হবিগঞ্জে ৩২,৬৩৩ মেট্রিক টন ধান ও চাল সংগ্রহ হবে
Published: 4th, May 2025 GMT
হবিগঞ্জ জেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ৭০ শতাংশ কাটা সম্পন্ন হয়েছে। এখানে সরকারিভাবে এ মৌসুমে ৩২ হাজার ৬৩৩ মেট্রিক টন ধান ও চাল সংগ্রহ করা হবে।
শনিবার (৩ মে) এ লক্ষ্যে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলায় ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাসুদুল হাসান। উদ্বোধনী দিনে ৬ জন কৃষকের কাছ থেকে ১৮ টন ধান ক্রয় করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা বেগম সাথী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিলেট অঞ্চলের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক এসএম সাইফুল ইসলাম, হবিগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো.
জেলা খাদ্য বিভাগ জানায়- অনলাইনে লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করে জেলার ১৪টি অটো রাইস মিল থেকে চাল ও ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে। সরকার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৮ হাজার ২৫৭ টন ধান, ১৯ হাজার ৭৯৭ টন সেদ্ধ চাল এবং ৪ হাজার ৮৭৯ টন আতপ চাল সংগ্রহ করা হবে। ধান প্রতি কেজি ৩৬ টাকা, সেদ্ধ চাল ৪৯ টাকা ও আতপ চাল ৪৮ টাকায় কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করা হবে।
জেলা কৃষি বিভাগ জানায়- চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় মোট ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৩৬ হেক্টর জমিতে ধান আবাদ হয়। এর মধ্যে ৫০ হাজার ৮৮৫ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাত, ৭২ হাজার ৮০১ হেক্টর জমিতে উফশী জাত এবং ৫০ হেক্টরে স্থানীয় জাতের ধান রোপণ হয়েছিল। বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। এখানে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭০ শতাংশ ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে।
ফসল উৎপাদনের হিসেবে, হাইব্রিড জাত থেকে প্রতি হেক্টরে গড়ে ৪ দশমিক ৬৮ টন, উফশী জাত থেকে ৬ দশমিক ৯৩ টন এবং স্থানীয় জাত থেকে ১ দশমিক ৯ টন হারে চাল উৎপাদন হচ্ছে। সে অনুযায়ী জেলায় এবার বোরো মৌসুমে মোট ৫ লাখ ২৪ হাজার ৩৪৫ টন চাল এবং প্রায় ৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫১৮ টন ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
ঢাকা/মামুন/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পা পিছলে ট্রেনের নিচে সবজি বিক্রেতা, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
চলন্ত ট্রেনের সামনে দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছেন এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি। পাশাপাশি দুটি ট্রেন তুলনামূলক কম গতিতে চলছিল। হঠাৎ একটি ট্রেনের সামনে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যান তিনি। ট্রেনটি চলে যায় তাঁর শরীরের ওপর দিয়ে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির নাম জালাল উদ্দিন ওরফে জালু (৪০)। তিনি ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে চরআলগী ইউনিয়নের নিধনিয়া চর ব্যাপারী পাড়ার বাসিন্দা ও পেশায় সবজি বিক্রেতা ছিলেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর রেলস্টেশন এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
দুর্ঘটনার পর জালাল উদ্দিনকে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা বিজন মালাকার।
স্বজনেরা জানিয়েছেন, জালাল উদ্দিন এলাকায় কৃষিকাজ করেন এবং সেখান থেকে কৃষিপণ্য নিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুরে বিক্রি করেন। তিনি প্রায়ই ট্রেনে চেপে শ্রীপুর যান এবং রাতের ট্রেনে বাড়ি ফেরেন। গতকাল দুপুরে শাকসবজি নিয়ে ট্রেনে শ্রীপুর যান। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে ধরতে রাত পৌনে ৯টার দিকে তিনি দৌড় দেন। এ সময় ট্রেনটি শ্রীপুর স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে যাচ্ছিল। সেটি ধরতে গিয়ে পাশের রেললাইনে থাকা ঢাকাগামী মহুয়া এক্সপ্রেসের ট্রেনের নিচে পড়ে যান জালাল উদ্দিন।
নিহত ব্যক্তির প্রতিবেশী ও গফরগাঁও কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ব্যাপারী জানান, আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে জানাজা শেষে জালাল উদ্দিনকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় তাঁর পরিবার একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটিকে হারাল।
ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার হোসেন বলেন, স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রেলওয়ে পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন শ্রীপুর থানার ওসি মহম্মদ আবদুল বারিক।