রোরেল চলবে।

ট্রেনের সদ্ব্যবহার ও যাত্রীসুবিধা বাড়বে

ডিএমটিসিএল সূত্র বলছে, মেট্রোরেলের লাইন-৬; অর্থাৎ উত্তরা থেকে মতিঝিল পথের জন্য ২৪ সেট ট্রেন রয়েছে। তবে সার্বক্ষণিক লাইনে চলাচল করে ১৩ সেট ট্রেন। তিন সেট ট্রেন বিশেষ প্রয়োজনে লাগতে পারে, এই বিবেচনায় প্রস্তুত রাখা হয়। লাইন ও সংকেত ব্যবস্থা পুরোপুরি ঠিক আছে কি না, তা যাচাই করার জন্য সকালে একটি ট্রেন যাত্রী ছাড়াই চলে। বাকি সাত সেট ট্রেন অব্যবহৃত থাকে। নতুন সময়সূচি কার্যকর হলে ২০ সেট ট্রেন ব্যবহৃত হবে, এতে ট্রেন অলস পড়ে থাকা কমবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বর্তমানে দিনে ২৩৭ বার ট্রেন চলাচল (ট্রিপ) করে। নতুন সূচিতে প্রতিটি ট্রেনের মধ্যে সময়ের ব্যবধান গড়ে দুই মিনিট করে কমে যাবে। এতে ট্রেন চলাচলের সংখ্যা আরও বাড়বে।

অব্যবহৃত মেট্রোরেলের সেটের ব্যবহার কীভাবে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছিল ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ। প্রথমে অব্যবহৃত ট্রেনের সেট থেকে দুটি কোচ এনে জোড়া দিয়ে চালানোর পরিকল্পনা করা হয়। বর্তমানে প্রতিটি সেটে ছয়টি কোচ রয়েছে। প্রকল্প নেওয়ার সময় দুই কোচ বাড়ানো যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কারিগরিভাবে দুরূহ এবং নতুন করে বাড়তি বিনিয়োগ করতে হবে। ফলে এই চিন্তা থেকে সরে আসে কর্তৃপক্ষ। এর বদলে ট্রেন চলাচলের সময় এবং দুই ট্রেনের মধ্যে সময়ের ব্যবধান কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়। এর জন্য বাড়তি লোকবলের দরকার। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে লোকবল নিয়োগ এবং তাঁদের প্রশিক্ষণও দিয়েছে।

২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল চালু হয়। শুরুতে চলাচল করত উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত। পর্যায়ক্রমে স্টেশনের সংখ্যা বেড়েছে। মতিঝিল পর্যন্ত সব স্টেশনে যাত্রী ওঠা-নামা শুরু হয় ২০২৩ সালের শেষ দিনে। এখন কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল সম্প্রসারণের কাজ চলছে।

২০১২ সালে অনুমোদনের সময় মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যয় ছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। বর্তমানে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। জাপানের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকার কাছ থেকে ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মেট্রোরেল চলাচলের সময় বাড়ছে, ট্রেন আসবে আরও ঘন ঘন