খালে লাশ পাওয়ার পর দাফন, এক সপ্তাহ পর জানা গেল তিনি জীবিত
Published: 9th, May 2025 GMT
গত শনিবার চট্টগ্রাম নগরের চাক্তাই খাল থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। রোববার উবায়দুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি এসে নিজের ছেলে আব্দুর রহিম পরিচয় দিয়ে লাশ নিয়ে যান ভোলায়। সেখানে দাফনও করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার জানা যায়, আব্দুর রহিম পরিচয়ে যাকে ছয়দিন আগে দাফন করা হয়েছে তিনি জীবিত। পাওনা টাকা দিতে না পেরে মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। ছেলে নিখোঁজ হওয়ায় তার বাবা মনে করেছিলেন ছেলে খুন হয়েছেন। তাই নিজের ছেলে মনে করে নিয়ে গিয়ে দাফন করেছেন।
উবায়দুল্লাহ জানান, তার ছেলে চট্টগ্রামে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন। পহেলা মে সকালে একটি ফোন পেয়ে বের হয়ে কর্মস্থল থেকে নিখোঁজ হন। তার দাবি ছিল তার ছেলে অনলাইন জুয়াড়ির খপ্পরে পড়েছিলেন। তাদের হাতে তিনি খুন হতে পারেন। কোতোয়ালী থানা পুলিশও তাকে লাশ বুঝিয়ে দেন। তিনি লাশ ভোলায় নিয়ে যান। সেখানে দাফন করেন।
বৃহস্পতিবার নির্মাণ শ্রমিক আব্দুর রহিমের নাম্বারটি সচল পেয়ে যাচাই করতে গিয়ে তাকে জীবিত দেখতে পান পিবিআই। তারা তাকে হেফাজতে নেন। তিনি পিবিআই কর্মকর্তাদের জানান, পাওনা টাকা দিতে না পেরে তিনি মোবাইল বন্ধ রেখে লুকিয়ে ছিলেন। পরে তার বাবাকে ডেকে আনা হয়। দুইজনকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আব্দুর রহিমের বাবা উবায়দুল্লাহ পিবিআই কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, খোঁজাখুজি করেও ছেলের হদিস না পাওয়ায় লাশটি তার ছেলের মনে করেছিলেন। লাশটি বিকৃত থাকায় ছেলের লাশ বলে ভুল করে ছিলেন। তার অন্যকোন উদ্দেশ্য ছিল না। পিবিআইয়ের তদন্তেও তা নিশ্চিত হওয়া গেছে।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, খাল থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের পর ছায়া তদন্ত শুরু করে পিবিআই। আব্দুর রহিমের মোবাইল চালু হলে যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে জানা যায় তিনি জীবিত। পরে বাবা-ছেলেকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ছেলে জানিয়েছে পাওনাদারদের হাত থেকে বাঁচতে মোবাইল বন্ধ করে আত্মগোপনে ছিলেন। বাবা জানিয়েছেন তিনি ছেলেকে চিনতে ভুল করেছেন।
তিনি জানান, যার লাশ দাফন করা হয়েছে তার ডিএনএ সংগ্রহ করা আছে। লাশটির দাবিদার পাওয়া গেলে ডিএনএ মিলিয়ে দেখা হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প ব আই
এছাড়াও পড়ুন:
ফেব্রুয়ারির নির্বাচন কী আদৌ হবে, হাওলাদারের প্রশ্ন
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চরম অনৈক্য এর কারণে নির্বাচন নিয়ে রয়েছে সংশয় দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।
তিনি বলেন, “দেশের সাধারণ মানুষ এখনো বিশ্বাস করতে পারছে না, আগামী ফেব্রুয়ারিতে আদৌ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কিনা। সরকারকে দায়িত্ব নিয়ে এই সংশয় ও অনিশ্চয়তা দূর করতে হবে।”
আরো পড়ুন:
কিশোরগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবি
ব্যালট ছাপাতে কেপিএম থেকে ৯১৪ মেট্রিক টন কাগজ কিনছে ইসি
সোমবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানের হাওলাদার টাওয়ারে জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, “নির্বাচন অবশ্যই হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক। কোনো কারণে যদি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হয়, তাহলে নির্বাচনের পর দেশ আরও গভীর সংকটে নিমজ্জিত হবে।”
অতীতের রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের কারণে দেশে আজ সর্বক্ষেত্রে অনৈক্য বিরাজমান মন্তব্য করে রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, “আমাদের ওই ধরনের আচরণ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে; না হলে বিশ্ব দরবারে জাতি হিসেবে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব না।”
তিনি বলেন, “রাজনীতিতে মতের পার্থক্য থাকতে পারে, অবস্থানগত দূরত্ব থাকতে পারে, কিন্তু প্রতিহিংসা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। জাতীয় পার্টি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। আমরা বিশ্বাস করি গণতান্ত্রিক চর্চায় ও নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনায়।”
উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় যুব সংহতির আহ্বায়ক ফকরুল আহসান শাহজাদা, ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হাওলাদার, নাসির উদ্দিন সরকার, কেন্দ্রীয় নেতা সিরাজুল আরেফিন মাসুম, আব্দুস সাত্তার, আলমগীর হোসেন, জিয়াউর রহমান বিপুল, অ্যাডভোকেট আল মামুন প্রমুখ।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ