বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরের মেয়ে সোহা আলী খান। বয়সে ছোট কুণাল খেমুকে পরিবারের মতে বিয়ে করেছিলেন তিনি। দাম্পত্য জীবনের দশ বছর পার করলেন তারা। বিয়ের ঠিক আগে স্বামীর মনের বিশেষ একটি দিক খেয়াল রাখার জন্য সোহাকে উপদেশ মা শর্মিলা ঠাকুর।

সম্প্রতি অভিনেত্রী সোহা জানান, বিয়ের আগে মা শর্মিলা ঠাকুর তাকে পুরুষ মানুষের মন বুঝে চলার উপদেশ দিয়েছিলেন। সম্পর্ক সুন্দর ও দীর্ঘ করতে এই পরামর্শ দেন তার মা।

শর্মিলা মেয়েকে বিয়ের আগে বলেন, ‘পুরুষ মানুষের অহংবোধ থাকে, সেটাকে তার স্ত্রীকে বুঝে চলতে হয়। এবং নারীর আবেগের গুরুত্ব দিতে হয় পুরুষকে।’

সোহা জানান, তার মা সৎ উদ্দেশ্য নিয়েই এই উপদেশ দেন। মায়ের দেওয়া সেই পরামর্শ মেনে চলেন সোহা। পরবর্তী কালে বন্ধু নেহা ধুপিয়ার বিয়ে সময়ও তাকে এই এক পরামর্শই দিয়েছিলেন সোহা।

শর্মিলা ঠাকুর তখন অভিনয় জীবনের মধ্যগগনে। ‘অ্যান ইভনিং ইন প্যারিস’ ছবিতে বিকিনি পরে সাড়া ফেলেছিলেন তিনি। খ্যাতি ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও। পরের বছরেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মনসুর আলি খানকে বিয়ে করেন!

সেই সময় বলিউডে একটাই গুঞ্জন, নিজের হাতে নিজের পেশাজীবন শেষ করলেন সর্মিলা! বাস্তবে তেমন কিছুই হয়নি। সংসার জীবন নিয়েও ছিলো না কোনো ঝামেলা। তাদের সফল দাম্পত্য জীবন নিয়ে গর্বিত ছেলে-মেয়েরা। সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শর ম ল ঠ ক র উপদ শ

এছাড়াও পড়ুন:

হাসিনার গুম-খুন ভুলিয়ে দেওয়ার মতো নৃশংস আচরণ করবেন না: মজিবুর রহমান

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান (মঞ্জু) বলেছেন, আর যা-ই করেন, হাসিনার আমলের গুম-খুনের কথা ভুলিয়ে দেওয়ার মতো নৃশংস আচরণ করবেন না। তিনি বলেছেন, আওয়ামী-হাসিনার আমলের নৃশংস গুম-খুনের কথা মানুষ তখনই ভুলতে পারে, যখন একই রকম খুন-খারাবি এবং পাশবিক আচরণ আগেকার ‘মজলুমদের’ দ্বারা সংঘটিত হতে থাকবে।

সম্প্রতি পুরান ঢাকায় নৃশংসভাবে ভাঙারি পণ্যের ব‍্যবসায়ী হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে গণ-অভ্যুত্থানের অংশীদার রাজনৈতিক পক্ষগুলোর প্রতি তিনি এই আহ্বান জানান। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের উদ্যোগে ‘ছাত্র-শ্রমিক জনতার গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি: বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

মজিবুর রহমান বলেন, ‘কয়দিন আগেও আমরা সব রাজনৈতিক দল এক দাবিতে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম। কে ছোট, কে বড়—তা নিয়ে প্রশ্ন তুলি নাই। সবাই একে অপরের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছি। তাহলে আজ কেন এত বিভেদ? আজ কেন আমরা একে অপরের দিকে আঙুল তুলছি?’

আফসোস জানিয়ে এ বি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা বারবার ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। কিন্তু পরক্ষণেই আবার ক্ষুদ্র স্বার্থে বিরোধে লিপ্ত হয়েছি। বেপরোয়া চাঁদাবাজি ও দখলবাজির রোগ কোনো সংস্কার দিয়ে সারবে বলে মনে হয় না। ক্ষমতা পেলেই অন্যের অধিকার হরণের প্রবণতা পেয়ে বসলে কোনো দলের পক্ষেই দেশ পরিবর্তন সম্ভব না। হাসিনার শাসনামলের পুনরাবৃত্তিই যদি হয় তাহলে আমাদের সকলকে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হতে হবে। জুলাইয়ের শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ কেউ আমাদের ক্ষমা করবে না।’

বাবর চৌধুরীর সঞ্চালনায় ও শেখ আব্দুন নুরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজসহ জাতীয় নেতারা বক্তব্য দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ