দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার দুনিয়ায় তিনি পরিচিত মুখ। কিন্তু ‘কানতারা: আ লেজেন্ড-চ্যাপ্টার ১’-এর পর এখন সারা ভারতেই আলোচনায় রুক্মিণী বসন্ত, এমনকি আন্তর্জাতিক পরিসরেও তাঁকে নিয়ে কথা হচ্ছে। রাজকন্যা কঙ্কাবতীর চরিত্রে তাঁর উপস্থিতি দর্শকের নজর কেড়েছে। কয়েক বছর আগেও আঞ্চলিক ছবির ভেতরে সীমিত ছিল যাঁর পরিচিতি, তিনিই আজ হয়ে উঠেছেন সিনেমাপ্রেমীদের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দু। সম্প্রতি দৈনিক অমর উজালাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রুক্মিণী জানিয়েছেন এই ছবিকে ঘিরে নিজের অভিজ্ঞতা।

২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া কন্নড় ছবি ‘কানতারা’ সারা ভারতে দারুণ সফল হয়েছিল। সেই ছবির নায়ক, পরিচালক ও লেখক ঋষভ শেট্টি রাতারাতি হয়ে উঠেছিলেন সর্বভারতীয় তারকা। তাই এর প্রিকুয়েল ‘কানতারা: আ লেজেন্ড–চ্যাপ্টার ১’ নিয়ে দর্শকের প্রত্যাশা ছিল আকাশছোঁয়া। রুক্মিণী এই ফ্র্যাঞ্চাইজির একেবারেই নতুন সদস্য।

রুক্মিণী বসন্ত। ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মিলেমিশে ক্রিকেট এগিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড থেকে ফারুক আহমেদকে সরিয়ে আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে সভাপতি করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। সবকিছুই এতো চটজলদি হয়েছিল আমিনুলের ঘোর কাটতে সময় লেগেছিল বেশ। তাকে বলা হয়েছিল, নির্বাচন পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব চালাতে হবে৷ 

চার মাস পর নির্বাচন হলো ঠিকই, নতুন এই বোর্ডের সভাপতি পুরনো মুখ আমিনুল। এবার নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তিনি। পাশে পেয়েছেন ফারুক আহমেদকে। তাকে সহ-সভাপতি বানিয়ে আমিনুল ২৫ পরিচালক নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা পরিষদ সাজিয়েছেন চার বছরের জন্য।  

আরো পড়ুন:

ব্রিটসের রেকর্ডভাঙা সেঞ্চুরিতে দ. আফ্রিকার জয়

লো স্কোরিং ম্যাচে রংপুরের জয়, বরিশাল-রাজশাহীর পয়েন্ট ভাগাভাগি

ফারুকের জায়গায় হুট করে আসা, এখন আবার ফারুককে নিয়েই বোর্ড গঠন...পুরো বিষয়টি মিশ্র পরিস্থিতি তৈরি করছে নিশ্চিত ভাবেই৷ কিন্তু ২২ গজের পুরনো দুই সতীর্থ দায়িত্ব গ্রহণ করেই জানিয়ে গেলেন, ক্রিকেট প্রশাসনিক কাজে দুজনই পুরনো ও পেছনের কথা ভুলে মিলেমিশে থাকবেন। এগিয়ে নেবেন ক্রিকেটকে। সেই প্রতিশ্রুতির একটা চিত্র পাওয়া গেল নির্বাচনের ময়দানেই,

‘’আমরা অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে যাত্রা শুরু করেছি। তার প্রমাণ হলো সভাপতি হিসেবে আমার নাম প্রস্তাব করেন ফারুক ভাই। আর আমি ফারুক ভাইয়ের নাম প্রস্তাব করি সহ-সভাপতি হিসেবে। আমার বিশ্বাস আমরা একসঙ্গে চলতে ফিরতে কোনই সমস্যা হবে না। আমরা সবাই মিলে একসাথে ক্রিকেটকে একটা লক্ষ্যে পৌঁছাতে আপ্রাণ চেষ্টা করবো।’

‘’ফারুক ভাই ছিলেন রূপালী ব্যাংকের ক্যাপ্টেন, আমি তখন প্লেয়ার। ফারুক ভাই ছিলেন বিমানের ক্যাপ্টেন, আমি তখন তার অধীনে খেলেছি। আবার বিশ্বকাপে ফারুক ভাই আমার আন্ডারে খেলেছেন। বোঝাপড়া ব্যাপারটা আমাদের বহু বছর ধরে হয়ে আছে। আমরা জানি কিভাবে মানিয়ে নিতে হয়।’’ - বলেছেন আমিনুল। 

মাত্র চার মাসের জন্য এসে চার বছরের লম্বা ইনিংস খেলতে হবে আমিনুলকে। আইসিসির চাকরি ছেড়ে আমিনুলের ঠিকানা এখন বিসিবি। কেন এত বড় পরিকল্পনা নিলেন তিনি? উত্তরে বলেছেন, ‘’এটা একটা জার্নির অংশ ধরে নিয়েছি। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ডেভেলপমেন্টের প্রেমেও পড়ে গিয়েছি। স্বল্প মেয়াদের জন্য এসেছিলাম। সেটাই সবসময়ের পরিকল্পনা ছিল।”

“কিন্তু যখন ট্রিপল সেঞ্চুরি প্রোগ্রামের মাধ্যমে ছোট ছোট কাজ শুরু করলাম এবং সাফল্যগুলো দেখতে পেলাম, সেই লোভটা আমি ছাড়তে পারিনি এবং সেই লক্ষ্যে আমার দেশকে আরও সার্ভ করার জন্য আমি রয়ে গেছি।”

আর ফারুক আহমেদের ভাবনা বেশ পরিস্কার, ‘’এখন আমরা সামনে এগিয়ে যাব, আমি পিছনে যেতে চাই না। মানুষের জীবনে অনেক ধরনের দুর্ঘটনা হয়, কঠিন সময় যায়। কিন্তু আমার কথা হলো এখন আমাদের একটাই লক্ষ্য সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। নতুন সভাপতি তিন-চার মাস ছিলেন। আবার তার নেতৃত্বে এখন আমরা একটা পূর্ণাঙ্গ বোর্ড পেয়েছি। আশা করি বোর্ডটা লম্বা সময়ের জন্য থাকবে এবং সেই পরিকল্পনায় আমরা এগিয়ে যেতে পারব।’'

‘’সভাপতি বলেছেন, আমাদের সবার লক্ষ্য...আপনারা এখানে যারা বসে আছেন আপনারা চান বাংলাদেশ ক্রিকেট এগিয়ে যাক। আমরা এখানে যারা বসে আছি, আমরাও চাই বাংলাদেশের ক্রিকেট এগিয়ে যাক। লক্ষ্য কিন্তু একটাই। এই লক্ষ্যের মাঝে কিছু জিনিস আসে...ওই জিনিসগুলো আমাদের ট্যাকেল দিতে হবে। বাংলাদেশের ক্রিকেট এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত।’’
 

ঢাকা/ ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ