ভূতের নেশায় দেশ চষে বেড়িয়েছেন দুই বন্ধু সুমন–শাকিব
Published: 3rd, August 2025 GMT
নব্বই দশকের শেষভাগ। শাকিব তাঁর ক্রিপটিক ফেট নিয়ে মহা ব্যস্ত, সুমনও ব্যান্ড বদলে অর্থহীনে নতুনভাবে শুরু করেছেন। শাকিবের এক কাজিন সুমনের বন্ধু। তাঁর থেকে শাকিবের সব খবর পেতেন সুমন। শাকিবও সুমনের খবর রাখতেন। রক সংগীতের প্রতি দুজনের অনুরাগ, এটাই ছিল একজনের প্রতি আরেকজনের আগ্রহের মূল কারণ। তবে খোঁজখবর রাখলেও তখনো দুজনের সামনাসামনি দেখা হয়নি। সেটা হলো ১৯৯৮ সালে। মতিঝিলের বিসিআইসি মিলনায়তনের একটি কনসার্টে প্রথমবার অর্থহীনের হয়ে মঞ্চে ওঠেন সুমন। শোতে ছিলেন শাকিবও। সেই শো থেকেই শুরু হয় তাঁদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ। ২০০১ সালে জি-সিরিজের ব্যানারে ছাড়পত্র অ্যালবামে প্রকাশ পায়। এতে অন্য ব্যান্ডের সঙ্গে অর্থহীন ও ক্রিপটিক ফেইটের গানও প্রকাশ পায়। সংগীত নিয়ে দুজনের যোগাযোগ বাড়তে থাকে। ২০০২ সালে ক্রিপটিক ফেইটের প্রথম বাংলা অ্যালবাম শ্রেষ্ঠ প্রকাশ পায়। অ্যালবামটির ব্যবস্থা করে দেন সুমন।
সুমন–শাকিব চৌধুরী.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন স মন
এছাড়াও পড়ুন:
কমেডিয়ান মদন মারা গেছেন
তামিল সিনেমার বরেণ্য কমেডিয়ান মদন বব মারা গেছেন। শনিবার (৩ আগস্ট) বিকালে চেন্নাইয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এই তারকা। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
এনডিটিভ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন মদন বব। গতকাল চেন্নাইয়ের আদিয়ার বাসায় মারা যান এই অভিনেতা। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে।
১৯৫৩ সালের ১৯ অক্টোবর মাদ্রাজে জন্মগ্রহণ করেন মদন বব। তার আসল নাম এস. কৃষ্ণামুর্তি। ক্যারিয়ারের শুরুতে বিভিন্ন পেশায় যুক্ত ছিলেন তিনি। মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবেও কাজ করেছেন। সংগীত জগতে কাজের সুযোগের জন্য এ চাকরি ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে সংগীত অনুষ্ঠান, বিজ্ঞাপনের গান, নাটক, রেডিও বিজ্ঞাপন এবং সিরিয়ালে কাজ করেন। ১৯৭৫ সালে চেন্নাইয়ে ‘দূরদর্শন’ কার্যক্রম শুরু করে, তখন চ্যানেলে গিটার বাজানো প্রথম ব্যক্তি হয়ে ওঠেন মদন।
আরো পড়ুন:
‘দ্য কেরালা স্টোরি কেরালাবাসীর জন্য চূড়ান্ত অবমাননাকর’
জুনিয়র এনটিআর কত কোটি টাকার মালিক?
১৯৮৪ সালে তামিল ভাষার ‘নীনগাল কেট্টাভি’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় যাত্রা শুরু করেন। তারপর প্রায় ২০০ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। পার্শ্ব এবং হাস্যরসাত্মক চরিত্রে অভিনয় করতেন মদন। তামিল ছাড়াও মালায়ালাম, তেলেগু ও হিন্দি ভাষার সিনেমায়ও দেখা গেছে তাকে। কমল হাসান, রজনীকান্ত, অজিত, সুরিয়া, বিজয়ের মতো তারকাদের সঙ্গে পর্দা ভাগ করে নিয়েছেন এই অভিনেতা।
মদন অভিনীত সিনেমার উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলো হলো— ‘তেনালি’ সিনেমায় ‘ডায়মন্ড বাবু’, ‘ফ্রেন্ডস’ সিনেমায় ম্যানেজার সুন্দরেষন প্রভৃতি। তার অনন্য অভিনয়শৈলী, তার ফুলে ওঠা চোখ, প্রাণবন্ত মুখের অভিব্যক্তি এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া দর্শকদের বিমোহিত করেছে।
ঢাকা/শান্ত