নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি-সম্পাদক পদে জাহাঙ্গীর ও মনিরুল পুনর্নির্বাচিত
Published: 16th, February 2025 GMT
নড়াইল জেলা বিএনপির সম্মেলনে সভাপতি পদে বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক পদে মনিরুল ইসলাম আবার নির্বাচিত হয়েছেন। রোববার বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিলরদের ভোটে তাঁরা পুনর্নির্বাচিত হন। এ ছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক পদে খন্দকার এজাজুল হাসান নির্বাচিত হন।
দীর্ঘ ১৬ বছর পর আজ নড়াইল জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো। সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে নেতা নির্বাচনে কাউন্সিলরদের ভোট গ্রহণ করা হয়। জেলা বিএনপির ৭টি ইউনিটের ৭০৭ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৬৯৪ জন ভোট দেন। বেলা দুইটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। পরে গণনা শেষে সন্ধ্যার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, ৪৫৬টি ভোট পেয়ে সভাপতি হন আগের কমিটির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম। তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী জুলফিকার আলী মণ্ডল পেয়েছেন ২৩৮টি ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে ৪৩৬টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহরিয়ার রিজভী পেয়েছেন ২৬৩টি ভোট। আর সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ২৯৭ ভোট পেয়ে খন্দকার এজাজুল হাসান নির্বাচিত হন।
ফলাফল ঘোষণার সময় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় (ভারপ্রাপ্ত) সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বেলা একটার দিকে সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র ব চ ত হন ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় সব পক্ষের প্রতিনিধিত্ব নেই: এনসিপি
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কোন পদ্ধতিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনায় ডাকছে, তা সুস্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম।
এনসিপির এই নেতা বলেন, ঐকমত্য কমিশন যাদের আহ্বান করেছে, তারা দেশের শতভাগ মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করতে পারছে না। যদি এসব রাজনৈতিক দল জন আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আসতে পারত, তাহলে গণ–অভ্যুত্থানের আগে ৫৪ দল মিলে যে আন্দোলন করেছিল, সেটা ফলপ্রসূ হতো।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার বিরতিতে এনসিপির পক্ষ থেকে তিনি এ কথা বলেন।
চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানে তিন ধরনের অংশীজন ছিল উল্লেখ করে আরিফুল ইসলাম বলেন, সব রাজনৈতিক দল মিলে একটি স্টেকহোল্ডার, জনতা আরেকটি স্টেকহোল্ডার এবং সব শিক্ষার্থী মিলে আরেকটি স্টেকহোল্ডার ছিলেন। কিন্তু আলোচনায় শুধু রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নিয়েছে।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু কোনো রাজনৈতিক দলের চেষ্টায় হয়নি উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, এখানে সব পেশাজীবী এবং জনতার অংশগ্রহণ ছিল, যাদের আসলে কোনো প্রতিনিধি নেই।
আরিফুল ইসলাম বলেন, ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় বিভিন্ন দলকে কোনো একটি বড় দলের সুপারিশে ডাকা হচ্ছে কি না, সেটা নিয়ে তাঁর দল জাতীয় নাগরিক পার্টির মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। তিনি বলেন, শুধু একটি দলের বক্তব্যের প্রতি এসব দলের হ্যাঁ অথবা না–বোধক সমর্থন থাকে। যখনই বিপরীত কোনো মন্তব্য আসে, তখন সেখানে হট্টগোলের চেষ্টা করা হয়।
আজকের আলোচনায় জাতীয় সংসদে নারী আসন নির্ধারণের বিষয়ে এনসিপির মতামত তুলে ধরে আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাই, নারীদের আসন ভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হোক। তবে পদ্ধতি এবং সংখ্যা নিয়ে আলোচনা চলমান আছে।’
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে এনসিপির অবস্থান তুলে ধরে আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পক্ষে ছিলাম। কিন্তু ঐকমত্যের স্বার্থে অর্থবিল ও আস্থা ভোট বাদে অন্য বিষয়ে দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়া যাবে বলে আমরা মত দিয়েছি।’