রাজশাহীতে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ: ‘ভাতের চিন্তা না থাইকতো, এই রৌদে পুইড়তাম না’
Published: 11th, May 2025 GMT
‘দুপুর একটা পার হইলে আর থাকতি পারি না। মনে হয় গা পুইড়া যাইবো; কামকাজ ছাইড়া গাছতলায় যাইয়া ঘুম দিই। যাদের ভাতের চিন্তা নাই, তারা তো এসি ছেড়ে থাইকতে পারে। যদি পেটের ভাতের চিন্তা না থাইকতো, এই রৌদে পুইড়তাম না। কিন্তু রৌদে যদি কেহ কামকাজ না করে, তখন তো সবকিছুই থাইমা যাইবো।’
কথাগুলো বলছিলেন ফাইদুল ইসলাম (৫০)। তাঁর বাড়ি গোদাগাড়ী উপজেলার চব্বিশনগর এলাকায়। সেখান থেকে রাজশাহী নগরের চৌদ্দপাই এলাকায় এসেছেন ঢালিতে বালু ভরার কাজে। তিনি জানান, গত দুই দিনের রোদে পুড়ে আজ তিনি মাথায় মাথাল পরেছেন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে ঘন ঘন পানি পান করছেন।
একই এলাকায় কাজ করছিলেন আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, তীব্র গরম। সকালে গরম ভাত খেয়ে আসেন। দুপুরে কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজ দিয়ে পান্তাভাত খান। আর দিনে কয়েকবার স্যালাইন পান করেন। এতে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়।
চাম্পা বিশ্বাসসহ কয়েকজন নারীও কাজ করছিলেন সেখানে। চাম্পা বলেন, পেটের দায়ে কাজ করতে হচ্ছে এই রোদে। প্রতিদিন কাজ শেষ করার পর মাথা ঝিম ঝিম করে। তবু কাজ করতে হচ্ছে।
মো.
এই শ্রমিকরা যখন কাজ করছিলেন, তখন বেলা সাড়ে ১১টা। তখনই রাজশাহীর তাপমাত্রার পারদ উঠে গেছে প্রায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা উঠে গেছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই সময় শহরে মানুষের আনাগোনা কম দেখা গেছে। যাঁরা বের হয়েছেন, তাঁরা ছাতা নিয়েছেন।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীতে সর্বশেষ ৬ মে ৪৬ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। ওই সময় তাপমাত্রা কমে যায়। এরপর ৭ মে তাপমাত্রা বেড়ে হয় ৩৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৮ মে এই তাপমাত্রা বেড়ে হয় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৯ মে তাপমাত্রা আরও ২ ডিগ্রি বেড়ে দাঁড়ায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গতকাল শনিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন পর্যন্ত এটা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চলতি মৌসুমের। আজ দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কাজের ফাঁকে পানি পান করছেন এক শ্রমিক। আজ রোববার দুপুরে রাজশাহী নগরের চৌদ্দপাই এলাকায়উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স লস য় স ক জ কর এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
এটাই ‘শক্তিশালী’ স্কোয়াড, সুযোগ দেখছেন জামাল
২০১৩ সালে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৯২ ম্যাচ খেলেছেন জামাল ভূঁইয়া। এর মধ্যে ভারতের বিপক্ষে খেলেছেন ৬ ম্যাচ। কিন্তু এই ৬ ম্যাচের কোনোটিতেই জেতেনি বাংলাদেশ। এবার অন্তত সেই গেরো খুলতে চাইছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
জামালের চোখে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড। তাই এবার ভারতকে হারানোর সুযোগও দেখছেন তিনি, ‘আমরা যে অবস্থায় আছি এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড। তাই অবশ্যই আমাদের একটা বড় সুযোগ আছে।’
২০২৫ সালে সাত ম্যাচ খেলে শুধু ভুটানের সঙ্গে জিতেছে বাংলাদেশ। আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতকে হারিয়ে বছরটা অন্তত জয় দিয়ে শেষ করার প্রত্যাশা জামালের, ‘এটা অনেক আবেগের ম্যাচ, উত্তেজনার ম্যাচ। এই ম্যাচের পর জাতীয় দলের জন্য অনেক লম্বা বিরতি আছে। বছরটা যদি জয় দিয়ে শেষ করতে পারি, তা শুধু আমাদের জন্য নয়, সমর্থক ও আপনাদের জন্যও ইতিবাচক হবে।’
জয় দিয়ে বছর শেষ করতে চান জামাল