কী ধরনের দেশে আমরা বেঁচে আছি, মিটফোর্ডের ঘটনায় বাঁধনের ক্ষোভ
Published: 12th, July 2025 GMT
রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে সোহাগ নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নড়ে ওঠে দেশবাসী। চলছে প্রতিবাদ। সোশ্যাল মিডিয়াও উত্তাল এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
এ ঘটনা নাড়া দিয়েছে দেশের শোবিজ অঙ্গনেও। ইতিমধ্যে প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেক তারকা। অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তীব্র প্রতিবাদ ও হতাশা।
১১ জুলাই নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে অভিনেত্রী লেখেন, ‘এটা এক ধরনের মর্মান্তিক ছবি। কারো হত্যা হতে দেখা, যেখানে বাকি সবাই দাঁড়িয়ে দেখছে। কিছুই করছে না। এটা কীভাবে সম্ভব? কী ধরনের দেশে আমরা বেঁচে আছি? মানুষ দাঁড়িয়ে দেখল। কিন্তু কেউ এগিয়ে গেল না। কতটা ভয়াবহ?’
বাঁধন আরো লেখেন, ‘আমি আর কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। এটা কি আর কেউ অনুভব করছেন? মনে হচ্ছে না আমরা যেন নরকে বাস করছি? আর সরকার? সবসময়কার মতোই নিশ্চুপ। তারা কোথায়? কথা বলে না কেন? কিছু করে না কেন?’
দেশের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বাঁধন বলেন, ‘আমি কি এই দেশে নিরাপদ? আমি কি সত্যিই যা মনে করি তা বলতে পারি? না কি সত্যি কথা বলার অপরাধে আমিই হব পরবর্তী টার্গেট?’
গত বুধবার বিকেলে একদল লোক লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) নামে এক ব্যক্তিকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। সেই ঘটনার একটি ভিডিও শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
অভিযোগ রয়েছে, চাঁদা না পেয়ে প্রকাশ্য এই হত্যার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এর পেছনে বিএনপির যুব সংগঠন যুবদলের কয়েকজন নেতাকর্মী রয়েছেন। ইতিমধ্যে যুবদল অভিযুক্তদের বহিষ্কার করেছে।
পুলিশ প্রধান আসামিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। হত্যার ঘটনার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে অধীনে করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমারে বৌদ্ধ মঠে বিমান হামলায় নিহত ২৩
মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের একটি বৌদ্ধ মঠে বিমান হামলায় অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছেন। লিন তা লু গ্রামে শুক্রবার রাতভর চলা এই হামলায় ৩০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা সংঘর্ষ থেকে বাঁচতে আশপাশের গ্রাম থেকে দেড় শতাধিক মানুষ মঠটিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। খবর দ্য টেলিগ্রাফ
বিদ্রোহী গোষ্ঠীর এক সদস্য সংবাদমাধ্যমকে জানান, জঙ্গিবিমান রাত ১টার দিকে গ্রামের মঠের একটি ভবনে বোমা ফেলার পর চার শিশুসহ ২৩ বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
নিহতের সংখ্যা ৩০ হতে পারে বলে জানিয়েছে মিয়ানমারের স্বাধীন সংবাদমাধ্যম ডেমোক্রেটিক ভয়েজ অব বার্মা। দেশটির সামরিক বাহিনী এই হামলা নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।