দেশে গত এপ্রিলে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল ও থ্রি–হুইলারে সবচেয়ে বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এপ্রিলে ৫৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৮ জন নিহত এবং ১ হাজার ১২৪ জন আহত হয়েছেন। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে এপ্রিল মাসের সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন তৈরি করেছে। তারা জানিয়েছে, এপ্রিল মাসে ৭টি নৌ দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছেন এবং ২২টি রেল দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছেন।

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে নারী ৮৬ জন ও শিশু ৭৮ জন। এ ছাড়া নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এবং থ্রি-হুইলার দুর্ঘটনায় ২০ দশমিক ২৩ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলছে, সবচেয়ে বেশি ৩৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে আঞ্চলিক সড়কে। এরপর আছে জাতীয় সড়ক, গ্রামীণ সড়কসহ অন্যান্য স্থান।

দুর্ঘটনার ধরন সম্পর্কে বলা হয়েছে, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, মুখোমুখি সংঘর্ষে এবং চাপা বা ধাক্কা দেওয়ার কারণে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনা বেশি ঘটেছে সকালে ও রাতে।

বিভাগ হিসেবে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঢাকা ও চট্টগ্রামে বেশি এবং রংপুর ও সিলেট বিভাগে কম। এ সময় রাজধানীতে ৩৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ২৭ জন আহত হয়েছেন। পেশাগত পরিচয়ে সবচেয়ে বেশি ৭৯ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।

সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে রোড সেফটি ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণ-যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএর সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজির কথা বলা হয়েছে।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলেছে, অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটছে অতিরিক্ত গতির কারণে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে। এই গতি নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারি এবং চালকদের ‘মোটিভেশনাল’ প্রশিক্ষণ দরকার। যানবাহনের বেপরোয়া গতি এবং পথচারীদের অসচেতনতার কারণে পথচারী নিহতের ঘটনা বাড়ছে।

দুর্ঘটনা কমাতে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলেছে, পরিবহনশ্রমিকদের পেশাগত সুযোগ-সুবিধা এবং সড়ক পরিবহন নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন য় ব পর য় সবচ য়

এছাড়াও পড়ুন:

তিন বছরের চুক্তিতে রিয়ালের কোচ আলোনসো 

রিয়াল মাদ্রিদের পরবর্তী কোচ হচ্ছেন জাবি আলোনসো। তার সঙ্গে ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত চুক্তি করছে লস ব্লাঙ্কোসরা। ফুটবল দলবদল বিশেষজ্ঞ সাংবাদিক ফ্যাবরিজিও রোমানো দাবি করেছেন, দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি হয়ে গেছে।

তবে রিয়াল মাদ্রিদের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। ওই ঘোষণা আসতে সময় লাগতে পারে আরও এক থেকে দুই সপ্তাহ। তবে বায়ার লেভারকুসেনের পোস্ট ও জাবি আলোনসোর বার্তা থেকে পরিষ্কার চুক্তি নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

গতকাল ঘরের মাঠে মৌসুমের শেষ ম্যাচ খেলেছে লেভারকুসেন। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ৪-২ গোলে ম্যাচটি হেরেছে তারা। ম্যাচ শেষে জাবির ছবি দিয়ে লেভারকুসেন তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। সঙ্গে নতুন অধ্যায়ের জন্য শুভকামনা জানিয়েছে।

পরবর্তী গন্তব্য কোথায় এমন প্রশ্নে আলোনসো বলেন, ‘আমার পরবর্তী ক্লাব? আমি সেখানে খুশী থাকতে চাই। সুতরাং এখন কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’

ফ্যাবরিজিও জানিয়েছেন, আলোনসো জুনের ক্লাব বিশ্বকাপ থেকেই রিয়াল মাদ্রিদের ডাগ আউটে দাঁড়াতে সম্মত হয়েছেন। চলতি লা লিগা মৌসুম শেষে তাকে কোচ হিসেবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে রিয়াল। আগামী সপ্তাহে কার্লো আনচেলত্তিকেও বিশেষ সম্মাননার দেবে ব্লাঙ্কোস বোর্ড।

জাবি আলোনসো রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক মিডফিল্ডার। তিনি ২০০৯-১৪ পর্যন্ত লস ব্লাঙ্কোসদের জার্সিতে খেলেছেন। এছাড়া লিভারপুল ও বায়ার্ন মিউনিখে খেলেছেন। কিংবদন্তি কোচ হোসে মরিনহো, পেপ গার্দিওলা, রাফায়েল বেনিতেজের অধীনে খেলেছেন তিনি। তার বাবা স্পেন জাতীয় দলের খেলোয়াড় ছিলেন। খেলেছেন বার্সা ও রিয়াল সোসিয়েদাদে। সোসিয়েদাদের কোচও ছিলেন। স্পেনের বিশ্বকাপ জয়ী দলের এই সদস্য ২০১৭ সালে অবসরের পর ২০১৯ সালে রিয়াল সোসিয়েদাদ ‘বি’ দলে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন।

২০২২ সালে বায়ার লেভারকুসেনের কোচ হয়ে ১১৯ বছরের ইতিহাসে ক্লাবকে প্রথম শিরোপা জেতান। এরপরই তাকে কোচ করতে লিভারপুল, বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদ নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করে। অবশেষে প্রাণের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ দিয়ে নিজেকে প্রমাণের নতুন চ্যালেঞ্জ নিলেন তিনি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ