নিজেকে খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র দাবি করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক। ২০২৩ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত কেসিসি নির্বাচনে ডিজিটাল কারচুপির মাধ্যমে পরাজিত করা হয় দাবি করে প্রকৃত ভোটে তিনিই মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।

শফিকুর রহমান মুশফিক জানান, তার আবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত সংশ্লিষ্ট ‘নির্বাচনের ফলাফল বাতিল’ করে বিষয়টি চার সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে তিনি কেসিসির মেয়রের দায়িত্ব পাচ্ছেন। 

শনিবার (১০ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে কেসিসির মেয়র হিসেবে দাবি করেন শফিকুর রহমান মুশফিক। 

আরো পড়ুন:

খুবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ফেসবুকে বহিষ্কৃত খুবি শিক্ষার্থীর ‘হুমকি’

শফিকুর রহমান মুশফিক বলেন, ‍“২০২৩ সালে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হই। আমার মনোনয় বাতিল করা হলে উচ্চ আদালতের রায়ে প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে নির্বাচন করি। নির্বাচনে ইভিএম-এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক কারচুপি হয়। খুলনার ডিসির কার্যালয়ে থাকা ডিভাইসের মাধ্যমে কারচুপি করে আমাকে পরাজিত করা হয়।”

লিখিত বক্তব্যে ২০২৩ সালের নির্বাচনে মেয়র হিসেবে জয়ী হয়েছেন দাবি করে তিনি জানান, জালিয়াতির নির্বাচনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন তিনি। তার আগে, গত ২০ এপ্রিল প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে আবেদন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেন তিনি। তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় উচ্চ আদালতে যান। গত ৬ মে উচ্চ আদালত এক আদেশে ২০২৩ সালের ১২ জুনের খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ফলাফল বাতিল এবং আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, “মেয়র হিসেবে আগামীতে নাগরিক সেবায় অংশ নেব। নগর ভবনেই আপনাদের (সাংবাদিক) সঙ্গে পরবর্তীতে দেখা হবে।”

শফিকুর রহমান মুশফিক জানান, ২০০৮ সালের উপ-নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে বাগেরহাট-১ আসনে পরাজিত হন। এছাড়া, ২০১৮ সালে জাতীয় পাটির মনোনয়ন পেয়ে এবং ২০২৩ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচন করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের খুলনা সিটে করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত তালকুদার আব্দুল খালেক ৬০.

৪১ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের আব্দুল আউয়াল। তিনি ভোট পান ২৩.৪৪ শতাংশ। নির্বাচনে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) শফিকুল ইসলাম মধু ৭.০৫ ভোট, এস এম শফিকুর রহমান ৬.৭২ এবং জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন পান ২.৩৮ শতাংশ ভোট। কেসিসি নির্বাচনে চতুর্থ স্থানে থাকা এস এম শফিকুর রহমান জামানত হারান।

২০১৮ সালের নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করে জাতীয় পার্টির এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক ভোট পেয়েছিলেন মাত্র ১ হাজার ৭২ ভোট। এ নির্বাচনেও তিনি জামানত হারান।

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ২০২৩ স ল র গ রহণ

এছাড়াও পড়ুন:

আবারও ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’ পেল ওয়ালটন হাই-টেক

আবারও ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করল পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত টেক জায়ান্ট ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স পণ্য প্রস্তুতকারক খাতে গ্রিন ফ্যাক্টরির মর্যাদা পেয়েছে ওয়ালটন।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নীতিমালার আওতায় অপরিহার্য প্রতিপালন, পরিবেশগত প্রতিপালন, প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিপালন এবং উদ্ভাবনী কার্যক্রম বিবেচনায় রেখে ওয়ালটনকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে দুই বার গ্রিন ফ্যাক্টরির স্বীকৃতি পেল ওয়ালটন।

মঙ্গলবার রাজধানীর আবদুল গণি সড়কের ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওয়ালটনকে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের কাছ থেকে গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ডের ক্রেস্ট ও সনদ গ্রহণ করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টও (এএমডি) মো. ইউসুফ আলী।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। 

উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই উৎপাদন প্রক্রিয়ায় শতভাগ কমপ্লায়েন্স মেনে চলছে ওয়ালটন। উচ্চমানসম্পন্ন প্রযুক্তি পণ্য ও সেবা প্রদান এবং দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন শিল্পের বিকাশ ও অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ওয়ালটন বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করে আসছে। যার মধ্যে রয়েছে জাতীয় পরিবেশ পদক-২০১৮, রাষ্ট্রপতি শিল্প-উন্নয়ন পুরস্কার-২০১৮, জাতীয় রপ্তানি ট্রফি (স্বর্ণ পদক)-২০২২, গ্রিন ফ্যাক্টরি আওয়ার্ড-২০২৩ সহ নানা পুরস্কার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অনলাইন: শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধিতে শীর্ষ পাঁচ কোম্পানি
  • গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭৯, আহত ৪০০
  • ওসি থেকে এসআই মাসুদ রানা
  • গাজায় ইসরায়েলের ৭ সেনাসদস্য নিহত
  • রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাসহ ৪ কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি খারাপ
  • দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াত
  • আবারও ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’ পেল ওয়ালটন হাই-টেক
  • ৫ বছরে লেবুজাতীয় ফসলের উৎপাদন বেড়েছে ২৫%
  • ‘ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা না যাচাইযোগ্য, না স্থায়ী’
  • অডিও বুকের বিক্রি বেড়েছে