দক্ষিণ সুদানের উত্তর কর্দোফান রাজ্যের রাজধানী এল-ওবাইদের একটি কারাগারে আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর ড্রোন হামলায় কমপক্ষে ২১ জন নিহত এবং ৪৭ জন আহত হয়েছে। 

শনিবার (১০ মে)  সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক এ তথ্য জানিয়েছে। খবর ‍তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।

বেসরকারি নেটওয়ার্কটি এক বিবৃতিতে বলেছে, “একটি বেসামরিক স্থাপনার উপর ইচ্ছাকৃতভাবে এই হামলা এই অঞ্চলে চলমান সহিংসতার তীব্র বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।”

সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক আরো জানিয়েছে, কারাগারটিতে প্রায় ৫ হাজার বন্দী রয়েছে।

এদিকে, সরকারের মুখপাত্র তথ্যমন্ত্রী খালিদ আল-আইসার বলেছেন, “শনিবার এল-ওবাইদে কারাগারে যা ঘটেছে তা একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধাপরাধ, যা সুদানের বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে মিলিশিয়া ও তাদের সমর্থকদের মাধ্যমে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের দীর্ঘ রেকর্ডকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে।”

দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় অস্থায়ী প্রশাসনিক রাজধানী পোর্ট সুদানে টানা সপ্তম দিনের মতো চলমান ড্রোন হামলার মধ্যে এই ঘটনাটি ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আনাদোলুকে জানিয়েছেন, শনিবার ভোরে আধাসামরিক বাহিনীর ড্রোনগুলো পোর্ট সুদানে হামলা করেছিল, তবে সেনাবাহিনীর বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেগুলোকে প্রতিহত করে।

গত রবিবার থেকে, সুদানের অস্থায়ী রাজধানী পোর্ট সুদানে বেসামরিক ও সামরিক উভয় স্থান লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চলছে, যার ফলে তেল ডিপো এবং একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগুন লেগেছে।

মঙ্গলবার, সুদান কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ বন্দর, পোর্ট সুদান বিমানবন্দর এবং একটি স্থানীয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি ডিপোতে ড্রোন হামলার পিছনে আধাসামরিক র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে (আরএসএফ) দায়ী করেছে। আরএসএফ এই অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

ক্ষমতার দখল ঘিরে সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনী মধ্যে ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে লড়াই চলছে। জাতিসংঘ এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতে, সুদানে সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ২০ হাজারেও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং দেড় কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তবে মার্কিন বিশেষজ্ঞদের গবেষণায়, মোট নিহতের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার বলে অনুমান করা হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ