ছায়ানট মিলনায়তনে সেদিন বৈশাখী উৎসবের আয়োজন করেছিল শান্তি ক্যানসার ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘নাগরদোলা’। বৈশাখী উৎসবের রঙে নিজেদের রাঙিয়ে হাজির হয়েছিলেন নানা বয়সী মানুষ। শিশুদের ঝলমলে উপস্থিতি নজর কেড়েছিল। গানে গানে শুরু হওয়া উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শান্তি ক্যানসার ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা.

পারভীন শাহিদা আখতার। উদ্বোধনী বক্তব্যে লড়াকু মানুষের জীবনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, ‘এই উৎসব জীবনের সৌন্দর্য, শক্তি ও সাহসকে উদ্‌যাপন করার আয়োজন। এটি শুধু উৎসব নয়; বরং আলোয় ফেরার প্রতীক।’

বক্তব্য শেষে আবৃত্তিও করেছেন ক্যানসার–যোদ্ধাদের জন্য।

আয়োজনটি কেন আলাদা

ক্যানসার আক্রান্ত মানুষ, তাঁদের পরিবার ও ক্যানসার চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মীদের নিয়েই শান্তি ক্যানসার ফাউন্ডেশনের কর্মকাণ্ড। ফাউন্ডেশনের সঙ্গে আরও রয়েছেন জনহিতকর কাজে আগ্রহী মানুষ। সবার অংশগ্রহণে জীবনের বহুমাত্রিক গল্প ফুটে উঠেছিল মঞ্চে। পেশাদার শিল্পী ছাড়া সেদিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন এই ক্যানসার আক্রান্ত মানুষেরা। যেখানে সমাজের অধিকাংশ মানুষ মনে করেন, ক্যানসার মানে জীবনের পরিসমাপ্তি কিংবা জরাগ্রস্ত হয়ে ধুঁকে ধুঁকে বেঁচে থাকা, সেখানে নতুন এক বৈশাখে ক্যানসার রোগীদের নিয়ে এমন উৎসব এক ভিন্নতর ভাবনার প্রকাশই বটে।

সমবেত কণ্ঠে গান

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ বন র

এছাড়াও পড়ুন:

ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।

কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।

এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।

অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।

একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।

যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুন্দরবনে দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু আজ, এবারও নেই মেলার আয়োজন
  • শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
  • ‘মবের’ পিটুনিতে নিহত রূপলাল দাসের মেয়ের বিয়ে আজ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ডাইনির সাজে শাবনূর!
  • প্রার্থনার সুরে শেষ হলো ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব 
  • ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
  • টগি ফান ওয়ার্ল্ডে উদযাপিত হলো হ্যালোইন উৎসব
  • উদ্ভাবন–আনন্দে বিজ্ঞান উৎসব
  • নবীনদের নতুন চিন্তার ঝলক