তুরস্ক কেন ইসরায়েলের আগ্রাসন রুখে দাঁড়াবে
Published: 10th, May 2025 GMT
সিরিয়ার জনগণ তাঁদের সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সফল হওয়ার পর অঞ্চলটির ভূরাজনৈতিক গতিপ্রকৃতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। আসাদের বিদায়ের পর সিরিয়ার নতুন প্রশাসন এবং এর মিত্রদের, বিশেষ করে তুরস্কের বিরুদ্ধে ইসরায়েল আগ্রাসী আচরণ শুরু করেছে। ইসরায়েল এরই মধ্যে সিরিয়ার কয়েক শ সামরিক স্থাপনা ও অস্ত্রভান্ডারে হামলা চালিয়েছে। সিরিয়ার নতুন সরকার যাতে সংহত হয়ে দেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা ও স্থিতিশীলতা অর্জন করতে না পারে, সে উদ্দেশ্য থেকেই ইসরায়েলের এ আচরণ।
বিমান হামলার পাশাপাশি ইসরায়েল দ্রুজ, কুর্দি ও আলাউয়ি সম্প্রদায়কে দিয়ে বিভক্তি তৈরি করার চেষ্টা করছে। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নানাভাবে সিরিয়ার নতুন সরকার ও তুরস্কের বিরোধিতা করার চেষ্টা করে চলেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেনদরবার করছেন, যাতে করে সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর উপস্থিতি থাকে এবং কুর্দি মিলিশিয়া গোষ্ঠী ওয়াইপিজের প্রতি সমর্থন দেওয়া অব্যাহত রাখে। এমনকি রাশিয়ার সেনারা যেন সিরিয়ায় তাঁদের ঘাঁটিতে ফিরে আসেন, তা নিয়েও নেতানিয়াহু দেনদরবার করেছেন।
গত মাসেও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান যেসব খেলোয়াড় সিরিয়াকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে, তাদের সবার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন। তা সত্ত্বেও সিরিয়ায় ইসরায়েল উত্তেজনা বাড়িয়ে চলেছে। দামেস্কের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছে সম্প্রতি বিমান হামলা চালিয়ে ইসরায়েল সিরিয়ার নেতৃত্বের প্রতি স্পষ্ট হুমকির বার্তা দিয়েছে।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ইসরায়েলের এ হামলার নিন্দা করে। এক বিবৃতিতে আহমেদ আল-শারা আরব দেশগুলো ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সিরিয়াকে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানান। ইসরায়েল ঐতিহ্যগতভাবেই সিরিয়ার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে অস্ত্রে পরিণত করে আসছে। সাম্প্রদায়িক বিবাদ তৈরি করতে বিচ্ছিন্নতাবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে উত্সাহ দিয়ে এবং অভ্যন্তরীণ সহিংসতাকে উসকে দিয়ে ইসরায়েল তাদের নিজেদের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে চায়।
গত মাসে আজারবাইজানে আঙ্কারা ও তেল আবিবের মধ্যে সংলাপ ব্যর্থ হয়। ইসরায়েলের আক্রমণ প্রতিহতের প্রস্তুতি না নিয়েই তুরস্ক যদি শুধু বিবৃতি দিয়ে সতর্কতা জারি করে, তাহলে দেশটি তার বিশ্বাসযোগ্যতাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে। এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। ইসরায়েল যদি তার অস্থিতিশীলতা তৈরির কৌশল অব্যাহত রাখে, তাহলে সিরিয়া থেকে ছড়িয়ে পড়া বিশৃঙ্খলা তুরস্ককেও ভোগাবে।
সিরিয়াকে সমর্থন দেওয়ার জন্য আঙ্কারা আঞ্চলিক নিরাপত্তাবলয় তৈরিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এটা ত্বরান্বিত করা দরকার। এই অঞ্চলের দেশগুলো এরই মধ্যে ব্যাপক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। ইসরায়েলের নীতির কারণে সেখানে ব্যাপক জনরোষ তৈরি হয়েছে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে তুরস্কের সম্পর্কটা সচল রাখা দরকার। এ ক্ষেত্রে ট্রাম্পের কাছে এরদোয়ানকে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা উচিত।
প্রথমত, ইসরায়েল যদি তার অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা জারি রাখে, তাহলে অন্য আঞ্চলিক খেলোয়াড়েরা সিরিয়ায় ও আশপাশের দেশগুলোতে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। দৃষ্টান্ত হিসেবে বলা যায়, ইসরায়েলের আগ্রাসন মধ্যপ্রাচ্যের জনগণের অনেকের কাছে ইরানের কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দেবে। এ পরিস্থিতি দুর্বল প্রতিবেশী দেশগুলোতে দ্রুত সহিংসতা ছড়িয়ে দিতে পারে।
দ্বিতীয়ত, ইসরায়েলের প্ররোচনা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাকে সমানভাবে বিপজ্জনক দুটি বিকল্পের সামনে দাঁড় করিয়ে দেবে। প্রথমটি হলো, বাছবিচারহীনভাবে প্রতিশোধের পথ তাঁকে বেছে নিতে হতে পারে, যেটা সম্ভাব্য যুদ্ধের সূত্রপাত করতে পারে। দ্বিতীয়টি হলো, চুপ করে সহ্য করে যাওয়া। এটা তাঁকে দুর্বল ও অক্ষম হিসেবে চিত্রিত করবে। দুটি বিকল্পই উগ্রপন্থীদের উত্থানের উর্বর ভূমি।
তৃতীয়ত, সংখ্যালঘুদের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার ইসরায়েলি নীতি অভূতপূর্ব সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করছে। মধ্যপ্রাচ্যের স্বৈরশাসকদের প্রতি পশ্চিমা সমর্থন ও সংখ্যালঘুদের নিয়ে তাদের নীতি সুন্নি মুসলমানদের মধ্যে হতাশা বাড়িয়ে তুলেছে।
চতুর্থত, ইসরায়েলের অব্যাহত উসকানি শেষ পর্যন্ত অন্য দেশগুলোকে সিরিয়ার সহযোগিতার জন্য টেনে আনবে। প্রতিযোগিতায় দেশগুলোর কেউই লাভবান হবে না; বরং নিজেদের সম্পদও শুধু ধ্বংস হবে। গত ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা সেটাই বলছে।
পঞ্চমত, ব্যর্থ রাষ্ট্রকে ঘিরে রাখার কৌশল ইসরায়েলকে সাময়িক স্বস্তি দিতে পারে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হিতে বিপরীত হবে। আফগানিস্তান ও ইরানের অভিজ্ঞতা বলছে, ব্যর্থ রাষ্ট্র চরমপন্থা ও অভিবাসী সংকটের উর্বর ভূমি। সিরিয়া যদি একই পথ অনুসরণ করে, তাহলে ইসরায়েল সহযোগিতা দিতে যুক্তরাষ্ট্রকে অনিবার্যভাবে মধ্যপ্রাচ্যে ফিরে আসতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যের মানুষেরা যুক্তরাষ্ট্রকে ভীষণ রকম শত্রু ভাবে। এমন বৈরী পরিবেশে যুক্তরাষ্ট্রের ফেরার অর্থ হলো তাদের মূল্যবান সম্পদ হারানো।
● আলী বাকির ইবনে খালদুন সেন্টার ফর হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের গবেষণা সহকারী অধ্যাপক
মিডলইস্ট আই থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে সংক্ষিপ্তাকারে অনূদিত
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে ভোট
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল জাতিগত হত্যা চালাচ্ছে ও দেশটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া উচিত—এমন একটি প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির প্রতিনিধিরা। দলটির বার্ষিক সম্মেলনে প্রস্তাবটির ওপর এই ভোটাভুটি হয়। এ ফলাফলকে লেবার সম্মেলনের ইতিহাসে এক বড় ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অভূতপূর্ব এ সিদ্ধান্তের ফলে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘের সাম্প্রতিক অনুসন্ধান কমিশনের প্রতিবেদনই মেনে নিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল গাজায় জাতিগত হত্যা চালাচ্ছে। সম্মেলনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি দেশটিতে অস্ত্র বিক্রিতে পূর্ণ অবরোধ আরোপের বিষয়েও সমর্থন জানানো হয়।
গত রোববার লিভারপুলে শুরু হওয়া এ সম্মেলনে বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকা ও সহযোগী সংগঠনের প্রতিনিধিরা নানা বিষয়ে প্রস্তাবে ভোট দিচ্ছেন।
গতকাল সন্ধ্যায় প্রতিনিধিরা আরেকটি প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেন, যা লেবারের প্রচলিত ইসরায়েল নীতিকে সমর্থন করছিল বলে ধারণা করা হয়।প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইনের পরিচালক বেন জামাল বলেন, এটি সরকারের জন্য বড় পরাজয়। লেবার পার্টি অবশেষে স্বীকার করেছে, ইসরায়েল গাজায় জাতিহত্যা চালাচ্ছে। এ ঐতিহাসিক ভোট এখন সরকারের নীতিতে পরিণত হওয়া উচিত—ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ নিষেধাজ্ঞা ও দেশটিতে অস্ত্র বিক্রির ওপর অবরোধ জারি করতে হবে।
ট্রান্সপোর্ট স্যালারিড ইউনিয়নের (টিএসএসএ) সাধারণ সম্পাদক মারিয়াম এসলামদুস্ত বলেন, ‘আজ লেবার আন্দোলন ইতিহাসের সঠিক পাশে দাঁড়িয়েছে। ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে। লেবার নেতৃত্বের কাছে স্পষ্ট বার্তা গেছে—আমরা জাতিহত্যার অপরাধে নীরব থাকব না।’
গতকাল সন্ধ্যায় প্রতিনিধিরা আরেকটি প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেন, যা লেবারের প্রচলিত ইসরায়েল নীতিকে সমর্থন করছিল বলে ধারণা করা হয়।
আগের দিন গত রোববার যুক্তরাজ্যের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক মন্ত্রী হ্যামিশ ফ্যালকনার ওই প্রস্তাবকে সমর্থন করেছিলেন। সেখানে ভুলভাবে দাবি করা হয়েছিল, ১৬ সেপ্টেম্বরের জাতিসংঘ অনুসন্ধান কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ‘জাতিহত্যার ঝুঁকি’ রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলেছে, ইসরায়েল গাজায় জাতিহত্যা চালিয়েছে ও এখনো চালাচ্ছে।
এটি সরকারের জন্য বড় পরাজয়। লেবার পার্টি অবশেষে স্বীকার করেছে, ইসরায়েল গাজায় জাতিহত্যা চালাচ্ছে। এ ঐতিহাসিক ভোট এখন সরকারের নীতিতে পরিণত হওয়া উচিত—ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ নিষেধাজ্ঞা ও দেশটিতে অস্ত্র বিক্রির ওপর অবরোধ জারি করতে হবে।বেন জামাল, প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইনের পরিচালকমিডল ইস্ট আইয়ের তথ্যমতে, যে জরুরি প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ফ্যালকনার রোববার বক্তব্য দিয়েছিলেন, প্রস্তাবটি বরং বড় ধরনের ট্রেড ইউনিয়ন সমর্থন পেয়েছে।
মিডল ইস্ট আই যে প্রস্তাবের কপি দেখেছে, তাতে বলা হয়েছে, ‘সম্মেলন জাতিসংঘ অনুসন্ধান কমিশনের প্রতিবেদন গ্রহণ করছে এবং লেবার সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছে, গাজায় গণহত্যা ঠেকাতে তার হাতে থাকা সব যুক্তিসংগত উপায় ব্যবহার করতে।’
আরও পড়ুনফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিল যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫প্রস্তাবে আরও দাবি করা হয়েছে, ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আইন মানতে চাপ দিতে সরকারকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে এবং যুক্তরাজ্যের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে জাতিহত্যায় সহযোগিতা না করে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
এ ঘটনা লেবার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সরকারের নীতির প্রতি অসন্তুষ্টির স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্রিটেন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে জাতিহত্যা বলে ঘোষণা করার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে।ব্রিটিশ প্যালেস্টিনিয়ান কমিটির পরিচালক সারা হুসেইনি বলেন, লেবার নেতৃত্বকে এখন নিজেদের দলের সদস্য, জাতিসংঘ, জাতিহত্যা বিশেষজ্ঞ ও অসংখ্য মানবাধিকার সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্বীকার করতে হবে যে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে জাতিহত্যা চালাচ্ছে। যুক্তরাজ্যের এ অপরাধে সম্পৃক্ততা বন্ধ করতে হবে।
স্টারমার সরকারের ওপর চাপ
প্রস্তাবটি পাস হওয়ায় গাজায় জাতিহত্যা নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে রাজনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের ওপর চাপ আরও বেড়েছে।
আজ লেবার আন্দোলন ইতিহাসের সঠিক পাশে দাঁড়িয়েছে। ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে। লেবার নেতৃত্বের কাছে স্পষ্ট বার্তা গেছে, আমরা জাতিহত্যার অপরাধে নীরব থাকব না।মারিয়াম এসলামদুস্ত, ট্রান্সপোর্ট স্যালারিড ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকএ ঘটনা লেবার কর্মী–সমর্থকদের মধ্যে সরকারের নীতির প্রতি অসন্তুষ্টির স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্রিটেন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে জাতিহত্যা বলে ঘোষণা করার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে ব্রিটিশ সরকার ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি–সংক্রান্ত ৩৫০টি লাইসেন্সের মধ্যে ৩০টি স্থগিত করেছিল। পর্যালোচনায় দেখা গিয়েছিল, যুক্তরাজ্যের অস্ত্র গাজায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ভঙ্গের কাজে ব্যবহার হতে পারে।
তবে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশের লাইসেন্স নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়। এই যুদ্ধবিমান সরাসরি গাজায় ব্যবহৃত হচ্ছে।
সাম্প্রতিক একটি জরিপে দেখা গেছে, লেবার পার্টির ৭২ শতাংশ ভোটার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা সমর্থন করছেন।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েলের মধ্যে একের পর এক কূটনৈতিক বিরোধ দেখা দিয়েছে। এ দুই দেশ দীর্ঘদিনের মিত্র। এ মাসের শুরুতে যুক্তরাজ্য সরকার দেশটিতে সবচেয়ে বড় অস্ত্র মেলায় ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ করে।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ব্রিটেনের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির সিদ্ধান্তকে ‘হামাসকে দেওয়া পুরস্কার’ বলে মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুনপশ্চিমা নেতারা কি মুখ রক্ষা করতে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছেন২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫তবে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ গত সপ্তাহেই ব্রিটেনে যান ও ডাউনিং স্ট্রিটে স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
পরে হারজগ বলেন, তিনি স্টারমারের সঙ্গে একদিকে বিতর্ক করেছেন, অন্যদিকে কিছু বিষয়ে একমত হয়েছেন। স্টারমারকে তিনি ইসরায়েলের মিত্র আখ্যা দেন।
আরও পড়ুনইসরায়েল ভ্রমণে না যেতে বলেছে যুক্তরাজ্য, দূতাবাসের কর্মীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশনা১৫ জুন ২০২৫আরও পড়ুনফিলিস্তিনকে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার স্বীকৃতির গুরুত্ব কতটা২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫