2025-07-01@10:04:08 GMT
إجمالي نتائج البحث: 27
«প রসব র সময়»:
স্বাভাবিক প্রসব বা নরমাল ডেলিভারি অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। মায়ের ও গর্ভে থাকা সন্তানের শারীরিক অবস্থা নির্দেশ করে প্রসব স্বাভাবিক হবে নাকি অস্ত্রোপচার দরকার হতে পারে। তবে সবকিছু স্বাভাবিক ও মা–শিশু সুস্থ থাকলে স্বাভাবিক প্রসবের জন্য চেষ্টা করা হয়। গর্ভাবস্থায় সঠিক ব্যায়াম এই প্রক্রিয়াকে সহজ, নিরাপদ ও আরামদায়ক করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।ব্যায়ামের উপকারিতাব্যায়াম শরীরকে প্রসবের জন্য প্রস্তুত করে। পেট, পিঠ, পেলভিস ও ঊরুর পেশিকে শক্তিশালী করে। গর্ভধারণ ও প্রসবের সময় যেসব পেশি বেশি ব্যবহৃত হয়, সেগুলো সুসংহত হয়ে ওঠে।ব্যায়াম প্রসবকালীন ব্যথা সহ্য করতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যায়ামে শরীরের সহনশক্তি বাড়ে, ফলে প্রসবের সময় ব্যথা সহজে সহ্য করা যায়।শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। বিশেষ কিছু ব্যায়াম, যেমন ডিপ ব্রিদিং ও ল্যামাজ পদ্ধতি প্রসবের সময় শান্ত থাকতে সাহায্য করে।শিশুর সঠিক অবস্থান...
গত ১৯ মের ঘটনা। তিন মাস বয়সী এক শিশুকে পানিতে ফেলে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন এক মা। ঘটনাটি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার। ঘটনার আগের রাত থেকেই নিজের একমাত্র নবজাতক সন্তানকে নিয়ে গায়েব ছিলেন তিনি। পুলিশের ধারণা, এই নারী মানসিকভাবে অসুস্থ।এ ঘটনার ঠিক ১ মাস আগে, এপ্রিলের ১৯ তারিখে একই ধরনের আরও একটি ঘটনা ঘটে গাজীপুরের টঙ্গিতে। নিজের ছয় ও চার বছর বয়সী দুই সন্তানকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন মা আলেয়া বেগম। মৃত শিশুদের বাবার দাবি, তাঁর স্ত্রী মানসিকভাবে অসুস্থ। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে আলেয়া বেগম জানান, হঠাৎই তাঁর মাথায় কী যেন একটা হয়েছে! তখন মনে হয়েছে, সন্তানদের কুপিয়ে মেরে ফেলতে হবে। পরে তিনি বঁটি দিয়ে সন্তানদের কোপ দেন। কিছুক্ষণ পর হুঁশ ফিরলে দেখেন, তিনি দুই সন্তানকে মেরে ফেলেছেন।এমন ঘটনার নজির শুধু বাংলাদেশে...
গর্ভধারণ নারীজীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। আজও বাংলাদেশে সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে অনেক নারী ও তাদের পরিবার বিভিন্ন প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়। তাদের কাছে জন্মদান যেন এক দুঃস্বপ্ন– যন্ত্রণা, ঝুঁকি, এমনকি মৃত্যুর। এমন হওয়ার কথা ছিল না। নবজাতকরা দেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার। তাদের আগমন নিরাপদ হোক। এ নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এখনই। লিখেছেন শাহেরীন আরাফাত না জিয়া। বয়স ১৪। সপ্তম শ্রেণির গণ্ডি পেরোতে না পেরোতেই তাকে উঠিয়ে দেওয়া হয় স্বামীর ঘরে। কয়েক মাসের মাথায় সে অন্তঃসত্ত্বা হয়। তার শরীর তখনও মায়ের শরীর হয়ে উঠতে পারেনি। রক্তস্বল্পতা, ক্লান্তি এবং প্রসবভীতি নিয়ে সে আজ একটি বেসরকারি হাসপাতালে কষ্ট পাচ্ছে। নাজিয়ার মতো হাজারো মেয়ের গল্প প্রতিদিন লেখা হচ্ছে বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জে। জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) তথ্যমতে, বাংলাদেশে প্রতি তিনটি মেয়ের মধ্যে একজনের বিয়ে হয় ১৫ বছরের আগেই।...
মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্বাভাবিক প্রসবকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থায়। যে কারণে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীনে পরিচালিত হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে স্বাভাবিক প্রসবের সময় জরুরি ওষুধ ও সরঞ্জাম বিনা মূল্যে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাবে এক বছর ধরে সেই বিনা মূল্যে ওষুধ ও সরঞ্জাম পাচ্ছেন না প্রসূতিরা। এটি নিরাপদ মাতৃত্বের জন্য অবশ্যই হুমকিস্বরূপ। আমরা এতে উদ্বেগ প্রকাশ করছি।প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, শুধু প্রসূতিদের জরুরি ওষুধ ও সরঞ্জাম বিতরণ বন্ধ আছে তা নয়, মা ও শিশুস্বাস্থ্যের জন্য বিনা মূল্যের প্রয়োজনীয় ওষুধের প্যাকেট ‘ড্রাগ অ্যান্ড ডায়েটারি সাপ্লিমেন্ট (ডিডিএস) কিট’ সরবরাহও বন্ধ রয়েছে। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো হচ্ছে দরিদ্র পরিবারের বড় ভরসাস্থল। ফলে বিনা মূল্যে ওষুধ ও সরঞ্জাম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়ছে বিশাল...
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে মাতৃমৃত্যুর হার দেশের গড়ের চেয়ে বেশি। চলতি ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত হাসপাতালে ৬ হাজার ৩৫৫ জন প্রসূতির মধ্যে মারা গেছেন ১৯ জন। ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ৮৩ এবং ২০২৩ সালে ৭৫ জন।গত বছরের ২ এপ্রিল চমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এক বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক রোকসানা আক্তার (৩২)। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিনি তিনটি সন্তান জন্ম দেন। এর মধ্যে একটি ছেলে নবজাতক মারা যায়। অস্ত্রোপচারের পর থেকেই রোকসানার অবস্থা খারাপ হতে থাকে। রক্তক্ষরণ থামানো যায়নি। পরে আরও দুবার অস্ত্রোপচার করা হলেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। ৪ এপ্রিল ভোররাতে তিনি মারা যান।রোকসানার স্বামী মো. হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘অস্ত্রোপচারের পর আমার স্ত্রীর রক্তক্ষরণ বন্ধ করা যায়নি। চিকিৎসকদের অবহেলার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’চমেক হাসপাতালে প্রতিবছরই...
ঢাকার কেরানীগঞ্জে থাকেন মাজহারুল ইসলাম ও ইয়াসমিন আক্তার দম্পতি। মাজহারুল আসবাবের দোকানে রঙের কাজ করেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় অন্তঃসত্ত্বা ইয়াসমিনের প্রসবব্যথা ওঠে। তাঁকে রাজধানীর ‘মোহাম্মদপুর ফার্টিলিটি সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার এবং ১০০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতালে’ ভর্তি করা হয়। রাত দেড়টার দিকে স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে তিনি সন্তানের জন্ম দেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে গিয়ে কথা হয় ইয়াসমিনের (২৫) সঙ্গে।পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীনে পরিচালিত এই হাসপাতালে স্বাভাবিক প্রসবের সময়ে জরুরি ওষুধ ও সরঞ্জাম বিনা মূল্যে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। সেটা পেয়েছেন কি না, জানতে চাইলে ইয়াসমিনের পাশে বসে থাকা তাঁর মা রাহিমা বলেন, কী কী লাগবে সেটা নার্স এসে জানানোর পর তাঁর জামাতা মাজহারুল স্যালাইন, ওষুধ, স্যানিটারি ন্যাপকিন ইত্যাদি বাইরে থেকে কিনে এনেছিলেন। ...
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ বাড়ছে। এর প্রভাবে দেশের অন্তঃসত্ত্বা নারীরা বড় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছেন। এর অন্যতম হলো সময়ের আগে সন্তান প্রসবের হার বৃদ্ধি। গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্লাইমেট সেন্ট্রাল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। সারাবিশ্বে এই প্রবণতা বাড়ছে বলে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশে তাপপ্রবাহের দিন আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বছরে গড়ে ৩৪ দিন অন্তঃসত্ত্বা নারীর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ তাপপ্রবাহ ছিল। এই দিনগুলোতে তাপমাত্রা রেকর্ড গড়ের চেয়ে ৯৫ শতাংশ বেশি থাকে, যা অন্তঃসত্ত্বা নারীর জন্য গুরুতর শারীরিক জটিলতা তৈরি করতে পারে। বাংলাদেশে বছরে গড়ে ৬০ দিনের মতো তাপপ্রবাহ থাকে। ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ হিসেবে গণ্য করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ৪০ ডিগ্রির ওপর হলে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। ক্লাইমেট...
রংপুর মেডিকেল কলেজে একটা ব্যবস্থা করলেই হার্টের রিং পরানোর জন্য এই বিভাগের রোগীদের ঢাকা যেতে হয় না– এ আক্ষেপ অনেকেরই। গণঅভ্যুত্থানের পর ‘রাষ্ট্র গঠন’, ‘দ্বিতীয় রিপাবলিক’– কত শব্দ শুনছি! জনগণের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার গঠন ছাড়া তা কতদূর সম্ভব? চিকিৎসা একটা মৌলিক অধিকার। এর সুষ্ঠু বন্দোবস্ত স্বাধীনতার অর্ধশত বছরে করা দূরে থাক; জনগণ লড়াই করে যা আদায় করেছিল, তাও কমে আসছে। এমনকি হাসপাতালগুলোকে ক্লিনিক বানানোর প্রস্তাব পর্যন্ত উঠেছিল এক সময়। এই মৌলিক অধিকার কথার মানেটা তাহলে কী? টাকা থাকলে চিকিৎসা পাবে; না থাকলে নাই, এমনটা কী? দুই. লালমনিরহাটের তিস্তা নদীতীরের রাজপুর ইউনিয়ন। সেখানে একটি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে। সেখানে অন্তঃসত্ত্বার নিরাপদ প্রসবের ব্যবস্থা আছে। কেন্দ্রের একমাত্র ডিএমএফ ডিগ্রিধারী উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো), ১ জন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা, ১ জন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক ও...
মা হওয়া একটি চমৎকার অনুভূতি। কিন্তু এই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে একজন নারীকে অনেক কষ্ট পেতে হয়। নানা জটিলতার কারণে কখনো কখনো অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের প্রয়োজন হয়। তবে বেশির ভাগ পরিবারই অবশ্য চান স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে সন্তান হোক।গর্ভাবস্থায় একজন নারী যত বেশি সক্রিয় থাকবেন, স্বাভাবিক প্রসবের সম্ভাবনা তত বাড়বে। তবে ভারী জিনিস তোলা বা বেশি ওঠানামার কাজ করা যাবে না। পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। তবে অতিরিক্ত ওজন বাড়ানো ঠিক নয়।স্বাভাবিক প্রসবের উপকারিতা অনেক। সিজারের মাধ্যমে প্রসবে রক্তপাত ও সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি স্বাভাবিক প্রসবের তুলনায় বেশি। সিজারের পর পেটের ভেতরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের স্বাভাবিক অবস্থান নষ্ট হয়। মায়ের সুস্থ হতে বেশি সময় লাগে। আর স্বাভাবিকভাবে জন্ম নেওয়া শিশুর শ্বাসকষ্ট ও অ্যালার্জিজনিত রোগে ভোগার ঝুঁকি কম।প্রসব ব্যথামুক্ত করার পদ্ধতিপ্রসবের সময় যেসব স্নায়ু ব্যথার...
টাঙ্গাইলের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নববর্ষের প্রথম প্রহর সকাল ৬টা ৩০মিনিটে মাওলানা আবু ইউসুব আলী ও জুমা খাতুন দম্পতি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। ইউসুবের বাড়ি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার অলোয়া তারিনী। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সকাল ৬টা সময় প্রসব ব্যথা নিয়ে জুমা খাতুন হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স নাছিমা বেগম স্বাভাবিকভাবেই কোনো অপারেশন ছাড়াই প্রসবের চেষ্টা করেন। পরে ৬টা ৩০ মিনিটে স্বাভাবিকভাবেই মায়ের কোল আলো করে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। জুমা খাতুনের তিন বছরের আরও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তার নাম নিহলা। নবজাতক শিশুর বাবা ইউসুব আলী টাঙ্গাইল সদর উপজেলার শহর বাইপাস নগড়জলফই জামিয়া আশরাফিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক ও আশেকপুর বাইতুল মামুর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব। তিনি হাফেজ মওলানা ও মুফতি। স্ত্রী জুমা...
বাংলা নববর্ষ ১৪৩২; সোমবার সকাল ৯টা। শেরপুর শহরের বেসরকারি একতা স্পেশালাইজড হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার থেকে তোয়ালে মোড়া সদ্যোজাত এক শিশুকে বের করে নিয়ে এলেন চিকিৎসক। নতুন পৃথিবীর নতুন আলোতে তখনও ছেলে শিশুটি ধাতস্ত হতে পারেনি; চোখ পিটপিট করছে তার। সিজারিয়ানের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের ধকলে শিশুটির মা জামেনা খাতুন তখনও অচেতন। চিকিৎসক অপারেশন থিয়েটারের বাইরে অপেক্ষারত বাবা মো. মিজানের হাতে তুলে দিলেন সন্তানকে। তারপর যা হলো, সেটি সত্যি পৃথিবীর সেরা দৃশ্যগুলোর একটি হতে পারে। কাঁদতে কাঁদতে বাবা মিজান চুমু খেলেন সদ্যোজাত সন্তানের তুলতুলে হাতে। ওদিকে আজান দিলেন মিজানের ছোট বোনের স্বামী মো. মাসুদ। শেরপুর সদর উপজেলার বলাইয়েরচর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে প্রত্যন্ত গ্রাম পাইকারতলার বাসিন্দা মিজান ও জামেনা। জেলার সবজিভান্ডার হিসেবে খ্যাত এ গ্রামের অধিকাংশ মানুষের পেশা কৃষিকাজ। এর বাইরে রাজমিস্ত্রি...
সন্তান জন্মদানের যে তারিখ চিকিৎসকরা দিয়েছিলেন, এর তিন রাত আগেই প্রসব ব্যথা শুরু হয় ময়না বেগমের। প্রথম দুই সন্তানের জন্মও হয়েছিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে। সেলাইয়ের জায়গায়ও যন্ত্রণা বাড়তে থাকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। তাই অস্ত্রোপচারে দেরি করতে চাননি চিকিৎসকরা। অবশেষে সোমবার সকাল ৯টার দিকে মাদারীপুরের আচমত আলী খান সেন্ট্রাল হাসপাতালে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ময়না। পহেলা বৈশাখের সকালে জন্ম বলেই দাদি-নানির সম্মতিতে এই শিশুর নাম রাখা হয় ‘পহেলা’। ময়না বেগম মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বদরপাশা গ্রামের খালেক আকনের মেয়ে। সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের চরপুটিয়া গ্রামের খবির উদ্দিন মোড়লের ইতালিপ্রবাসী ছেলে লুৎফর মোড়লের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় আট বছর আগে। লুৎফর-ময়না দম্পতির আগেই দুই ছেলেমেয়ে হয়। এদের মধ্যে আব্দুর রহমানের বয়স ৭, রুকাইয়া মোড়লের বয়স ৪ বছর। চিকিৎসাধীন ময়না জানান, তাঁর সন্তান প্রসবের জন্য ১৬...
বাড়ির পাশে মুরগির খামার। খামারে স্বামী মমিনুল ইসলামকে সহযোগিতা করেন স্ত্রী রত্না বেগম। দীর্ঘ কয়েক মাস তিনি একাই চালিয়ে যাচ্ছেন খামারের সব কাজ। কারণ, রত্না বেগম এখন হাসপাতালের বেডে। রোববার মধ্য রাতে হঠাৎ প্রসব বেদনার যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রত্না। স্বজনদের পরামর্শে বাধ্য হয়ে রাতেই তাঁকে রংপুর নগরীর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পহেলা বৈশাখ সকাল ৬টায় তাদের ঘর আলোকিত করে জন্ম নেয় পুত্রসন্তান। শিশুটির জন্মগ্রহণের খবরে চারদিক সরব হয়ে ওঠে। কিন্তু মমিনুলের মুখে হাসি নেই। কারণ তিনি ইতোমধ্যে জেনে গেছেন সন্তান সুস্থ থাকলেও প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী। হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক ডা. ফারহানা ইসলাম জানান, অস্ত্রোপচার করতে হয়নি। স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে রত্নার। তিনি এখনও সম্পূর্ণ সুস্থ হননি। তাঁর শরীরে রক্ত দেওয়া হচ্ছে। সন্তান...
কোলজুড়ে সন্তান আসবে। আলোকিত করবে ঘর। তার কী নাম রাখবেন, তাকে কীভাবে বড় করবেন– এসব নিয়ে ভাবনার শেষ নেই জিহাদ আলী ও সাদিয়া আক্তার নেহা দম্পতির। তাঁদের অপেক্ষা যেন ফুরোচ্ছিল না। অবশেষে অপেক্ষা শেষ হয় সোমবার পহেলা বৈশাখের সকালে। এদিন বেসরকারি হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে পুত্র সন্তান জন্ম দেন সাদিয়া। প্রথম সন্তানকে নিয়ে স্বপ্নের কথা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে ডাক্তার বানাবো, যাতে সে গরীবদের বিনা পয়সায় সেবা দিতে পারে।’ চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার বহরল গ্রামের বাসিন্দা জিহাদ আলী। তাঁর স্ত্রী সাদিয়া যখন হাসপাতালে, তখন এই কৃষক নিজ ক্ষেতে কাজ করছেন। সন্তান জন্মের খবর পেয়ে ছুটে যান জেলা শহরের নিমতলার নবাব নার্সিং হোমে। সেখানে গিয়ে সন্তানকে কোলে তুলে নেন। জিহাদ আলী বলেন, ‘বছরে প্রথম দিনে সন্তান হওয়ায় খুব ভালো লাগছে।...
মোবারক হোসেন ও তানজিলা আক্তারের বিয়ে হয় ২০২৪ সালের মার্চে। কিছুদিন পর তানজিলার গর্ভে সন্তান আসে। এদিকে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে রেখে বিয়ের ছয় মাসের মাথায় সৌদি আরবে চলে যান মোবারক। সেখানে বসে তিনি তানজিলাকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। তবে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে সব সময় তাঁর খোঁজখবর রেখেছেন। প্রয়োজনীয় জিনিস দিতে কার্পণ্য করেননি। দূর পরবাসে বসে অপেক্ষায় ছিলেন, কখন সন্তানের মুখ দেখবেন। অবশেষে তাঁর সে আশা পূরণ হয়েছে সোমবার পহেলা বৈশাখের সকালে। এদিন সকাল ৯টায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে স্বাভাবিক প্রসবের (নরমাল ডেলিভারি) মাধ্যমে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তানজিলা আক্তার। কিছুক্ষণ পরই স্বজনদের মাধ্যমে ভিডিও কলে প্রথম সন্তানের মুখ দেখেন মোবারক। এ সময় আনন্দে তাঁর চোখে পানি চলে আসে। সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের আবদুল মতিন ও সেলিনা বেগম দম্পতির ছেলে মোবারক।...
বাংলা নতুন বছরের প্রথম সকালে মা হয়েছেন রুহেনা বেগম (২২)। নির্ধারিত তারিখের আগে স্বাভাবিকভাবে প্রসব হয়েছে তাঁর ছেলেসন্তানের। সমকালের প্রজন্ম বরণের কথা শুনে লজ্জায় তিনি মুখ লুকিয়ে ফেলেন ওড়নায়। সেই কক্ষে কিছুক্ষণের মধ্যে ফিরে বিষয়টি শুনে আপ্লুত হয়ে ওঠেন নবজাতকের বাবা হাবিবুর রহমান। তাঁর কাছ থেকে বর্ণনা শুনে রুহেনা বলে ওঠেন, ‘আইজ কিতা পয়লা বৈশাখ নি? বড়ো ভালা দিনে পুয়া (ছেলে) জন্ম নিছে।’ আগের রাতটি মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে তীব্র যন্ত্রণায় কেটেছে এই গৃহবধূর। তাঁর বাবার বাড়ি সিলেটের বালাগঞ্জের পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের কিচ্যা জালালপুর। গত বছর রুহেনার বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের ঐয়া গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বরিশালের একটি চীনা পাওয়ারপ্লান্টে কর্মরত। সন্তান প্রসবের আলামত শুনে দ্রুত বাড়িতে ফেরেন রোববার। কুশিয়ারা নদীপথ ও সড়ক পাড়ি দিয়ে...
আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট অনুযায়ী বগুড়ার রেশমীর বেগমের সন্তান হওয়ার তারিখ ছিল আগামী ২৪ এপ্রিল। কিন্তু এগারদিন আগেই ১৩ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে প্রসব বেদনা ওঠে। ব্যাথায় ছটফট করছিলেন আর কাঁদছিলেন। মায়ের ছটফটানি আর কাঁন্না দেখে কাঁদছিল তাঁর চার বছর বয়সী মেয়ে আরিফা জান্নাত তৃপ্তিও। এক পর্যায়ে সে রাতে রেশমীকে নেওয়া হয় বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে। পরেরদিন পহেলা বৈশাখের সকালে স্বাভাবিক উপায়েই রেশমী জন্ম দেন ফুটফুটে এক কন্যা শিশু। নিমিষে যেন গত রাতের প্রসব বেদনা ভুলে গিয়েছিলেন তিনি। সন্তানকে বুকে জড়িয়ে তাঁর চোখ থেকে পড়ছিল আনন্দঅশ্রু। বৈশাখের প্রথম দিন জন্ম, তাই রেশমী জানালেন, মেয়ের নাম হবে বৈশাখী। রেশমী বেগম বলেন, প্রথম সন্তান জন্মের সময় এত কষ্ট ব্যাথা ছিলো না। দ্বিতীয় সন্তানের সময় ব্যাথায় মনে হচ্ছিল আমার প্রাণ চলে যাবে। ডাক্তারকে সিজার করার...
ঈদে সরকারি হাসপাতালের অধিকাংশ চিকিৎসক থাকেন ছুটিতে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের গর্ভবতী নারীরা ডেলিভারি নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন। কিন্তু এবার নয় দিনের টানা ছুটিতে সিলেট বিভাগের ১৫০টি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবায় বিঘ্ন ঘটেনি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা জানিয়েছেন এবার ঈদের ছুটিতে ৩২৮টি নরমাল ডেলিভারি করা হয়েছে। যা আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ওই সময়ে ১ হাজার ৩১৭ জন নারীকে গর্ভকালীন ও প্রসবোত্তর সেবা দেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়। শনিবার পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। জানা গেছে, গত ২৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া ঈদের ছুটি গতকাল শনিবার শেষ হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন...
ঈদে সরকারি হাসপাতালের অধিকাংশ চিকিৎসক থাকেন ছুটিতে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের গর্ভবতী নারীরা ডেলিভারি নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন। কিন্তু এবার নয় দিনের টানা ছুটিতে সিলেট বিভাগের ১৫০টি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবায় বিঘ্ন ঘটেনি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা জানিয়েছেন এবার ঈদের ছুটিতে ৩২৮টি নরমাল ডেলিভারি করা হয়েছে। যা আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ওই সময়ে ১ হাজার ৩১৭ জন নারীকে গর্ভকালীন ও প্রসবোত্তর সেবা দেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়। শনিবার পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। জানা গেছে, গত ২৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া ঈদের ছুটি গতকাল শনিবার শেষ হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন...
ভূমিকম্পের টালমাটাল সময়ে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের একটি হাসপাতালে সন্তান জন্ম দিয়েছেন এক থাই নারী। গত শুক্রবার তিনি যখন সন্তান প্রসব করছিলেন, তখন ভূমিকম্পের দরুন হাসপাতালের শয্যা প্রচণ্ডভাবে দুলছিল।গত শুক্রবার মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ তীব্রতার ভূমিকম্পে অসংখ্য ভবন ও স্থাপনা ধসে পড়েছে। সেই ভূমিকম্পে দুলে উঠেছিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককও। এ সময় বিভিন্ন হাসপাতালের রোগীদের ভবন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। নিরাপত্তার স্বার্থে অনেক রোগীকে হাসপাতালে নিচতলায় আবার অনেককে ভবনের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।ব্যাংককের বাসিন্দা অন্তঃসত্ত্বা কানথং সায়েনমুয়াংসিন (৩৬) নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তবে হাসপাতাল ভবন দুলে ওঠার পর তিনি লেবার রুমে (প্রসবকক্ষ) চলে যান।পরে পুলিশ জেনারেল হাসপাতালের কর্মীরা কানথংকে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামিয়ে নিচ্ছিলেন। এ সময় তাঁর শরীর থেকে পানি বের হচ্ছিল। তিনি আশঙ্কা করছিলেন, সিঁড়িতেই না তাঁর সন্তান প্রসব...
শুক্রবার যখন ভয়াবহ ভূমিকম্পে কাঁপছিল থাইল্যান্ড, তার আগমুহূর্তে রাজধানী ব্যাংককের পুলিশ জেনারেল হাসপাতালে প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছিলেন এক নারী। চিকিৎসকরা যখন ওই নারীর অস্ত্রোপচার শুরু করেন, তখনই শুরু হয় ভূমিকম্প। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত হাসপাতাল থেকে রোগীসহ বের হয়ে রাস্তায় চলে আসেন চিকিৎসকরা। আর সেই রাস্তায় সন্তান প্রসব করেন ওই নারী। হাসপাতালের মুখপাত্র পুলিশ কর্নেল সিরিকুল শ্রীসাঙ্গা জানান, মেডিকেল টিম রোগীকে হাসপাতাল থেকে বের করে নিয়ে যায় এবং স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের বেষ্টিত অবস্থায় তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, ওই নারী স্ট্রেচারে শুয়ে আছেন এবং হাসপাতালের কর্মীরা খোলা আকাশের নিচে তার প্রসবের সময় সহায়তা করছেন। ফুটেজে, হাসপাতালের অন্যান্য রোগীদের অসংখ্য স্ট্রেচারকে উঠানে স্থানান্তরিত করতে দেখা যাচ্ছে। সেখানে ডাক্তাররা...
রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার গাইন্দ্যা ইউনিয়নের কাইথাকপাড়ার যুগেজ পাহাড়ে প্রসবকালে একটি বন্যহাতি ও তার শাবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে মৃত মা হাতি ও শাবকটি উদ্ধার করে মাটিচাপা দিয়েছেন বন বিভাগের কর্মীরা। প্রসবের সময় যন্ত্রণায় কাতর হয়ে মা হাতি ও শাবকটি মারা যায় বলে বন বিভাগ ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় জানিয়েছে। রাজস্থলীর গাইন্দ্যা ইউনিয়নে গত ১ মাস ধরে ৯টি বন্যহাতি খাবারের সন্ধানে কাইথাকপাড়া, চুশাকপাড়া, ছাইখ্যংমুখপাড়া, তমসেংপাড়া, রেমাছড়া, তুলাছড়ি, হাজিপাড়া, মববইপাড়া, উগারিপাড়া, কাইংটংপাড়াসহ প্রায় ১৫টি পাড়ায় বিচরণ করছিল। এসব এলাকায় স্থানীয়দের বসতঘর, বাগানের ফল ও সেগুনবাগান নষ্ট করে হাতির পালটি। বন্যহাতির আক্রমণে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কইথাকপাড়া এলাকায় উচ্চসিং মারমা নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। হাতির তাণ্ডবে এলাকার লোকজন দিনে কিছুটা নিরাপদে থাকলেও সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্ক বেড়ে যায়। তারা অনেকটা নির্ঘুম...
রাঙামাটিতে শাবক প্রসবের সময় একটি বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে মারা গেছে শাবকটিও। আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার গাইন্দ্যা ইউনিয়নের কাইতংপাড়া এলাকা থেকে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে বন বিভাগ।গাইন্দ্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পুচিমং মারমা বলেন, সকালে বনের মধ্যে মৃত অবস্থায় মা হাতি ও শাবকটিকে পড়ে থাকতে দেখেন কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা। বিষয়টি বন বিভাগকে জানানো হয়। পরে বন বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতি ও হাতিশাবকটির মৃতদেহ উদ্ধার করে।রাঙামাটি দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, প্রসবকালে শাবকটির দেহের অর্ধেক আটকে যায়। এ সময় মা হাতি ও শাবকের মৃত্যু হয়েছে। বন বিভাগ মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
নারীর সম–অধিকারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয় ১৯০৯ সাল থেকে। প্রথমে নিউজিল্যান্ড, পরে উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপজুড়ে এ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ ১৯৭৭ সালে বিশ্ব নারী দিবসের স্বীকৃতি দেয় এবং দিবসটি পালিত হতে থাকে বিশ্বজুড়ে। নারী দিবসের মূলমন্ত্রই হলো নারীর অধিকার ও সচেতনতা। কিন্তু এত বছর পরও আমরা দেখছি দেশে নারীর শরীর, স্বাস্থ্য ও প্রজননবিষয়ক অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি। নারীকে সন্তান ধারণ ও জন্ম দেওয়ার গুরুদায়িত্ব পালন করতে হয়। মানবজাতির টিকে থাকা ও বংশবৃদ্ধিতে যা সবচেয়ে জরুরি। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় নারীর অধিকার কতটুকু? বাল্যবিবাহ প্রতিরোধপ্রজননসংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্ত স্বামী ও স্ত্রী মিলে একত্রে নিতে হবে। সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত, অর্থাৎ কখন নেবেন, কয়টি নেবেন, কত বিরতিতে নেবেন, জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কী হবে—এর কোনোটাই নারীর ওপর চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। এসব বিষয়ে নারীর সঠিক...
পাবনা জেনারেল হাসপাতালে এক নারীর প্রসবকালে শিশুর দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রসূতির পরিবার চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, শিশুটি অপরিপূর্ণ ও মায়ের পেটে মৃত অবস্থায় থাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ প্রসূতি চিকিৎসক নারগিস সুলতানাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।হাসপাতাল ও প্রসূতি নারীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সদর উপজেলার আতাইকুলা ইউনিয়নের আতাইকুলা গ্রামের দুবাইপ্রবাসী মো. রমজান খাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মোছা. শিউলী খাতুন (৩৫) চিকিৎসক শাহীন ফেরদৌসের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। আজ ভোরে পেটে ব্যথা অনুভব করলে স্বজনেরা তাঁকে প্রথমে শাহীন ফেরদৌসের কাছে নিয়ে যান। চিকিৎসক জটিল অবস্থা দেখে রোগীকে...
অনেকে মনে করেন, অন্তঃসত্ত্বা নারীর ব্যায়াম করা উচিত নয়। কিন্তু বর্তমানে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, এটি মায়ের সুস্থতা বজায় রাখতে ও গর্ভাবস্থায় নানা জটিলতা কমাতে সাহায্য করে। তবে ব্যায়াম করতে হবে সঠিকভাবে ও সাবধানে, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে।কোনো দিন যাঁরা ব্যায়াম করেননি, তাঁদের গর্ভধারণের আগে থেকেই ব্যায়াম শুরু করা উচিত, যেন সন্তানধারণ ও প্রসবে সুবিধা হয়।নির্দেশিকাপ্রতি সপ্তাহে ৩ থেকে ৫ দিন সকালে বা বিকেলে, যখন নিজেকে বেশি সক্রিয় মনে হয়, ব্যায়াম করা ভালো।সাধারণত প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ মিনিট হালকা ব্যায়াম করা নিরাপদ ও কার্যকর। প্রথমে ১৫ মিনিট থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে সময় বাড়ানো যেতে পারে।ব্যায়াম করার সময় শরীরের ওপর অতিরিক্ত চাপ না পড়ে তা লক্ষ্য রাখতে হবে।প্রথম তিন মাস অতিরিক্ত চাপ এড়িয়ে চলা উচিত।...
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়নের মেরকুটা গ্রামের গৃহবধূ আছিয়া খাতুন কয়েক মাস আগে বাড়িতে দাইয়ের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করেন। এর পরই তাঁর শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। উপায় না পেয়ে সারারাত অপেক্ষা করে ভোরে তাঁকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ততক্ষণে তাঁর রক্তচাপ কমে আসে। পরে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। দেশের বিভিন্ন এলাকায় এভাবে অদক্ষ দাইয়ের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করতে গিয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন প্রসূতিরা। বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন বিকল্পের নীতিনির্ধারণী গবেষণার (উবিনীগ) এক জরিপে দেখা গেছে, গ্রামের ৮৫ শতাংশ নারী সন্তান প্রসবের জন্য দাইয়ের ওপর নির্ভরশীল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৩১ লাখ নারী সন্তান প্রসব করেন। এর মধ্যে ৪৭ শতাংশ হাসপাতাল-ক্লিনিকে, ৫৩ শতাংশ বাসাবাড়িতে। ১৬ লাখ ৪৩ হাজার সন্তান প্রসব হয় বাসাবাড়িতে অদক্ষ দাইয়ের...