পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামে স্ত্রী ও শাশুড়িকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে বাদল খান (৪৫) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। নিহতরা হলেন- চম্পা বেগম (৩৫) ও তার মা বিলকিস জাহান (৭০)।

সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার ধাওয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের খান বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত চম্পা বেগম মোহাম্মদ আলী খানের মেয়ে এবং বিলকিস জাহান তার স্ত্রী।

অভিযুক্ত বাদল খান ধাওয়া গ্রামের আব্দুল আজিজ খানের ছেলে। এই ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া বাজারের মুদি দোকানী বাদল খানের সঙ্গে চাচাতো বোন চম্পা বেগমের ২০ দিন আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই চম্পাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করে বাদল। চম্পাকে বিয়ের আগেও বাদল আরও তিনটি বিয়ে করে। তার নির্যাতনে শিকার হয়ে আগের তিন স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যান।

সূত্র আরও জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী চম্পা বেগম ও বৃদ্ধ শাশুড়ি বিলকিস জাহানকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে ঘরের মেঝেতে ফেলে মরদেহে আগুন লাগিয়ে দেয়। এই সময় ঘরে থাকা বাদলের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর শিশু ছেলে ইয়াসিন ঘর থেকে পালিয়ে গিয়ে ঘটনাটি পাশের বাড়ির লোকজনকে জানালে প্রতিবেশীরা এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে ততক্ষণে বাদল পালিয়ে যায়।

নিহত চম্পা বেগমের ফুফাতো বোন নাছিমা বেগম জানান, বাদলের ১০ বছরের ছেলে ইয়াছিনের কাছ থেকে ঘটনাটি শুনে তাৎক্ষণিকভাবে আমি বাদলের ঘরে ছুটে গিয়ে দেখি চম্পা বেগম ও তার মায়ের নিথর দেহে ঘরের মেঝেতে ফেলে কাপড়-চোপড়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় বাদল তখনও ঘরে ছিল। প্রতিবেশীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করে দৌঁড়ে পালিয়ে যায় সে।

প্রতিবেশী ফাহিম সিকদার জানান, ঘরের মেঝেতে মা-মেয়ের লাশ দেখতে পেয়ে আমি থানা পুলিশে খবর দিয়ে পুলিশ রাতে ঘটনাস্থল কর্ডন করে রাখে। 

ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমদ আনওয়ার জানান, মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, তদন্তের পরে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

এলাকাবাসী অনতিবিলম্বে এ হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ত র ক হত য

এছাড়াও পড়ুন:

জেলা প্রশাসকের সাথে ইসলামী আন্দোলন’র দায়িত্বশীলদের মতবিনিময়

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের দায়িত্বশীলবৃন্দ জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়ার সাথে বিশেষ মতিবিনিময় করেন। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের সভাপতি যথাক্রমে মাও. দ্বীন ইসলাম ও মুফতি মাসুম বিল্লাহ।

মহানগর সহ-সভাপতি মুহা. নুর হোসেন, সেক্রেটারি মুহা. সুলতান মাহমুদ, জেলা সেক্রেটারি মুহা. জাহাঙ্গীর কবির, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক মাও. শামসুল আলম, অর্থ সম্পাদক মুহা. ইসমাইল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। এসময় জেলা প্রশাসকের সাথে ৭টি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। 

বিষয়গুলো হলো-
১. মাদক এবং কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে শূন্য নীতি গ্রহণ করা এবং এগুলোর সাথে সংশ্লিষ্টদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা।

২. সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি-দখলের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে রাজনৈতিক  পক্ষপাতহীন পদক্ষেপ নেওয়া।

৩. করোনা মোকাবিলায় আইসিইউ সেবা চালু। হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত করোনা টেষ্টের কীট সরবরাহ করা।

৪. ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও প্রতিকারে জনসচেতনার উদ্যোগ গ্রহণ । ডেঙ্গু শনাক্তে পর্যাপ্ত  কীট ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।

৫. যানজট নিরোসনে থ্রি হুইলার নিয়ন্ত্রণ  এবং ফুটপাতকে পথচারীদের চলাচলের উপযুক্ত করার ব্যবস্থা করা।

৬. দ্রুত রাস্তাঘাট মেরামত কাজ সম্পন্ন করে জনভোগান্তি দুর করা

৭. আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসন আমলে সংগঠিত গুম-খুন হত্যাসহ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র জনতার হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার ব্যাপারে আলোচনা হয়।

এছাড়াও এ সময় আগামী ২৮ জুলাই ইসলামী আন্দোলনের ঢাকায় মহাসমাবেশ এর প্রচারপত্র জেলা প্রশাসকের হাতে তুলে দেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ