পুঁজিবাজারে বন্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রহিম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) ও অর্ধবার্ষিক (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলোচ্য প্রন্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, এদিকে আলোচ্য অর্থবছরে দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.

২৮ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.১৩ টাকা। সে হিসেবে অলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে ০.১৫ টাকা বা ১১৫ শতাংশ।

অপরদিকে, ৬ মাস বা অর্ধবার্ষিক প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৪৯ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.২৫ টাকা। সে হিসেবে অলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে ০.২৪ টাকা বা ৯৬ শতাংশ।

২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমাপ্ত সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৫.৩২ টাকা।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জনগণ যখন সংকটে, তখন কোন জুজুতে প্রতিরক্ষায় ব্যয় বাড়াচ্ছে জাপান

জাপানের অর্থনীতি খুব একটা ভালো নেই। উন্নত অন্যান্য দেশের মতোই দারিদ্র্য কিংবা অর্ধাহার হয়তো চোখে পড়ছে না। তবে সংবাদমাধ্যম ও অন্যান্য সূত্রের খবরাখবর বলছে, দৃষ্টির বাইরে থাকা এসব সমস্যা ক্রমেই গভীর হয়ে উঠছে। এমন সমস্যা যে উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে জাপানের একার, তা অবশ্য নয়। সে রকম সব কয়টি দেশেই একদিকে সম্পদ মুষ্টিমেয় কিছু পরিবারের নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীভূত, অন্যদিকে বাড়ছে চাকরি হারানো লোকজনের সংখ্যা। সেই সঙ্গে লাগামহীন মূল্যস্ফীতি নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর টিকে থাকা কঠিন করে তুলছে, দৈনন্দিন জীবনের খরচাপাতি মেটাতে হিমশিম খাওয়া পরিবারের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে বেড়ে চলেছে অপরাধপ্রবণতা।

চলতি বছরের মাঝামাঝিতে জাপানের কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রচারিত এক জরিপে দেখা যায়, দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ পরিবারকে গত বছর সংসার চালানোর খরচ মেটাতে সংগ্রাম করতে হয়েছে। জীবনযাত্রার খরচ মেটানোর জন্য প্রয়োজন হওয়া অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া হচ্ছে এর মূল কারণ, যার পেছনে আছে দেশের মুদ্রা ইয়েনের মূল্য পড়ে যাওয়া এবং খাদ্যসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়া। জাপানকে প্রয়োজনীয় খাদ্যের প্রায় ৬০ শতাংশ আমদানি করতে হয়। দেশের মুদ্রার দরপতন আমদানির খরচ বাড়িয়ে দেয় বলে খাদ্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিকভাবেই বাড়ে। এর বাইরে ইউক্রেন যুদ্ধের মতো অন্যান্য কারণও রয়েছে। সে রকম অবস্থায় অন্য এক জরিপে জাপানে নিম্ন আয়ের পরিবারের প্রায় ৯০ শতাংশ বলেছে, দাম বেড়ে যাওয়ায় সন্তানদের জন্য খাবার কিনতে তাদের সংগ্রাম করতে হচ্ছে।

এ রকম সমস্যার সমাধান করা যেকোনো দেশেই সরকারের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু বিশ্বের অনেক দেশই এখন অন্য যে দিকটিতে বেশি নজর দিচ্ছে, তা হলো, অলীক শত্রু থেকে হামলার আশঙ্কায় সমর বল বৃদ্ধি। জাপানও এর ব্যতিক্রম নয়। কেন? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে হলে জাপানের প্রতিরক্ষা ব্যয়ের দিকে আমাদের নজর দেওয়া দরকার।

এপ্রিল মাস থেকে শুরু হতে যাওয়া পরবর্তী অর্থবছরে জাপান সরকার প্রতিরক্ষা খাতে ৯ ট্রিলিয়ন জাপানি ইয়েন বা আনুমানিক ৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচের পরিকল্পনা করছে। এই অঙ্ক চলতি অর্থবছরের বাজেটে ৮ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ইয়েন বরাদ্দের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

জাপানের প্রভাবশালী দৈনিক সংবাদপত্র আসাহি শিম্বুন বিভিন্ন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে শনিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া পরবর্তী অর্থবছরে জাপান সরকার প্রতিরক্ষা খাতে ৯ ট্রিলিয়ন জাপানি ইয়েন বা আনুমানিক ৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচের পরিকল্পনা করছে। এই অঙ্ক চলতি অর্থবছরের বাজেটে ৮ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ইয়েন বরাদ্দের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। জাপান সরকারের পক্ষ থেকে এর আগে বলা হয়েছিল, চীন ও উত্তর কোরিয়ার দিক থেকে প্রতিরক্ষা চ্যালেঞ্জের মুখে দেশকে পড়তে হওয়া ও সেই সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি মেটাতে সামরিক খাতে বরাদ্দ এতটা বৃদ্ধি করতে হচ্ছে। দেশের ক্ষমতাসীন নেতৃস্থানীয় রাজনীতিবিদেরা অবশ্য বলে থাকেন, নাগরিকদের রক্ষা করার ব্রত নিয়েই জাপান সরকার তা করছে।

জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জনগণ যখন সংকটে, তখন কোন জুজুতে প্রতিরক্ষায় ব্যয় বাড়াচ্ছে জাপান
  • ড্রাগন ফল বিক্রি করে কারও আয় ১০ লাখ, কারও ১৫ লাখ টাকা
  • ডিসেম্বরে ১০ দিনে প্রবাসী আয় ১২৯ কোটি ডলার