Prothomalo:
2025-10-03@09:44:36 GMT

প্রকৃতির মিষ্টি বার্তা

Published: 6th, May 2025 GMT

বাড়ির আঙিনা, স্কুলের মাঠ কিংবা রাস্তাঘাট—সব জায়গায় কাঁঠালগাছ। এসব গাছে রঙিন কাঁঠালের ছড়াছড়ি। কোনোটির রং হলুদ, কোনোটির বাদামি, আবার কোনো কোনো গাছের কাঁঠালের রং সবুজ।

শিল্পাঞ্চল হিসেবে খ্যাত গাজীপুরের শ্রীপুরের বর্তমান দৃশ্য এটি। যুগ যুগ ধরে এই অঞ্চল কাঁঠালের জন্য দেশজুড়ে বিখ্যাত। গ্রীষ্মের শুরুতেই কাঁঠালের সৌন্দর্যে এই শ্রীপুরের গ্রামীণ চিত্রে এসেছে প্রাণের ছোঁয়া। মৌসুমি এই ফল যেন প্রকৃতির নিজ হাতে সাজানো উপহার। এ যেন গ্রামবাংলার গ্রীষ্মবরণ উৎসব, প্রকৃতির মিষ্টি বার্তা। আর দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই বাজারগুলো ভরে উঠবে মিষ্টি কাঁঠালে।

শ্রীপুর উপজেলার ব্র্যান্ডিং স্লোগান হলো ‘সবুজে শ্যামলে শ্রীপুর, মিষ্টি কাঁঠালে ভরপুর।’ শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের ভেতরে শোভা পাচ্ছে ভাস্কর মিলন রবের তৈরি কাঁঠালের বিশাল ভাস্কর্য। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে কাঁঠালের সবচেয়ে বড় বাজারটিও জমে শ্রীপুরের জৈনাবাজারে। প্রায় তিন মাস ধরে চলে কাঁঠালের বেচাকেনা। শ্রীপুরের বেশির ভাগ কাঁঠাল ছোট অবস্থায় বাগান ধরে পাইকারি বিক্রি হয়ে যায়। নির্দিষ্ট দামে কিনে পরে পাইকারেরা সুবিধামতো সময়ে প্রয়োজন অনুযায়ী কাঁঠাল পেড়ে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন। তবে এসব কাঁঠালের বেশির ভাগ পাইকারদের হাত হয়ে চলে যায় রাজধানী ঢাকা ও সিলেটে। এসব এলাকায় মূলত খাজা, গালা ও দুরসা জাতের কাঁঠাল উৎপাদিত হয়। 

আর দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই কাঁঠাল বাজারে উঠতে শুরু করবে। এ বছর কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও হর্টেক্স ফাউন্ডেশনের পাঁচটি দলের মাধ্যমে কাঁঠাল উৎপাদনকারীদের উৎসাহিত করা হয়েছে। সুমাইয়া আক্তার, কৃষি কর্মকর্তা,  শ্রীপুর উপজেলা 

সোমবার শ্রীপুরের মাওনা, তেলিহাটি, টেংরা, গোসিংগা, রাজাবাড়ী, টেপিরবাড়ী, দারগারচালা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি গাছে প্রচুর কাঁঠাল ধরেছে। অনেকেই বাড়ির আঙিনায় কাঁঠালের বড়সড় বাগান করেছেন। অনেকের ঘরের আঙিনা বা ঘরের ওপর কাঁঠাল ঝুলছে। কিছু এলাকায় শহুরে পরিবেশে দোকানপাটের আনাচকানাচে ধরে আছে বাহারি কাঁঠাল। অন্যান্য ফসলের মতো এই ফল চাষে অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন হয় না। তাই কাঁঠাল পাকা শুরু না হলে এ নিয়ে ব্যস্ততাও থাকে না। 

শ্রীপুরের দারগারচালা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, এ বছর তাঁর ৪০টি গাছে প্রচুর কাঁঠাল ধরেছে। আগেই পাইকারের কাছে বিক্রি করেননি। কিছুটা ভালো দাম পাওয়ার আশায় পাকা শুরু হলে বিক্রি করবেন। গত বছর তিনি ৫০ হাজার টাকার কাঁঠাল বিক্রি করেছিলেন। 

রাজাবাড়ী গ্রামের নাজমুল ইসলাম বলেন, তাঁর বাগানে ৯০টির মতো কাঁঠালগাছ আছে। বাগানটি এ বছর তিনি ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।

শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমাইয়া আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, আর দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই কাঁঠাল বাজারে উঠতে শুরু করবে। এ বছর কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও হর্টেক্স ফাউন্ডেশনের পাঁচটি দলের মাধ্যমে কাঁঠাল উৎপাদনকারীদের উৎসাহিত করা হয়েছে। তাঁদের কাছে গিয়ে কাঁঠাল উৎপাদনে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নতুন করে কাঁঠালগাছ রোপণেও উৎসাহিত করা হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ র প র উপজ ল ঠ ল উৎপ দ এ বছর

এছাড়াও পড়ুন:

টানা চার দিন দরপতনের পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ১ শতাংশ

টানা চার দিন দরপতনের পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ১ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলের অন্যতম বৃহত্তম তেল পরিশোধনাগারে অগ্নিকাণ্ডের পর এ মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা ঘটে। যদিও তা এখন পর্যন্ত গত জুনের শেষ দিকের পর থেকে সবচেয়ে বড় সাপ্তাহিক দরপতনের পথে আছে।

আজ শুক্রবার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ব্রেন্ট ক্রুড ৬১ সেন্ট বা ১ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬৪ দশমিক ৭৩ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুড ৬২ সেন্ট বা ১ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬১ দশমিক ১০ ডলারে উঠেছে।

যদিও সাপ্তাহিক হিসাবে ব্রেন্ট ক্রুড ৭ দশমিক ৬ শতাংশ ও ডব্লিউটিআই ৭ শতাংশ কমেছে। কারণ, সরবরাহ অতিরিক্ত থাকার পরও ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো তেল উৎপাদন আরও বাড়াতে পারে।

সূত্র জানায়, ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো নভেম্বরে তেল উৎপাদন প্রতিদিন পাঁচ লাখ ব্যারেল পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারে, যা অক্টোবরের বৃদ্ধির তিন গুণ। সৌদি আরব বাজারে তাদের শেয়ার পুনরুদ্ধার করতে চাইছে। এটি সৌদি আরবের বাজারে তাদের শেয়ার পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টার অংশ।

বিশ্লেষক টনি সিকামোর বলেন, যদি ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো দৈনিক পাঁচ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়, তাহলে সেটি আবার তেলের দাম কমিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। প্রাথমিকভাবে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৫৮ ডলার পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। এমনকি বছরের সর্বনিম্ন দাম প্রায় ৫৫ ডলারও হতে পারে।

এদিকে ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো জ্বালানি তেলের উৎপাদনের সম্ভাব্য বৃদ্ধি, রক্ষণাবেক্ষণের কারণে বৈশ্বিক পরিশোধনাগারের কার্যক্রম ধীরগতি ও মৌসুমি কারণে আগামী মাসগুলোয় চাহিদা হ্রাস পেলে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে তেলের মজুত দ্রুত বাড়তে পারে, এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা।

যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গত বুধবার জানায়, পরিশোধনাগারের কার্যক্রমের ধীরগতি ও চাহিদা কমায় যুক্তরাষ্ট্রে গত সপ্তাহে অপরিশোধিত তেল, গ্যাসোলিন ও ডিস্টিলেট মজুত বেড়েছ

সম্পর্কিত নিবন্ধ