জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে সাবেক সংসদ সদস্য শামীমা
Published: 11th, May 2025 GMT
যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় কৃষকলীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার খানমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
তদন্ত কর্মকর্তার শুনানি নিয়ে রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম আতিকুর রহমান এই আদেশ দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পল্টন মডেল থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) রুকনুজ্জামান।
এর আগে শনিবার বিকেলে রাজধানীর জিগাতলা এলাকা থেকে শামীমাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ।
রোববার দুপুরে সাবেক এই সংসদ সদস্যকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের মতিঝিল জোনাল টিমের এসআই ফেরদৌস আলম। শামীমার পক্ষে তার আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে শামিমাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি ঢাকায় ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক দেয়, একই দিনে আওয়ামী লীগও পাল্টা সমাবেশ ডাকে। ওই মহাসমাবেশে চলানো হামলায় যুবদল নেতা শামীম নিহত হন। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনা মহানগর পুলিশের সদর দপ্তর ঘেরাও, ফটকে তালা
খুলনায় এক উপপরিদর্শককে (এসআই) মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে পুলিশের ওই কর্মকর্তাকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ বুধবার দুপুর থেকে খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) সদর দপ্তর ঘেরাও করেন বিক্ষোভকারীরা। একপর্যায়ে তাঁরা মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেন এবং সড়কে টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেন।
বিক্ষোভের আয়োজন করে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। বেলা দুইটার দিকে মিছিল নিয়ে কেএমপি সদর দপ্তরের সামনে অবস্থান নেন তাঁরা। এ সময় আন্দোলনকারীরা রাস্তার দুই পাশ বন্ধ করে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিক্ষোভে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদেরও অংশ নিতে দেখা যায়।
বিক্ষোভকারীরা ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’, ‘জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘সুকান্তের চামড়া, তুলে নেব আমরা’, ‘পুলিশ কমিশনারের চামড়া, তুলে নেব আমরা’, ‘পুলিশ কমিশনার জুলফিকার, আস্ত একটা স্বৈরাচার’, ‘অবৈধ পুলিশ লীগ, মানি না, মানব না’, ‘লড়তে হবে, লড়তে হবে—এই লড়াই জিততে হবে’ স্লোগান দিতে থাকেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে খুলনার খানজাহান আলী থানা এলাকা থেকে এসআই সুকান্ত কুমার দাসকে আটক করে মারধর করেন স্থানীয় জনতা ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পরে তাঁকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। তিনি বর্তমানে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানায় কর্মরত। খুলনায় একটি মামলায় সাক্ষ্য দিতে এসে এ ঘটনার শিকার হন বলে জানা গেছে।
আন্দোলনকারীরা রাস্তার দুই পাশ বন্ধ করে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। আজ বুধবার দুপুরে নগরের গ্যালাক্সো মোড়ে