সপ্তাহব্যাপী আলোচনার পর বিস্তৃত বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মেক্সিকো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে আমদানির উপর ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। ১ আগস্ট থেকে এই শুল্ক কার্যকর হবে বলে শনিবার জানিয়েছেন ট্রাম্প।

শনিবার ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা পৃথক চিঠিতে নতুন শুল্ক ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে ট্রাম্প জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা ও ব্রাজিলসহ বেশ কয়েকটি দেশের জন্য নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

২৭টি দেশের ব্লক ইইউ  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটি বিস্তৃত বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানোর আশা করেছিল।

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধের প্রসারের পর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ট্রাম্পের চিঠির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এর আগে, তারা শিল্প পণ্যের উপর শূন্যের বিনিময়ে শূন্যের শুল্কসহ একটি বিস্তৃত বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানোর আশা করেছিল। কিন্তু কয়েক মাস ধরে চলা কঠিন আলোচনার পরে স্পষ্ট হয়েছে যে, সম্ভবত বিষয়টি একটি অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তির মাধ্যমে মীমাংসা করতে হবে এবং আশা করা হচ্ছিল, আরো ভাল কিছু নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।

২৭টি দেশের এই ব্লকটি পরস্পরবিরোধী চাপের মধ্যে রয়েছে। কারণ শক্তিশালী জার্মানি তার শিল্পকে সুরক্ষিত করার জন্য দ্রুত চুক্তির আহ্বান জানিয়েছে, অন্যদিকে ফ্রান্সের মতো অন্যান্য ইইউ সদস্যরা জানিয়েছে, ইইউ আলোচকদের মার্কিন শর্তে একতরফা চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়া উচিত নয়।

হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকে ট্রাম্পের শুল্ক আদেশের ধারাবাহিকতা মার্কিন সরকারের জন্য প্রতি মাসে কয়েক বিলিয়ন ডলার নতুন রাজস্ব তৈরি করতে শুরু করেছে। শুক্রবার মার্কিন ট্রেজারির তথ্য অনুসারে, জুন পর্যন্ত ফেডারেল অর্থবছরে মার্কিন শুল্ক রাজস্ব ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি। 

লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ঢাকা/অনিক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ