নড়াইল জেলা বিএনপির সম্মেলনে সভাপতি পদে বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক পদে মনিরুল ইসলাম আবার নির্বাচিত হয়েছেন। রোববার বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিলরদের ভোটে তাঁরা পুনর্নির্বাচিত হন। এ ছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক পদে খন্দকার এজাজুল হাসান নির্বাচিত হন।

দীর্ঘ ১৬ বছর পর আজ নড়াইল জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো। সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে নেতা নির্বাচনে কাউন্সিলরদের ভোট গ্রহণ করা হয়। জেলা বিএনপির ৭টি ইউনিটের ৭০৭ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৬৯৪ জন ভোট দেন। বেলা দুইটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। পরে গণনা শেষে সন্ধ্যার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, ৪৫৬টি ভোট পেয়ে সভাপতি হন আগের কমিটির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম। তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী জুলফিকার আলী মণ্ডল পেয়েছেন ২৩৮টি ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে ৪৩৬টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহরিয়ার রিজভী পেয়েছেন ২৬৩টি ভোট। আর সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ২৯৭ ভোট পেয়ে খন্দকার এজাজুল হাসান নির্বাচিত হন।

ফলাফল ঘোষণার সময় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় (ভারপ্রাপ্ত) সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বেলা একটার দিকে সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন র ব চ ত হন ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না, মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, 'আমাদের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে একটা নেতিবাচক সংবাদ দেখলেই যাচাই-বাছাই না করে শেয়ার করে দেওয়া হয়। অত্যন্ত ভিত্তিহীন সংবাদও আমরা শেয়ার করে দেই।'

সিইসি বলেন, 'দয়া করে সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না। এই মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন। তথ্যটা যেন আগে যাচাই করে তারপরে শেয়ার করেন।'

আজ সোমবার রাজধানীর ভাটারায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন সিইসি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভুয়া সংবাদের প্রচার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপপ্রয়োগ রোধে করণীয় সম্পর্কে তিনি এসব কথা বলেন।

থানা আনসার কোম্পানি/প্লাটুন সদস্যদের আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণের (৪র্থ ধাপ) সমাপনী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিইসি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো সংবাদ দেখা মাত্রই নাগরিকদের যাচাইবাছাই করতে আহ্বান জানান সিইসি। নিশ্চিত হওয়ার আগে শেয়ার না করতে বলেন তিনি।

জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে আনসার ভিডিপির ভূমিকাকে মূল শক্তি বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তিনি বলেন, 'এনারাই অধিক সংখ্যায় নিয়োজিত থাকেন। এবং আমাদের হিসেব করতে গেলে প্রথম এদেরকেই হিসেব করতে হয় যে, কতজন আনসার ভিডিপি সদস্য আমরা মোতায়েন করতে পারব। মূল কাজটা আঞ্জাম (সম্পাদন) দিতে হয় কিন্তু আনসার এবং ভিডিপির সদস্যদের।'

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। নির্বাচনকালীন জনগণের নিরাপত্তা, ভোট কেন্দ্রের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা এবং সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণে আনসার বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি। নির্বাচনে দেশজুড়ে প্রায় ৬ লাখ আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্বপালন করবেন বলেন মহাপরিচালক।

অনুষ্ঠানে মহড়ায় ঢাকা মহানগর আনসারের চারটি জোনের অধীন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩২০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য অংশ নেন।  আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা টহল, দায়িত্ব বণ্টন ও জরুরি প্রতিক্রিয়া অনুশীলনে অংশ নেন।

মহড়ায় ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া, ভোটারদের শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে ভোট প্রদানে সহায়তা, জাল ভোট প্রতিরোধ, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা এবং সেনা, বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশের সঙ্গে দ্রুত সমন্বয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন জোনের অধিনায়ক এবং প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ