ছায়ানট মিলনায়তনে সেদিন বৈশাখী উৎসবের আয়োজন করেছিল শান্তি ক্যানসার ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘নাগরদোলা’। বৈশাখী উৎসবের রঙে নিজেদের রাঙিয়ে হাজির হয়েছিলেন নানা বয়সী মানুষ। শিশুদের ঝলমলে উপস্থিতি নজর কেড়েছিল। গানে গানে শুরু হওয়া উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শান্তি ক্যানসার ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা.

পারভীন শাহিদা আখতার। উদ্বোধনী বক্তব্যে লড়াকু মানুষের জীবনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, ‘এই উৎসব জীবনের সৌন্দর্য, শক্তি ও সাহসকে উদ্‌যাপন করার আয়োজন। এটি শুধু উৎসব নয়; বরং আলোয় ফেরার প্রতীক।’

বক্তব্য শেষে আবৃত্তিও করেছেন ক্যানসার–যোদ্ধাদের জন্য।

আয়োজনটি কেন আলাদা

ক্যানসার আক্রান্ত মানুষ, তাঁদের পরিবার ও ক্যানসার চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মীদের নিয়েই শান্তি ক্যানসার ফাউন্ডেশনের কর্মকাণ্ড। ফাউন্ডেশনের সঙ্গে আরও রয়েছেন জনহিতকর কাজে আগ্রহী মানুষ। সবার অংশগ্রহণে জীবনের বহুমাত্রিক গল্প ফুটে উঠেছিল মঞ্চে। পেশাদার শিল্পী ছাড়া সেদিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন এই ক্যানসার আক্রান্ত মানুষেরা। যেখানে সমাজের অধিকাংশ মানুষ মনে করেন, ক্যানসার মানে জীবনের পরিসমাপ্তি কিংবা জরাগ্রস্ত হয়ে ধুঁকে ধুঁকে বেঁচে থাকা, সেখানে নতুন এক বৈশাখে ক্যানসার রোগীদের নিয়ে এমন উৎসব এক ভিন্নতর ভাবনার প্রকাশই বটে।

সমবেত কণ্ঠে গান

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ বন র

এছাড়াও পড়ুন:

‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

রাজধানীর বাংলা মোটরের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে শিশুসাহিত্যিক অমিত কুমার কুণ্ডুর শিশুতোষ ছড়ার বই ‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা উৎসব হয়েছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠানের আয়োজনে ছিল বইটির প্রকাশনা সংস্থা পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড।

শিক্ষাবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন সাহিত্যিক রফিকুর রশীদ। এছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক ও সাংবাদিক দন্ত্যস রওশন, লোকসংস্কৃতিবিদ তপন বাগচী, শিশুসাহিত্যিক সঙ্গীতা ইমাম, কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার। অনুষ্ঠানে বক্তারা বইটির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

আরো পড়ুন:

নদী স্মৃতিনির্ভর সংকলন গ্রন্থ ‘আমার নদী’ প্রকাশিত 

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

প্রধান অতিথির আলোচনায় রফিকুর রশীদ বলেন, “১২৪টি ফলের ওপর লেখা এই বইয়ের ছড়াগুলো কেবল পাঠকের রসাস্বাদনই করাবে না, শিশু শিক্ষামূলক এই ছড়াগুলো রসোত্তীর্ণও বটে।”

তিনি দেশের প্রকাশকদের অংশগ্রহণের ওপর জোর দিয়ে বলেন,“প্রকাশকদের বেশি বেশি এরকম প্রকাশনা উৎসব আয়োজন করা উচিত।”

বইটির ব্যতিক্রমী আকৃতির দিকে ইঙ্গিত করে দন্ত্যস রওশন বলেন, “পাঠক তৈরির প্রয়াসেই পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স এমন ক্ষুদ্রাকৃতির ও নতুন নতুন সাইজের বইয়ের ধারণা বাজারে আনছে। এটা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।”

শিক্ষাবিদ সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেন, “শিক্ষার দুটো দিক রয়েছ।একটি হলো ট্রাডিশনাল, যা আমরা পড়েছি, আপনারাও পড়েন। আরেকটি  হলো জাঁ জ্যাক রুশোর পদ্ধতি। তিনি বলেছে, প্রকৃতির সঙ্গে শেখা।রবীন্দ্রনাথ যা বিশ্বভারতীর মাধ্যমে করিয়ে দেখিয়েছেন।অমিত কুমার কুণ্ডুর ছড়ার বইটি সে রকমই।এর মাধ্যমে প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ করবে শিশুরা ও ওরা শিখবে। এরকম বই প্রকাশ করার জন্য প্রকাশকে ধন্যবাদ। আমাদের প্রকাশকদের এ ধরনের বই বেশি বেশি করতে হবে।”

কাঁচামিঠে ফলের ছড়া বইটির পাতায় পাতায় দেশি-বিদেশি বিচিত্র ফলের পরিচয়, পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা নান্দনিক অলংকরণে ছন্দে-ছড়ায় তুলে ধরা হয়েছে। বইটি থেকে ছড়া আবৃত্তি করে বাচিক শিল্পী জান্নাতুল ফেরদৌস মুক্তা।

অনুষ্ঠান শেষে ছিল মৌসুমী ফল দিয়ে অতিথিদের অ্যাপায়নের ব্যবস্থা।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডসের ভোটিং প্যানেলে ৫ বাংলাদেশি
  • মোশাররফ করিমের ২৪ মিনিটের সিনেমা যুক্তরাষ্ট্রের উৎসবে
  • ১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’
  • চুয়েটে দিনভর তারুণ্যের ‘তর্ক-যুদ্ধ’
  • ‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
  • জুলাইয়ের ১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় উৎসব