জাগো ফাউন্ডেশন ও টিকটক নিজস্ব উদ্যোগে ‘সাবধানে অনলাইনে’ কর্মসূচি নিয়ে কাজ করছে। বাংলাদেশি তরুণদের অনলাইনে নিরাপত্তা ও দায়িত্বশীল ডিজিটাল আচরণে সচেতন করার লক্ষ্যে এমন প্রচারণা কাজ করে। সারাদেশে উদ্যোগটি লক্ষাধিক তরুণ-তরুণীকে অনলাইন নিরাপত্তার বিষয়ে  সচেতন করেছে বলে জানানো হয়।
অনলাইন নিরাপত্তা, টিকটক সেফটি টুলস ও ইয়ুথ অ্যাম্বাসাডরের দায়িত্বের বিষয়ে কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অ্যাম্বাসাডররা কমিউনিটিতে অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করেন। প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের পর দেশের ৬৪ জেলায় ইয়ুথ অ্যাম্বাসাডররা সচেতনতামূলক সেশন পরিচালনা করেন। ওইসব সেশনে তরুণ-তরুণীরা অংশ নেন। বক্তারা অনলাইন হুমকি, ডিজিটাল মাধ্যমের নিরাপদ ব্যবহার ও সাইবার সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা করেন। সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে উদ্যোগটি সহায়ক হিসেবে কাজ করছে বলে জানানো হয়।
সাবধানে অনলাইনে বিশেষ প্রচারণার প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, সাবধানে অনলাইনে প্রচারণা প্রমাণ করে, তরুণরাই ডিজিটাল নিরাপত্তার পরিবর্তনে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা বাংলাদেশের তরুণ সমাজের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছি।
অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে জাগো ফাউন্ডেশন ও টিকটক কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে। যার মধ্যে অপিনিয়ন আর্টিকেল, প্রেস রিলিজ, এসবিসিসি কনটেন্ট ছাড়াও কয়েকটি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে সচেতনতামূলক প্রচারণা অন্যতম।
এসব উদ্যোগ সাধারণ জনগণের মধ্যে অনলাইন নিরাপত্তা ও সাইবার আক্রমণ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে বলে উদ্যোক্তারা জানান। ইয়ুথ অ্যাম্বাসাডর ক্যাম্পাস অ্যাক্টিভেশন কর্মসূচি ছিল প্রচারণার বিশেষ উদ্দেশ্য। সারাদেশে ২৫৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইয়ুথ অ্যাম্বাসাডররা কর্মশালা পরিচালনা করেন। কর্মশালার মাধ্যমে লক্ষাধিক শিক্ষার্থী অনলাইন নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়ে সম্যক ধারণা নিয়েছে।
ক্যাম্পাস অ্যাক্টিভেশন শেষে আটটি বিভাগে ডিভিশনাল পর্বে ইয়ুথ অ্যাম্বাসাডররা সাফল্য, অভিজ্ঞতা, চ্যালেঞ্জ ও মতামত উপস্থাপন করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ শুরু 

কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ। মহান মে দিবস উপলক্ষে ঢাকার নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত এ সমাবেশে হাজার হাজার নেতকর্মী উপস্থিত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কারী গোলাম মোস্তফার কোরআন তেলাওয়াত শুরু করেন।

এর আগে দুপুর ১২টা থেকে সমাবেশ মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন। 

দুপুর আড়াইটায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে ঢাকা মহানগরী ও আশপাশের জেলা থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা যোগ দেন সমাবেশে।

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত আছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা। সমাবেশে শ্রমিক দলের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হবে ১২ দফা দাবি। 

সমাবেশ স্থলে দেখা যায়, নেতাকর্মীরা ব্যানার, মাথায় নানা রঙের ক্যাপ, দলীয় টি-শার্ট পরে নয়পল্টনে আসছেন। জায়গায় জায়গায় চলছে স্লোগান, দলীয় সংগীত আর ঢাক-ঢোলের বাদ্য।

সমাবেশস্থলে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আহ্বায়ক হেলাল খান, সদস্যসচিব জাকির হোসেন রোকন প্রমুখ।

এদিকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সমাবেশস্থলে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। জিরো পয়েন্ট থেকে পল্টনমুখী সড়ক সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা রাখা হয়েছে।

টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রথম এতো বড় সমাবেশ করছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।

এর আগে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট প্রথম বাধাহীন সমাবেশ করে বিএনপি। এতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। পুরো এলাকায় ছিল উচ্ছ্বল নেতাকর্মীদের ভিড়।

ঢাকা/এএএম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ