হবিগঞ্জ জেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ৭০ শতাংশ কাটা সম্পন্ন হয়েছে। এখানে সরকারিভাবে এ মৌসুমে ৩২ হাজার ৬৩৩ মেট্রিক টন ধান ও চাল সংগ্রহ করা হবে।

শনিবার (৩ মে) এ লক্ষ্যে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলায় ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাসুদুল হাসান। উদ্বোধনী দিনে ৬ জন কৃষকের কাছ থেকে ১৮ টন ধান ক্রয় করা হয়। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা বেগম সাথী।  

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিলেট অঞ্চলের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক এসএম সাইফুল ইসলাম, হবিগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো.

আকতারুজ্জামান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক চাই থোয়াই প্রু মার্মাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

জেলা খাদ্য বিভাগ জানায়- অনলাইনে লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করে জেলার ১৪টি অটো রাইস মিল থেকে চাল ও ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে। সরকার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৮ হাজার ২৫৭ টন ধান, ১৯ হাজার ৭৯৭ টন সেদ্ধ চাল এবং ৪ হাজার ৮৭৯ টন আতপ চাল সংগ্রহ করা হবে। ধান প্রতি কেজি ৩৬ টাকা, সেদ্ধ চাল ৪৯ টাকা ও আতপ চাল ৪৮ টাকায় কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করা হবে।  

জেলা কৃষি বিভাগ জানায়- চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় মোট ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৩৬ হেক্টর জমিতে ধান আবাদ হয়। এর মধ্যে ৫০ হাজার ৮৮৫ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাত, ৭২ হাজার ৮০১ হেক্টর জমিতে উফশী জাত এবং ৫০ হেক্টরে স্থানীয় জাতের ধান রোপণ হয়েছিল। বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। এখানে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭০ শতাংশ ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে।  

ফসল উৎপাদনের হিসেবে, হাইব্রিড জাত থেকে প্রতি হেক্টরে গড়ে ৪ দশমিক ৬৮ টন, উফশী জাত থেকে ৬ দশমিক ৯৩ টন এবং স্থানীয় জাত থেকে ১ দশমিক ৯ টন হারে চাল উৎপাদন হচ্ছে। সে অনুযায়ী জেলায় এবার বোরো মৌসুমে মোট ৫ লাখ ২৪ হাজার ৩৪৫ টন চাল এবং প্রায় ৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫১৮ টন ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

ঢাকা/মামুন/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর টন ধ ন

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নানা অনিয়মের অভিযোগে বৈষম্যবিরোধীদের সংবাদ সম্মেলন

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে সময়মতো চিকিৎসক না আসা, রোগনির্ণয়ে অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা, দালালদের দৌরাত্ম্য রোধসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। রোববার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের পর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে তাঁরা একটি স্মারকলিপি দেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক সাকির আহম্মেদ। এতে জেলার আহ্বায়ক আব্দুর রাহিম, সদস্যসচিব সাব্বির আহমেদ, মুখ্য সংগঠক মোত্তাসিন বিশ্বাসসহ অন্য নেতা-কর্মীরা।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বেশির ভাগ চিকিৎসক নির্ধারিত সময়ে হাসপাতালে আসেন না। আবার নির্ধারিত সময়ের আগেই হাসপাতাল থেকে চলে যান। হাসপাতালে আসা রোগীদের অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা করানো হয়। পরীক্ষার জন্য তাঁদের বেসরকারি ক্লিনিকে পাঠানো হচ্ছে। হাসপাতালের আলট্রাসনোগ্রাম, এক্স-রেসহ বিভিন্ন পরীক্ষার সময় নির্ধারিত না থাকায় ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগীরা। এ জন্য রোগীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এ ছাড়া হাসপাতালের ওয়ার্ডে চিকিৎসকদের নিয়মিত রাউন্ড না দেওয়া, দালালদের উৎপাত, শিশু ওয়ার্ডে দক্ষ নার্স না থাকা, প্রসূতি ওয়ার্ডে বকশিশ গ্রহণের অভিযোগ তোলা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, জুলাই অভ্যুত্থানের পর দীর্ঘ সময় পার হলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জে চিকিৎসা খাতে কোনো সংস্কার হয়নি। সম্প্রতি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে গেলে চিকিৎসক ইসমাইল হোসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। বৈষম্যবিরোধী প্ল্যাটফর্মের সবাইকে চাঁদাবাজ বলে হুমকি দেন।

জানতে চাইলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. মাসুদ পারভেজ বলেন, অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চিকিৎসকদের সময়মতো উপস্থিতি ও নির্ধারিত সময় পর্যন্ত চেম্বারে অবস্থান নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট প্রমাণসহ দুর্নীতির অভিযোগ দেওয়া হয়নি বলে তিনি জানান।

অভিযুক্ত চিকিৎসক ইসমাইল হোসেন বলেন, হাসপাতালের কোনো তথ্য চেয়ে না পেলে তাঁরা তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করতে পারতেন। কিন্তু তাঁরা (বৈষম্যবিরোধী নেতারা) তা না করে দল বেঁধে এসে জোর করে তথ্য আদায়ের চেষ্টা করায় তিনি প্রতিবাদ জানান। তখনকার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে বোঝা যাচ্ছে, কারা কেমন আচরণ করেছেন। এর বাইরে আপাতত তিনি কিছু বলতে চান না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ