Prothomalo:
2025-05-12@06:35:48 GMT

চুয়াডাঙ্গায় এত গরম কেন

Published: 11th, May 2025 GMT

গরমের সময় প্রচণ্ড গরম, শীতের সময় হাড়কাঁপানো শীত। এ বৈশিষ্ট্য দেশের যে কয়েকটি জেলার আছে, তার মধ্যে চুয়াডাঙ্গার নামটি আসে আগে। শীতের কথা বাদ থাক, এই প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে গরমের প্রসঙ্গেই আসি।

দেশে গত বুধবার (৭ মে) থেকে টানা তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। গতকাল শনিবার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি বছরে এ তাপমাত্রা সর্বোচ্চ। গত বছর দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তা ছিল যশোরে। আর চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছিল ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদেরা এই সামান্য পরিমাণ তাপের হেরফেরকে গণ্য করেন না। সে বিচারে গত বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল এ জেলায়।

কেন চুয়াডাঙ্গায় এত গরম হয়? কারণ কি ভৌগোলিক, জলবায়ুগত? স্থানীয় এমন কোনো বিষয় আছে, যার সঙ্গে গরমের সম্পর্ক আছে? গরমের এ প্রবণতা কী সাম্প্রতিক, না অতীতেরও রেকর্ড আছে?

প্রশ্নগুলো নিয়ে কথা হয় আবহাওয়াবিদ, জলবায়ুবিশেষজ্ঞ, ভূতত্ত্ববিদদের সঙ্গে। তাঁরা বলছেন, চুয়াডাঙ্গার এই অতি তাপের নেপথ্যে জেলাটির অবস্থান, উপমহাদেশীয় বায়ুপ্রবাহ, কর্কটক্রান্তি রেখার গতিপ্রকৃতি, স্থানীয় ভূমির বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি নানা কারণ আছে।

তাপপ্রবাহের প্রবেশমুখে অবস্থান

বাংলাদেশে তাপ মোটামুটি বাড়তে শুরু করে মার্চ মাস থেকেই। এপ্রিলে দেশের সবচেয়ে উষ্ণ মাস। এর পরেই আছে মে মাস। দেখা গেছে, এই দুই মাসে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে ধারাবাহিকভাবে।

বাংলাদেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ভূমিকা থাকে উপমহাদেশীয় বায়ুপ্রবাহের। একে পশ্চিমা বায়ুপ্রবাহও বলা যায়। ভারতের উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ হয়ে এই বায়ুর প্রবেশ ঘটে বাংলাদেশে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘দেশের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের চুয়াডাঙ্গা, যশোর, সাতক্ষীরা—এসব জেলা মূলত এই গরম হাওয়ার প্রবেশদ্বার। এর কাছাকাছি এলাকাগুলোতেও তাপ বেশি থাকে। যেমন দক্ষিণের জনপদ না হলেও এ বায়ুর প্রবাহ রাজশাহী অঞ্চলে গিয়ে ঠেকে। দেখা যায়, দক্ষিণ–পশ্চিমের এলাকাগুলোর তুলনায় দেশের অন্যত্র তাপ ধীরে ধীরে কমে যায়।’

ভারতের মধ্যপ্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ উপমহাদেশীয় উষ্ণ বায়ুপ্রবাহের এলাকা। এই মে মাসে ঢাকার গড় তাপমাত্রা থাকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেখানে কলকাতার গড় তাপমাত্রা থাকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়াবিদ সমরেন্দ্র কর্মকার বলেন, ‘গরম বায়ুপ্রবাহ তার পথপরিক্রমায় ধীরে ধীরে তাপ কমিয়ে ফেলে। এটাই স্বাভাবিক। ভারতের মধ্যপ্রদেশ, বিহার বা পশ্চিমবঙ্গে যতটা তাপ, তা বাংলাদেশে প্রবেশের সময় থাকে না। আবার বাংলাদেশের প্রবেশের দ্বার যেমন চুয়াডাঙ্গা বা যশোরের দিকে তাপ যতটা থাকে, ততটা ঢাকায় পাওয়া যায় না। চুয়াডাঙ্গা একদম মুখে পড়ে। তাই এ এলাকা এবং এর কাছাকাছি এলাকাগুলো এত তপ্ত।’

গ্রাফিকস: মাহফুজুর রহমান.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব য় প রব হ প রব হ র র প রব শ স লস য় স র কর ড গরম র

এছাড়াও পড়ুন:

শেষমেশ এফডিসির বাইরে পরিচালক সমিতির ভোট, কারা জিতলেন

অবশেষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নতুন নেতৃত্ব চূড়ান্ত হয়েছে। দিনব্যাপী ভোট গ্রহণ শেষে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবদুল লতিফ। এতে দেখা যায়, সভাপতি পদে পরিচালক শাহীন সুমন ১৬৬ ভোট পেয়ে হারিয়েছেন মুশফিকুর রহমানকে। অন্যদিকে মহাসচিব পদে ১৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন শাহীন কবির, তিনি হারিয়েছেন সাফি উদ্দিনকে। এর বাইরে নির্বাচিত অন্যরা হলেন সহসভাপতি আবুল খায়ের; উপমহাসচিব কবিরুল ইসলাম; কোষাধ্যক্ষ সায়মন তারিক; প্রচার-প্রকাশনা ও দপ্তর সচিব ওয়াজেদ আলী; আন্তর্জাতিক ও তথ্যপ্রযুক্তি সচিব বন্ধন বিশ্বাস; সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর মেয়াদি পরিচালক সমিতির নেতৃত্বে নির্বাচিত সদস্যরা হলেন ছটকু আহমেদ, শাহাদাৎ হোসেন, পল্লী মালেক, জাকির হোসেন, বজলুর রাশেদ চৌধুরী, সাইদুর রহমান, হাবিবুল ইসলাম, জয় সরকার, গাজী মাহবুব ও বুলবুল বিশ্বাস।

আরও পড়ুনহিন্দি ছবি বাংলাদেশে আনতে কী কী শর্ত দিল পরিচালক সমিতি০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

কয়েক দফা পিছিয়ে যাওয়ার পর আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির দুই বছর মেয়াদি নির্বাচন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে আগামী দুই বছরের জন্য পরিচালক সমিতির নতুন নেত্বত্ব নির্বাচিত হয়। সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচিত উপমহাসচিব কবিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, সকাল ১০টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলে।
কবিরুল ইসলাম এ–ও জানান, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৫৯ জন পরিচালকের ভোট গ্রহণ হয়। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল ৩৯১। উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হওয়া এ ভোট গ্রহণে ৩৪ জন তাঁদের ভোট প্রদান করতে পারেননি। কারণ, তাঁরা দেশের বাইরে আছেন। তা ছাড়া জ্যেষ্ঠ পরিচালকদের মধ্যে ১৪ জন অসুস্থ। এই নির্মাতার ভাষ্য, ‘এবারের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ এফডিসির বাইরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাই অপেক্ষাকৃত জ্যেষ্ঠ পরিচালকদের কয়েকজন আসতে পারেননি। তা ছাড়া যাঁরাই এসেছেন, তাতে উৎসবমুখর একটা পরিবেশ ছিল। ভোট প্রদানের ফাঁকে দিনব্যাপী পরিচালকেরা আড্ডা দিয়েছেন।’
এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন আবদুল লতিফ। বাকি দুজন নির্বাচন কমিশনার হলেন এ জে রানা ও বি এইচ নিশান।

আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির দুই বছর মেয়াদি নির্বাচন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুসলিমদের স্বার্থে বাংলাদেশ-পাকিস্তান বন্ধুত্ব অপরিহার্য
  • চলচ্চিত্র পরিচালকদের নেতৃত্বে শাহীন সুমন ও শাহীন কবির
  • শেষমেশ এফডিসির বাইরে পরিচালক সমিতির ভোট, কারা জিতলেন