Prothomalo:
2025-11-17@11:37:40 GMT

প্রকৃতির মিষ্টি বার্তা

Published: 6th, May 2025 GMT

বাড়ির আঙিনা, স্কুলের মাঠ কিংবা রাস্তাঘাট—সব জায়গায় কাঁঠালগাছ। এসব গাছে রঙিন কাঁঠালের ছড়াছড়ি। কোনোটির রং হলুদ, কোনোটির বাদামি, আবার কোনো কোনো গাছের কাঁঠালের রং সবুজ।

শিল্পাঞ্চল হিসেবে খ্যাত গাজীপুরের শ্রীপুরের বর্তমান দৃশ্য এটি। যুগ যুগ ধরে এই অঞ্চল কাঁঠালের জন্য দেশজুড়ে বিখ্যাত। গ্রীষ্মের শুরুতেই কাঁঠালের সৌন্দর্যে এই শ্রীপুরের গ্রামীণ চিত্রে এসেছে প্রাণের ছোঁয়া। মৌসুমি এই ফল যেন প্রকৃতির নিজ হাতে সাজানো উপহার। এ যেন গ্রামবাংলার গ্রীষ্মবরণ উৎসব, প্রকৃতির মিষ্টি বার্তা। আর দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই বাজারগুলো ভরে উঠবে মিষ্টি কাঁঠালে।

শ্রীপুর উপজেলার ব্র্যান্ডিং স্লোগান হলো ‘সবুজে শ্যামলে শ্রীপুর, মিষ্টি কাঁঠালে ভরপুর।’ শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের ভেতরে শোভা পাচ্ছে ভাস্কর মিলন রবের তৈরি কাঁঠালের বিশাল ভাস্কর্য। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে কাঁঠালের সবচেয়ে বড় বাজারটিও জমে শ্রীপুরের জৈনাবাজারে। প্রায় তিন মাস ধরে চলে কাঁঠালের বেচাকেনা। শ্রীপুরের বেশির ভাগ কাঁঠাল ছোট অবস্থায় বাগান ধরে পাইকারি বিক্রি হয়ে যায়। নির্দিষ্ট দামে কিনে পরে পাইকারেরা সুবিধামতো সময়ে প্রয়োজন অনুযায়ী কাঁঠাল পেড়ে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন। তবে এসব কাঁঠালের বেশির ভাগ পাইকারদের হাত হয়ে চলে যায় রাজধানী ঢাকা ও সিলেটে। এসব এলাকায় মূলত খাজা, গালা ও দুরসা জাতের কাঁঠাল উৎপাদিত হয়। 

আর দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই কাঁঠাল বাজারে উঠতে শুরু করবে। এ বছর কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও হর্টেক্স ফাউন্ডেশনের পাঁচটি দলের মাধ্যমে কাঁঠাল উৎপাদনকারীদের উৎসাহিত করা হয়েছে। সুমাইয়া আক্তার, কৃষি কর্মকর্তা,  শ্রীপুর উপজেলা 

সোমবার শ্রীপুরের মাওনা, তেলিহাটি, টেংরা, গোসিংগা, রাজাবাড়ী, টেপিরবাড়ী, দারগারচালা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি গাছে প্রচুর কাঁঠাল ধরেছে। অনেকেই বাড়ির আঙিনায় কাঁঠালের বড়সড় বাগান করেছেন। অনেকের ঘরের আঙিনা বা ঘরের ওপর কাঁঠাল ঝুলছে। কিছু এলাকায় শহুরে পরিবেশে দোকানপাটের আনাচকানাচে ধরে আছে বাহারি কাঁঠাল। অন্যান্য ফসলের মতো এই ফল চাষে অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন হয় না। তাই কাঁঠাল পাকা শুরু না হলে এ নিয়ে ব্যস্ততাও থাকে না। 

শ্রীপুরের দারগারচালা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, এ বছর তাঁর ৪০টি গাছে প্রচুর কাঁঠাল ধরেছে। আগেই পাইকারের কাছে বিক্রি করেননি। কিছুটা ভালো দাম পাওয়ার আশায় পাকা শুরু হলে বিক্রি করবেন। গত বছর তিনি ৫০ হাজার টাকার কাঁঠাল বিক্রি করেছিলেন। 

রাজাবাড়ী গ্রামের নাজমুল ইসলাম বলেন, তাঁর বাগানে ৯০টির মতো কাঁঠালগাছ আছে। বাগানটি এ বছর তিনি ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।

শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমাইয়া আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, আর দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই কাঁঠাল বাজারে উঠতে শুরু করবে। এ বছর কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও হর্টেক্স ফাউন্ডেশনের পাঁচটি দলের মাধ্যমে কাঁঠাল উৎপাদনকারীদের উৎসাহিত করা হয়েছে। তাঁদের কাছে গিয়ে কাঁঠাল উৎপাদনে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নতুন করে কাঁঠালগাছ রোপণেও উৎসাহিত করা হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ র প র উপজ ল ঠ ল উৎপ দ এ বছর

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বের যেকোনো আদালতের মানদণ্ডে এই সাক্ষ্যপ্রমাণগুলো উতরে যাবে: চিফ প্রসিকিউটর

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনাসহ আসামিদের যে সাজা দেওয়া হয়েছে, পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এই সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করলে একই শাস্তি পাবেন।

আজ সোমবার দুপুরে রায় ঘোষণার পর এক সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যে ধরনের সাক্ষ্যপ্রমাণ এই আদালতে উপস্থাপিত হয়েছে, বিশ্বের যেকোনো আদালতের স্ট্যান্ডার্ডে এই সাক্ষ্যপ্রমাণগুলো উতরে যাবে এবং পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এই সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হলে আজ যেসব আসামিকে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই একই শাস্তি প্রাপ্ত হবেন।’

মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ সব আন্তর্জাতিক নর্মস, আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করে ক্রাইমস এগেন্স হিউম্যানিটির মতো কমপ্লেক্স (মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো জটিল) অপরাধের বিচার করতে সক্ষম এবং বাংলাদেশ সাফল্যের সঙ্গে সেটা করেছে।’ তিনি বলেন, ‘অপরাধী যতই ক্ষমতাশালী হোক, সে আইনের ঊর্ধ্বে নয়। বাংলাদেশ এমন একটি রাষ্ট্র, যেখানে যত বড় অপরাধীই হোক, তার অপরাধের জন্য তাকে জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে এবং তার প্রাপ্য শাস্তি পেতে হবে।’

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, এই রায়ের প্রক্রিয়া সমাপ্ত হওয়ার মাধ্যমে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের সমাপ্তি হয়েছে। যদিও আরও অনেকগুলো মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তিনি বলেন, ‘শহীদ পরিবার, যাদের ক্ষতি কোনো কিছু দিয়ে পূরণ হবে না, তাদের সামনে অন্তত একটা ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছি। এ জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ