তিন দিন কলমবিরতি পালনের ঘোষণা দিলেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
Published: 13th, May 2025 GMT
ঢাকার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনসহ সারা দেশে কাস্টমস, ভ্যাট ও শুল্ক কার্যালয়ে তিন দিন কলমবিরতি কর্মসূচি পালন করবেন সব কর অঞ্চল, ভ্যাট ও শুল্ক কার্যালয়ের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। তাঁরা আগামীকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা ও শনিবার সকাল ১০টা থেকে ৩টা পর্যন্ত কলমবিরতি পালন করবেন।
এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে ‘রাজস্ব নীতি বিভাগ’ এবং ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ নামে নতুন দুটি বিভাগ গঠনের পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআরের আওতাধীন কর অঞ্চল, ভ্যাট ও শুল্ক কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কলমবিরতি কর্মসূচি ঘোষণা করেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার আগারগাঁওয়ে এনবিআর কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচি থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’–এর ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচিটি অনুষ্ঠিত হয়।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে জানানো হয়, সারা দেশের কাস্টমস, ভ্যাট ও শুল্ক কার্যালয়গুলোতে তিন দিন কলমবিরতির সময় আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা, বাজেট ও রপ্তানি এই তিনটি কার্যক্রম চালু থাকবে। তবে এই সময়ে বাকি সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানান কর্মকর্তারা।
এনবিআর কার্যালয়ের সামনে আজ মঙ্গলবার বিকেল সোয়া চারটায় অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ আগে এনবিআর চেয়ারম্যান মো.
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন এনবিআরের কর শাখার যুগ্ম কমিশনার মোনালিসা শারমিন ও উপকমিশনার শাহ মোহাম্মদ এলাহী এবং কাস্টমস শাখার অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু।
কর্মসূচিতে যুগ্ম কমিশনার মোনালিসা শারমিন বলেন, অধ্যাদেশ জারির প্রক্রিয়ায় কর্মকর্তা–কর্মচারীদের মতামত প্রতিফলিত হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা আলোচনার সুযোগ চাইলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে একতরফাভাবে। দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোর ভিত্তি মজবুত করতে হলে জনবান্ধব ও অংশগ্রহণমূলক সিদ্ধান্ত জরুরি।
ঐক্য পরিষদের তরফ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করেন এনবিআরের শুল্ক ও আবগারি শাখার অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার। তিনি বলেন, ‘আমরা এই অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এখানে একত্র হয়েছি। অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা না করে হঠাৎ জারি করা অধ্যাদেশ গ্রহণযোগ্য হবে না।’
অবিলম্বে অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবি জানিয়ে সাধন কুমার বলেন, ‘এনবিআর সংস্কার পরামর্শ কমিটি যে প্রতিবেদন দিয়েছে সেটি প্রকাশ্যে আনা হোক। সেই প্রতিবেদনের আলোকে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। তাতে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত
এছাড়াও পড়ুন:
তিন দিন কলমবিরতি পালনের ঘোষণা দিলেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
ঢাকার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনসহ সারা দেশে কাস্টমস, ভ্যাট ও শুল্ক কার্যালয়ে তিন দিন কলমবিরতি কর্মসূচি পালন করবেন সব কর অঞ্চল, ভ্যাট ও শুল্ক কার্যালয়ের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। তাঁরা আগামীকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা ও শনিবার সকাল ১০টা থেকে ৩টা পর্যন্ত কলমবিরতি পালন করবেন।
এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে ‘রাজস্ব নীতি বিভাগ’ এবং ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ নামে নতুন দুটি বিভাগ গঠনের পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআরের আওতাধীন কর অঞ্চল, ভ্যাট ও শুল্ক কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কলমবিরতি কর্মসূচি ঘোষণা করেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার আগারগাঁওয়ে এনবিআর কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচি থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’–এর ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচিটি অনুষ্ঠিত হয়।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে জানানো হয়, সারা দেশের কাস্টমস, ভ্যাট ও শুল্ক কার্যালয়গুলোতে তিন দিন কলমবিরতির সময় আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা, বাজেট ও রপ্তানি এই তিনটি কার্যক্রম চালু থাকবে। তবে এই সময়ে বাকি সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানান কর্মকর্তারা।
এনবিআর কার্যালয়ের সামনে আজ মঙ্গলবার বিকেল সোয়া চারটায় অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ আগে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান কার্যালয় ত্যাগ করেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন এনবিআরের কর শাখার যুগ্ম কমিশনার মোনালিসা শারমিন ও উপকমিশনার শাহ মোহাম্মদ এলাহী এবং কাস্টমস শাখার অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু।
কর্মসূচিতে যুগ্ম কমিশনার মোনালিসা শারমিন বলেন, অধ্যাদেশ জারির প্রক্রিয়ায় কর্মকর্তা–কর্মচারীদের মতামত প্রতিফলিত হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা আলোচনার সুযোগ চাইলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে একতরফাভাবে। দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোর ভিত্তি মজবুত করতে হলে জনবান্ধব ও অংশগ্রহণমূলক সিদ্ধান্ত জরুরি।
ঐক্য পরিষদের তরফ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করেন এনবিআরের শুল্ক ও আবগারি শাখার অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার। তিনি বলেন, ‘আমরা এই অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এখানে একত্র হয়েছি। অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা না করে হঠাৎ জারি করা অধ্যাদেশ গ্রহণযোগ্য হবে না।’
অবিলম্বে অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবি জানিয়ে সাধন কুমার বলেন, ‘এনবিআর সংস্কার পরামর্শ কমিটি যে প্রতিবেদন দিয়েছে সেটি প্রকাশ্যে আনা হোক। সেই প্রতিবেদনের আলোকে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। তাতে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না।’